×

সারাদেশ

আমার পেডে কষ্ট, বমি অয়, মাইনষে চেতায়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২০, ০৩:৩৮ পিএম

আমার পেডে কষ্ট, বমি অয়, মাইনষে চেতায়

প্রতীকী ছবি।

স্বামী স্ত্রী দু’জনই মানসিক প্রতিবন্দ্ধী। আমফানের ঝড়ের রাতে জীবন বাঁচাতে আশ্রয় নেয় সাইক্লোন শেল্টার। এই আশ্রয় কেন্দ্রই তাদের সর্বনাশ ডেকে আনে। ঘুমন্ত স্বামীর পাশে প্রতিবন্ধী স্ত্রীকে মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষণ করে স্থানীয় এক যুবক। ঘটনাটি ঘটে ভোলার প্রত্যন্ত চর চটকিমারায়। চরটি সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের তেতুলিয়া নদীর ওপাড়ে।

স্থানীয়রা জানান, দু’বছর হলো মানসিক প্রতিবন্ধি আলমগীরের বিয়ে হয়। পাশের গ্রামের মানসিক প্রতিবন্দ্বী যুবতীর সঙ্গে। ইদানিং আলমগীরের বউয়ের শারিরীক অবস্থা অস্বাভাবিক দেখা দিলে প্রতিবেশীরা এ দম্পতিকে চাপ দিলে ঘটনার কারণ জানা যায়। প্রতিবেশী নেজু হাওলাদারের ছেলে জাকির মাঝি (২৮) আমফানের ঝড়ের রাতে ধর্ষণ করে আলমগীরের প্রতিবন্ধী স্ত্রীকে। সেই থেকে প্রায়ই আলমগীরের বসত ঘরে গিয়ে বউকে ধর্ষণ করে জাকির। এখন বউ গর্ভবতী।

ঘটনা জানাজানি হওয়ায় প্রতিবন্ধী দম্পতিকে জাকির ও তার ভাইয়েরা এলাকা ছাড়ার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অবস্থায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন গ্রামবাসী।

প্রতিবন্ধী ধর্ষিতা বলেন, ঘর দিয়া পানি পড়ে, এর লাইগা দালান ঘরে গেছি থাওনের লাইগা। তুফানের রাইতে আমার শরীরের ওপর উইঠা অনেক কষ্ট দিছে জাকির মাঝি। তহন থেইকা প্রতিরাইতেই আমাগো ঘরে আইসা, আমার ওপর পারাপারি করে। আর কয়, কেওরে কইলে আমাগোরে মাইরা ফালাইবো। এহন আমার খালি বমি অয়, কিছু খাইতাম পারিনা, আমার পেডেও কষ্ট, খালি মাইনষে চেতায়।

ধর্ষিতার স্বামী প্রতিবন্ধী আলমগীর বলেন, জাকিরায় তুফানের রাইত থেইকা ঘন ঘন আমার ঘরে আইসা আমাগো লগে হুইয়া থাহে। কেওরে কইলে মাইরা লাইবো কইছে। এহন আমার বউর পেড বড় হইছে কা, মাইনসে আমারে খালি চেতায়। ছকির চহিদার (গ্রাম পুলিশ), কাশেম মাঝি, আনোয়ার ডাক্তার, জসিম বেয়ারি, ইউছুপ ঘটক বিচার কইরা কইছে জাকিরারে আর আমাগো ঘরে আইতেনা। এহন আর আহেনা। কাশেম মাঝি আমাগোরে এলাকার তনে খেদায়া দিবো। আমি এহন কই যামু।

ছগীর আহাম্মেদ চকিদার (গ্রাম পুলিশ) ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমি এই সমন্ধে কিছু জানি না। ঘটনাটি আমাকে জানার জন্য মেম্বার সিরাজ গোলদার পাঠায়। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম। তবে কোনো শালিশ করি নি। মেম্বার সিরাজ গোলদার ঘটনাটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, আমি এই সমন্ধে কিছু জানিনা।

ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম মাষ্টার বলেন, এই প্রথম আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। ঘটনার বিবরণে বুঝা যায়, এটা আমার ইউনিয়নের নিকৃষ্টতম ঘটনা। এই ধরনের অপরাধের কঠোর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। আমি ঘটনাটি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App