×

সারাদেশ

দশ বছরেও মাথা গোজার ঠাঁই হয়নি ছম খাতুনের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২০, ১০:৪৮ এএম

দশ বছরেও মাথা গোজার ঠাঁই হয়নি ছম খাতুনের

ছম খাতুনের বিধস্ত বাড়ি। ছবি: প্রতিনিধি

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন প্রায় দশটি বছর। তারপরও মাথা গুজার ঠাঁই হয়নি ছম খাতুনের (৭৪)। বয়সের ভারে ভিক্ষাবৃত্তি করতেও কষ্ট হয় তার। কিন্তু জীবিকার তাগিদে তাকে ঘুরতে হয় গ্রামে গ্রামে। তাঁর বাড়ি শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের বনগাঁও চতল গ্রামে। তিনি মৃত আব্দুল আজিজের স্ত্রী। ছম খাতুন জানান, দুই কন্যা সন্তান রেখে দেশ স্বাধীনের পূর্বে তার স্বামী আব্দুল আজিজের মৃত্যু হয়। অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে দুই সন্তানকে লালন পালন করে বিবাহ দিয়েছেন। বড় কন্যা আলেছা খাতুনের ঘরে ৩ সন্তান। ছোট মেয়ে ছালেমা খাতুন ৪ সন্তানের জননী। ছালেমা খাতুনের স্বামী ৪ সন্তানসহ তাকে রেখে নিরুদ্দেশ। ওই ৪ নাতি ও মেয়েসহ ৬ সদস্যের পরিবার ছম খাতুনের। ছম খাতুন ভিক্ষাবৃত্তি করে যা পায় তাই দিয়ে চলে তার সংসার। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছেন, হেঁটে যেতেই শরীর কাঁপে ছম খাতুনের। তবুও থেমে নেই তার জীবন যুদ্ধ। প্রতিদিন বের হতে হয় ভিক্ষাবৃত্তি করতে। ভিক্ষাবৃত্তি করে যা পায় তাই দিয়ে খেয়ে না খেয়ে চলে তার সংসার। একদিন গ্রামে বের হতে না পারলে সেদিন চুলায় আগুন জ্বলেনা। দিন কাটে অনাহারে-অর্ধাহারে। নড়বড়ে ছাড়া সহায়-সম্বল বলতে কিছু নেই ছম খাতুনের। তাও ১০ বছর পূর্বে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। টাকা পয়সার অভাব। তাই ঘরটিও আর মেরামত করা সম্ভব হয়নি। থাকেন এখন অন্যের বাড়িতে। ছম খাতুন জানান, তার বিধ্বস্ত হয়ে পড়া ঘরটি মেরামতের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। কেউই সহযোগিতার হাত বাড়াননি। সরকারিভাবে তার পরিবারের জন্য মাথা গুজার ঠাঁই করে দেয়া হলে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবেন তিনি । এ ব্যাপারে গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মন্টু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, কেউ আমাকে এ সম্পর্কে জানায়নি। তবে সামনে সরকারি ঘর বরাদ্দ এলে তাকে দেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App