×

সারাদেশ

পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি সুনামগঞ্জে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২০, ০৪:০৪ পিএম

পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি সুনামগঞ্জে

নদীর পানি কমলেও সুনামগঞ্জের পৌর এলাকার বিভিন্ন আবাসিক এলাকা এখোনা পানিবন্দি। ছবিটি কালিপুর অবিাসিক এলাকা থেকে তোলা। ছবি: জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।

পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি সুনামগঞ্জে

যে সড়কে চলতো রিক্সা- মটর সাইকেলের মত যানবাহন ঠিক সেই রাস্তায় এখন চলছে নৌকা ছবিটি পৌর এলাকার কালিপুর অবিাসিক এলাকা থেকে তোলা। ছবি: জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।

সুনামগঞ্জে পাহাড়ী নদীসহ সুরমা নদীর পানি কয়েক সেন্টিমিটার কমলেও এখনও পানি সুরমা নদীর সুনামগঞ্জ পয়েন্ট দিয়ে বিপদ সীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি কূল উপচে প্রবেশ করায় সুনামগঞ্জ ও ছাতক পৌরসভার বেশিরভাগ এলাকাসহ জেলার সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ও ধর্মপাশায় উপজেলায় বন্যার পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি। দেখা দিয়েছে খাবার সংকট,নদী ভাঙ্গন। পানিবন্দি মানুষজন নিজেদের গৃহপালিত গরু-ছাগল নিয়েও বিপদে পড়েছেন। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে জেলার দোয়ারাবাজার, দিরাই, শাল্লা ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী বাজার ও গ্রামগুলোয় ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এদিকে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের প্রায় ১৫ টি আবাসিক এলাকা এখনো পানিবন্ধি হাজারো মানুষ। আবাসিক এলাকার সবকটি বাসা-বাড়িতে পানি। একদিকে বাড়িঘরে বন্যার পানি অন্যদিকে বিশুদ্ধ পানির সংকট। গত শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিপাত ও ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। হাওরের সবদিকে পানি ও নলকূপগুলো বন্যায় ডুবে যাওয়ায় সুনামগঞ্জের বেশ কয়েকটি উপজেলায় খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ করে যাচ্ছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। [caption id="attachment_232099" align="aligncenter" width="700"] যে সড়কে চলতো রিক্সা- মটর সাইকেলের মত যানবাহন ঠিক সেই রাস্তায় এখন চলছে নৌকা ছবিটি পৌর এলাকার কালিপুর অবিাসিক এলাকা থেকে তোলা। ছবি: জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।[/caption] বিশুদ্ধ পানির সংকট দূর করতে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ভাম্যমাণ ওয়াটার ট্যাংকের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে বিশুদ্ধ পানি সরবারহ করার ব্যবস্থা করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, বন্যা মোকাবেলায় এখন পর্যন্ত আমরা সুনামগঞ্জের প্রতিটি উপজেলায় চার লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট প্রদান করেছি। এছাড়া ৪০টি আশ্রয়কেন্দ্রে নলকূপ বসিয়েছি। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর যেন টিউবওয়েল পরিষ্কার করা যায় সেজন্য আমরা প্রতিটি উপজেলায় ৬০০ কেজি ব্লিচিং পাউডার দিয়েছি। সুনামগঞ্জের ৮৭ ইউনিয়ন ও চার পৌরসভার এক লাখ ৫৯ হাজার ৯০৩ পরিবারের মধ্যে থেকে ভিজিএফ’এর চাল বিতরণ শুরু হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। জানিয়েছেন, প্রতি ইউনিয়নের ১৫০০ থেকে ২০০০ পরিবার ১০ কেজি করে চাল পাবে। ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১৫০০ মে.টন চাল বরাদ্দ হয়েছে। আগামীকাল থেকে এই ভিজিএফ’এর চাল বিতরণ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App