×

সারাদেশ

বন্ধ হলো গৌরীপুরে প্রাচীন স্থাপনা ভাঙার কাজ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২০, ০১:১৬ পিএম

গৌরীপুর সরকারি কলেজে জমিদার আমলের ঐতিহাসিক স্থাপনা (পাকাভবন) ভাঙার কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জুলাই) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল ঐতিহাসিক স্থপনা ভাঙার কাজ পরিদর্শন করেছেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ময়মনসিংহ শশীলজ জাদুঘরের ফিল্ড অফিসার সাবিনা ইয়াছমিন।

তিনি বলেন, স্থাপনাটি তারা পরিদর্শন করেছেন, রির্পোট ঢাকা পাঠাবেন। কর্তৃপক্ষের যে নির্শেনা তা জানানো হবে। এ ছাড়া তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেঁজুতি ধরের সঙ্গে দেখা করে স্থাপনা ভাঙার কাজ বন্ধ রাখতে বলেছেন।

ময়মনসিংহের গৌরীপুর সরকারি কলেজের নতুন একটি ভবন নির্মাণ করার জন্য ঐতিহাসিক জমিদার আমলের নিদর্শন প্রাচীন স্থাপনা ভেঙে ফেলার খবরটি ভোরের কাগজ অনলাইনসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এরপর বাংলাদেশ প্রশ্নতত্ত্ব বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক (ঢাকা বিভাগ) রাখি রায় গৌরীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রাচীন স্থাপনা ভাঙার কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলেন।

টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর ওই স্থপনাটি গত এক সপ্তাহ ধরে ভেঙে ফেলা হচ্ছে। যা নিয়ে সুশীল সমাজ, সচেতন মহল ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তবে ইাতহাস ও ঐতিহ্যের নিদর্শন হিসেবে স্থাপনাটি ভেঙে ফেলার পরিবর্তে সংস্কার ও রক্ষানাবেক্ষণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল ।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ১৯৬৪ সালের ১ আগস্ট গৌরীপুর পৌর শহরের কৃষ্ণপুর এলাকার জমিদার সুরেন্দ্র প্রসাদ লাহিড়ীর বাড়িতে গৌরীপুর কলেজের যাত্র শুরু হয়। ২২ একর জমির গড়ে উঠে দৃষ্টিনন্দন এ কলেজটি। প্রচীন নিদর্শন সুপ্রশস্ত মনোরম ক্যাম্পাস ও প্রকৃতিক পরিবেশের কারনে ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যাপীঠটি ক্রমেই দর্শনীয় স্থানে পরিনত হয়। ১৯৯১ সালে কলেজটি সরকারিকরণ করা হয়।

২০১২ সালে কলেজে অর্নাস কোর্স চালু হয়। এ অবস্থায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্য বেড়ে গেলে দেখা দেয় ভবন সংকট। সম্প্রতি কলেজের ভবন নির্মাণের জন্য একটি প্রচীন স্থাপনা ভাঙার কাজ শুরু হয়। গতকাল থেকে ভবন ভাঙার ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় উঠে। কলেজে বিকল্প জায়গা থাকা সত্ত্বেও কেন প্রাচীন নিদর্শন ভেঙে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App