×

বিনোদন

এমন সময়ও দেখতে হবে, কখনো ভাবিনি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২০, ১০:১২ এএম

এমন সময়ও দেখতে হবে, কখনো ভাবিনি

শহীদুজ্জামান সেলিম

বিশেষ সাক্ষাৎকার শহীদুজ্জামান সেলিম অভিনেতা ও সংগঠক

শহীদুজ্জামান সেলিম। অভিনেতা, নির্মাতা ও সংগঠক। মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র সবক্ষেত্রেই তার সফল বিচরণ। সিনেমায়ও অভিনয় করছেন। ঢাকা থিয়েটারের হয়ে মঞ্চ প্রযোজনার সঙ্গেও যুক্ত। অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন তিনি।

জনপ্রিয় এই অভিনেতার করোনাকাল কেমন কাটছে ভোরের কাগজের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ঢাকা থিয়েটারের একটা নাটক পরিচালনা করছি। আনন জামানের লেখা নাটকটির নাম লৌকিক অথবা অলৌকিক। এটা নিয়ে প্রতিদিনের সময় কাটছে। দ্বিতীয়ত, সংগঠনকে সময় দিচ্ছি। তৃতীয়ত, বই পড়ছি। আর চতুর্থত, বেশকিছু সময় কাটে বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে। মধুর ঝগড়া।

কী ধরনের বই পড়ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, নানান ধরনের বই-ই পড়ছি। তবে, এখন পড়ছি নাজিমুদ্দিনের লেখা একটা রহস্যোপন্যাস। প্রথম খণ্ড ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেনি’ আর দ্বিতীয় খণ্ড হচ্ছে ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেনি’। এর আগে কিছু রাজনৈতিক বই পড়েছি। তারও আগে পড়েছি পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার জনক বিজ্ঞানী আবদুল কাদির খানের লেখা ‘দ্য ম্যান ফ্রম পাকিস্তান’। এই লেখা গোয়েন্দা কাহিনীকেও হার মানায়। এ ছাড়া নেটফ্লিক্সে কিছু সিনেমা দেখছি।

করোনা চেনা পৃথিবীর কতটা বদল ঘটিয়েছে জানতে চাইলে এই অভিনেতা বলেন, আমার মেয়ে অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনা করে। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। সে নিজে নিজে হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে গিয়েছে। অসুস্থতার মধ্যে একা একা রান্না করে খেয়েছে। তিন মাস ধরে এই কষ্টটা করেছে। আমরা তারপরও চাচ্ছি না সে বাংলাদেশে আসুক। আমি মনে করছি, সে যেখানে আছে, আমাদের চাইতে ভালো আছে। সুতরাং পারিবারিকভাবে কত বেদনার জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি ভাষায় বোঝাতে পারব না। আর সামাজিকভাবে কত আপনজন চলে গেছেন, তাদের শেষ যাত্রায় আমরা কেউই যেতে পারিনি। অনেক দুঃখের একটা সময় চলছে। পৃথিবীতে এরকম সময়ও যে আমাদের দেখতে হবে কখনও ভাবিনি।

করোনার অভিঘাত থেকে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা জানতে চাইলে এই সংগঠক বলেন, কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে জানি না। আমাদের বদ অভ্যাস না বদলালে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হবে। আমরা নিজেরা এতই অসচেতন যে, রাস্তাঘাটে চলতেও জানি না। কীভাবে থুথু ফেলতে হয়, কফ ফেলতে হয়, এটাও জানি না। করোনা আমাদের অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষা দিচ্ছে। সে শিক্ষাগুলো যদি আমরা নিতে পারি তাহলে কিছু পরিবর্তন হবে। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াব কীভাবে জানি না। কারণ আমরা তো এখনো পৃথিবীর অন্যান্য দেশের চাইতে পঞ্চাশ-একশ বছর পিছিয়ে। আগে শিক্ষায়, মনমানসিকতায়, সুস্থতায় তাদের সমপর্যায়ে যাই- তাহলেই তো ঘুরে দাঁড়ানোর প্রশ্ন। বেসিক শিক্ষাটাই আমরা পূরণ করতে পারিনি। তিনি বলেন, অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি মানেই কিন্তু একটা দেশের উন্নতি নয়। একই সঙ্গে তার সাংস্কৃতিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্যগত উন্নয়নও হতে হয়। এ সবের কোনোটাই আমাদেও নেই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App