×

রাজনীতি

গণমাধ্যম গুজব ঠেকাতে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২০, ০৫:০৪ পিএম

গণমাধ্যম গুজব ঠেকাতে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে

রিয়ন্ড দ্যা প্যান্ডোমিকে বক্তারা।

যেকোনো ধরণের গুজব ঠেকাতে মূলধারা গণমাধ্যম জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে। কেননা সঠিক তথ্য সমাজে আলোর ভূমিকা পালন করে। কোনো কোনো অনিবন্ধিত সংবাদপত্র বা বা রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সরাসরি অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এই অপতথ্য যাতে মানুষের দোরগোরায় না পৌঁছায় সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ ও গনমাধ্যমকর্মীদের আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। মঙ্গলবার রাতে করোনাকালীন সংকট নিয়ে আওয়ামী লীগের বিশেষ ওয়েবিনার ‘বিয়ন্ড দ্যা প্যানডেমিক’ এর একাদশ পর্বের আলোচনায় অংশ নিয়ে এমন কথা বলেন বক্তারা।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় পর্বটি আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ও অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল এবং ভোরের কাগজসহ আরো গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজে প্রচার করা হয়। এবারের পর্বের আলোচনার বিষয় ছিলো ‘করোনা সংকট মোকাবেলায় সঠিক তথ্যপ্রবাহ’।

আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনায় দেশে আসার সঙ্গে সঙ্গেই প্রবাসীদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টানে রাখার চেষ্টা করা হয়েছিলো। মানুষের ঘনত্ব বিবেচনায় বাংলাদেশ অন্য দেশের তুলনায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কম। সব কিছু বন্ধ করে দেয়ার পর খেটে খাওয়া মানুষের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী ব্যাপক ত্রান কার্যক্রম শুরু করেছিলেন যা এখনও চলমান। প্রায় ৭ কোটি মানুষকে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১ কোটি ২৫ লাখ পরিবারের কাছে ত্রান সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমার সুরক্ষা আমার হাতে এই স্লোগানকে সামনে রেখে আমাদের প্রচেষ্টা ছিলো মানুষের কাছে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা। সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের মাধ্যমে জনগন যাতে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে, সচেতন রাখতে পারে, সেই তথ্যটা পৌঁছানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সচেতনতামূলক প্রচারনা এবং গুজবের বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য প্রচার করা হয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহম্মেদ পলক বলেন, সারাবিশ্বকে দুইটি মহামারির মোকাবিলা করতে হচ্ছে, একটি করোনা ভাইরাস অপরটি মিথ্যা অপপ্রচার। আমরা সংকটের শুরুতেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছিলাম যেখানে করোনা সংকট মোকাবিলায় জনগনকে সচেতন করতে এবং কোন এলাকা ঝুঁকিপূর্ন, পাবলিক প্রেসক্রিপশন, কোন এলাকায় হাপাতালের সংখ্যা কত ও সেলফ টেস্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ছিলো। সারাদেশে মানুষের দোরগোড়ায় ইন্টারনেট পৌছে যাওয়ার ফলে অবাধ তথ্য প্রবাহের মাধ্যমে করোনা সংকট মোকাবিলা সহজ হয়েছে। অনিবন্ধিত কোন ওয়েবসাইট বা নিউজ সাইটের কোন তথ্য জেনে মানুষ বিশ্বাস না করে সে ব্যাপারে সকলকে সচেতন থাকতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সঠিক তথ্য সমাজে আলোর ভূমিকা পালন করে। এই করোনা সংকটের সময় সঠিক তথ্যই আমাদের পথ দেখাচ্ছে। তথ্যভ্রান্তির এই যুগে বস্তুনির্ভর তথ্যই আমাদের আলোর পথে নিয়ে যেতে পারে। সাধারন মানুষ সঠিক তথ্য পেতে গণমাধ্যমের উপর নির্ভর করে থাকে, এখানে তথ্যের উৎস থেকে যদি সরাসরি তথ্যটা গনমাধ্যমে দেয়া হয় তাহলে ভথ্যবিভ্রান্তটা কমে যায়। তিনি আরো বলেন, করোনা সংকটের সময়ে আমরা দেখেছি কোন কোন অনিবন্ধিত সংবাদপত্র বা রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সরাসরি অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এই অপতথ্য যাতে মানুষের দোরগোরায় না পৌঁছায় সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যমকর্মীদের আরো গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করতে হবে।

সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ. আরাফাত বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিগুলোর জনগনের মধ্যে গুজব তৈরী এবং তা ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে সবসময় একটা উপযোগিতা আছে। এখন নতুন ভাবে তারা সোশাল মিডিয়া এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে ব্যবহার করার চেষ্টা করে। মূলধারার গণমাধ্যম গুজব ঠেকানোর জন্য এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে। কাজেই গণতন্ত্রের জন্যই আমাদের গণমাধ্যমকে প্রয়োজন।

এসময আরো বক্তব্য রাখেন, একাত্তর টিভির কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর মিথিলা ফারজানা, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App