×

সারাদেশ

বন্যায় ২শ পুকুরের সাড়ে তিন কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে

Icon

nakib

প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২০, ০১:১৬ পিএম

বন্যায় ২শ পুকুরের সাড়ে তিন কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে

পুকুরের মাছ রক্ষার চেষ্টা

নওগাঁর আত্রাইয়ে এবারের বন্যায় ২ শতাধিক পুকুরের পাড় ডুবে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। পুকুরগুলোর মাছ ভেসে যাওয়ায় মাছ চাষিরা চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন। অনেকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখে সরকারি বা বেসরকারিভাবে পুকুর লিজ নিয়ে মৎস্য চাষ শুরু করেছিলেন। কিন্তু বন্যার করালগ্রাস চুড়মাড় করে দিয়েছে তাদের সেই স্বপ্ন। জানা যায়, উপজেলার ৮ ইউনিয়নে সরকারি বেসরকারি প্রায় ৩১ শতাধিক পুকুর রয়েছে। অনেকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে উপজেলা প্রশাসনের নিকট থেকে বিধি মোতাবেক দরপত্র দাখিলের মাধ্যমে সরকারি খাস পুকুর মাছ চাষের জন্য লিজ গ্রহন করেন। এ ছাড়াও অনেক কৃষক কৃষি ফসলে বছরের পর বছর লোকসানের শিকার হয়ে মাছ চাষের জন্য নিজ জমিতে পুকুর খনন করে মাছ চাষ শুরু করেছেন। কিন্তু এবারের বন্যা তাদের পুকুরের পাড় ডুবে চাষকৃত মাছ ভেসে যাওয়ায় ব্যাপক লোকসানের শিকার হয়েছেন। গত সপ্তাহে আকসিম্কভাবে আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে প্রায় ১২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। পানির গতিবেগ বেড়ে যাওয়ায় আত্রাইয়ে তিনটি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। বন্যার এ পানিতে ডুবে যায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ২ শতাধিক পুকুর। ভেসে যায় মৎসচাষিদের প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার মাছ। ফলে হতাশ হয়ে পড়েন তারা। অনেকে বিভিন্ন অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে আবার অনেকে দাদনের উপর উচ্চ সুদ শর্তে টাকা নিয়ে এ মাছ চাষ করছিলেন। তারা এখন ঋণের টাকা পরিশোধ করা নিয়ে হতাশায় ভুগছেন। উপজেলার হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের আসাদুজ্জামান ট্রপি, আহসানগঞ্জ ইউনিয়নের দীঘা গ্রামের শহিদুল ইসলাম, পাঁচুপুর গ্রামের মোস্তা, শামসুর রহমান ও ভূষণচন্দ্র হাওলাদার বলেন, আমরা বুকভরা আশা নিয়ে আমাদের পুকুরগুলোতে মাছ চাষ করেছিলাম। বন্যার পানিতে পুকুর ডুবে মাছ ভেসে যাওয়ায় আমাদের সব আশা চুড়মাড় হয়ে গেছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ মাছ চাষিদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ তালিকা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হবে। হয়ত বা তারা কিছু প্রণোদনা পেতে পারে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App