×

সারাদেশ

বগুড়ায় বিপদসীমার ৮৯ সেন্টিমিটার উপরে বইছে যমুনা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২০, ০১:৪৯ পিএম

বগুড়ায় বিপদসীমার ৮৯ সেন্টিমিটার উপরে বইছে যমুনা

বগুড়ায় যমুনার পা‌নি বিপদসীমার ৮৯ সে‌ন্টি‌মিটার উপ‌র য়ে বইছে। প্লাবিত হয়েছে বিস্তৃর্ণ এলাকা

বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) দুপুর ১২টায় যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৮৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে ২৪ঘন্টায় ৪৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বগুড়া’র তথ্যমতে, জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। গত ৩০ জুন যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর গত ১ ও ২ জুলাই পানি স্থিতিশীল থাকে। তারপর থেকে এ নদীর পানি ৬৭ সেন্টিমিটার থেকে পর্যায়ক্রমে মোট ৮৭ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। গত ১০ জুলাই থেকে যমুনা নদীতে আবারও পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। বগুড়ার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির বিপদসীমা ধরা হয়েছে ১৬.৭০ সেন্টিমিটার। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় ওই পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদ সীমার ৪৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় যমুনা নদীর পানি ৮৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে অব্যাহত পানিবৃদ্ধির ফলে বগুড়ার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এই তিন উপজেলার চরাঞ্চল এবং নদী তীরের নিম্নাঞ্চলের ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যার কারনে অপরিপক্ক পাট কাটতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক। অন্যদিকে বন্যার পানি ঘরে প্রবেশ করায় দুর্গত এলাকার মানুষ আশ্রয়ণ কেন্দ্র, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয় নেওয়া স্থানে গবাদী প্রাণি’র সঙ্গে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। এরমধ্যে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে উঁচু স্থানে ঝুঁপড়ি ঘরে আশ্রয় নেয়া বানভাসীদের চরম কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। পানিবন্দি এলাকায় গো-খাদ্য ও নিরাপদ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে পানি কমতে শুরু করে আবার বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ধুনট উপজেলার বৈশাখী চরের আব্দুর রহমান বলেন, নতুন করে পানিবৃদ্ধি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছি। চরের উঁচু সড়কে ৩টি গরু ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছি। নিজেদের চেয়ে গোবাদী প্রাণি নিয়ে খুব সমস্যায় রয়েছি। বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারী প্রকৗশলী মোঃ হুমায়ুন কবির  জানান, যমুনা নদীতে বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৬ দশমিক ৭০ মিটার।  মঙ্গলবার (১৪জুলাই) সকাল  ৬টার হিসেব অনুযায়ী নদীর পানি ১৭.৪৭মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে এবং পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে বাঙ্গালী নদীতে বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫ দশমিক ৮৫ মিটার। বর্তমানে এই নদীতে বিপদসীমার ৩০ দশমিক ৩ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি আরও জানান, গেলা এক সপ্তাহে যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর পানি পর্যায়ক্রমে কমতে শুরু করে আবারো বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App