করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের জন্য আসছে কোরবানি ঈদেও বন্ধ থাকছে দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলো। এমন বার্তা জানিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতারা। যদিও হল মালিকদের একাংশ ও চলচ্চিত্র প্রযোজনার সঙ্গে জড়িত অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি ও শর্ত সাপেক্ষে প্রেক্ষাগৃহ খোলার অনুরোধ জানিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর মধ্যে কয়েক দফায় আলোচনা হলেও প্রেক্ষাগৃহ খুলে দেয়া হবে, এমন সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হল মালিক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন বলেন, ‘সরকারের কাছে আবেদন করেছি সিনেমা হল খোলার বিষয়ে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এদিকে ঈদের আর দুই সপ্তাহ আছে। এরমধ্যে সিদ্ধান্ত আসলেও নতুন কোন সিনেমা মুক্তি পাবে তা নিয়েও জটিলতা তৈরি হবে। তাছাড়া সিদ্ধান্ত কবে আসবে সে বিষয়টিও আমরা জানি না। এজন্য এবারের ঈদেও আমরা সিনেমা হল খুলতে পারছি না। আমার মনে হচ্ছে ঈদেও সিনেমা হলগুলো বন্ধ থাকবে।’ অন্যদিকে রোজার ঈদে মুক্তির তালিকায় থাকা সিনেমাগুলোর মুক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন নির্মাতারা। তাছাড়া দীর্ঘদিন প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন সিনেমা হলের মালিক ও কর্মচারীরা। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে ও চলচ্চিত্রের অবস্থার পরিবর্তন আনতে সিনেমা হলগুলো দ্রুতই খুলে দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেকেই। এ বিষয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম বলেন, 'স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে গত ৩১ মে থেকে গণপরিবহণ চলছে। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে। এর মানে সিনেমা হলেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানতো। তারপরেও কেন সিনেমা হলগুলো খুলে দেওয়া হচ্ছে না তা বলা মুশকিল। আমরা সিনেমা হল খোলার জন্য আবেদন করেছি, এখন সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।’