×

বিনোদন

জীবনের আশা আর স্বপ্নগুলো বাঁচিয়ে রাখতে হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২০, ১০:১৯ এএম

জীবনের আশা আর স্বপ্নগুলো বাঁচিয়ে রাখতে হবে

ইরেশ যাকের

বিশেষ সাক্ষাৎকার ইরেশ যাকের অভিনয়শিল্পী

ইরেশ যাকের। অভিনয়শিল্পী। প্রযোজক ও নির্মাতা। ছোট পর্দার প্রযোজকদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রডিউসারস এসোসিয়েশনের সভাপতি। ইরেশের বেশিরভাগ কাজ টেলিভিশনকেন্দ্রিক। তবে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রেও অভিনয় করেছেন। ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ খলচরিত্র অভিনেতা বিভাগে ২০১৫ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি। জনপ্রিয় এই অভিনেতার করোনাকাল কেমন কাটছে, ভোরের কাগজের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অভিনয়ের পাশাপাশি একটা সংস্থায় কর্মরত আছি। ভার্চুয়ালি সেই অফিসের কাজ করতে হচ্ছে। একই সঙ্গে ছবি তোলা, লেখালেখি করছি। এর আগে বাবাকে নিয়ে নুরল দীনের সারা জীবনের একটা অংশ শুট করলাম। এরকম ছোট খাটো কাজ করছি। বাসায় বসে ছবি তুলি। শখের বসে ফটোগ্রাফি করি।

লেখালেখির কথা বললেন, কী লিখছেন? জবাবে ইরেশ যাকের বলেন, একটা দৈনিকে ঈদ সংখ্যার জন্য লিখছি। পাশাপাশি গল্প লেখার কথা ভাবছি। এছাড়া নিয়মিতই বই পড়ার অভ্যাস আছে। চেনা পৃথিবীর কতটা বদল ঘটেছে জানতে চাইলে এই শিল্পী বলেন, সম্পূর্ণই বদলে গেছে। গত পাঁচ মাস ধরে আমার নিজের বাসা আর শ্বশুর বাড়ি ছাড়া ঢাকা শহরের আর কিছুই দেখিনি। অথচ আমি সবসময়ই ভ্রমণ

করতে পছন্দ করি। করোনা না থাকলে গত চার পাঁচ মাসে দুই থেকে তিন বার দেশের বাইরে যাওয়া হতো। এখন দেশের বাইরে দূরে থাক, বাসার কাছে অফিসেই যাওয়া হচ্ছে না। গত ২৫ মার্চ অফিস বন্ধ করার সময় ভেবেছিলাম দুই তিন সপ্তাহ পরে হয়ত সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু পৃথিবী এমনটা হবে কখনোই ভাবিনি।

তিনি বলেন, আমার বাসা থেকে হাতের ডানেই শ্বশুর বাড়ি। ওই বাসায় যাই। সেখান থেকে বেরিয়ে আবার বাসায় ফিরে আসি। কিন্তু হাতের বাম দিকে পুরো ঢাকা শহর। গুলশান, বনানী, মগবাজার, মীরপুর। যেখানে আমি প্রতিদিন ঘুরতাম। এখন কোথাও যাচ্ছি না, সারাদিন ঘরে বসে থাকি। করোনায় পুরো বিষয়টা যেন বাস্তবতার বাইরে চলে গেছে। জীবনের বাস্তবতা যে এরকম জায়গায় এসে পৌঁছাবে, ভাবতেই পারছি না।

বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা জানতে চাইলে এই নির্মাতা বলেন, কঠিন হবে বিষয়টা। কারণ আমরা দুই নৌকায় পা দিয়ে ফেলেছি। প্রথম দিকে লকডাউনে ছিলাম। কিন্তু করোনা ঠিক না হতেই আমরা পিছিয়ে এসেছি। দুটোর একটাও মানছি না। লকডাউন থেকে বেরিয়ে এসে আমরা অর্থনৈতিক মন্দাও ঠেকাতে পারিনি। সংক্রমণের হারও কমছে না। এখন চাইলেও আবার সবকিছু বন্ধ করা যাবে না। দুই থেকে তিন মাস লকডাউন দেয়া না হলে করোনার সংক্রমণ ঠেকানো কঠিন হবে। পুরো প্রক্রিয়াটাই এখন দীর্ঘমেয়াদি হবে। এর মধ্যেই জীবনের স্বপ্নগুলো বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আশা নিয়ে বাঁচতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App