সুলতান বাদশার দাম ১০ লাখ টাকা!
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২০, ০৯:৫৮ এএম
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ১০ লাখ টাকা দাম হাঁকা হয়েছে ‘সুলতান বাদশা’র
মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও দফায় দফায় অতি বৃষ্টির সঙ্গে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে হাওরবাসী। এরই মাঝে সামনে আসছে কুরবানির ঈদ। কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে অনেকেই গরু লালন-পালন করছেন। যদিও হাওর এলাকায় এখন গবাদি পশু পালন করা অনেকটা কঠিন। তবুও হাওরের কোথাও কোথাও একটু উঁচু এলাকায় চলছে গরু পালন। কারণ কুরবানির ঈদে ভালো দামে বিক্রির একটা সুযোগ তৈরি হয়।
দেশে কুরবানির পশুর মধ্যে উট ও মহিষের দাম সব চাইতে বেশি। তবে এর মধ্যে ব্যতিক্রম হাওর বেষ্টিত ভাটির জনপদ নামে খ্যাত সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকা লাউড়েরগড় বাজারে। এখানে একটি গরুর দাম হাঁকা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। বিক্রেতা উপজেলার ৫নং বাদাঘাট ইউনিয়নের ছড়ারপাড় গ্রামের জামাল উদ্দিন। তিনি একজন বালি-পাথর ব্যবসায়ী। প্রতি বছরই শখের বশে গরু পালন করে বিক্রি করেন ঈদ মৌসুমে। এর আগেও উপজেলায় বড় বড় যে কয়টি গরু বিক্রি হয়েছে, সেগুলো তারই ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গেল রমজানের ঈদেও তিনি ৩টি বড় বড় গরু লাউড়েরগড় বাজারে জবাই করে বিক্রি করেছেন। একেকটা গরুর গোশত বিক্রি হয়েছে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা।
জামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, তিনি এ বছর যে গরুটির দাম হেঁকেছেন ১০ লাখ টাকা, তার নাম ‘সুলতান বাদশা’। গরুটি তিনি গত ৫ বছর ধরে নিজ গৃহে লালন-পালন করছেন। ‘সুলতান বাদশা’ উচ্চতায় ৫ ফুট, লম্বায় ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং ওজনে কমপক্ষে ২৬ মণ (১ হাজার ৪০ কেজি)। তিনি এ প্রতিবেদককে আরো বলেন, দেশের যে অবস্থা জানি না গরুর সঠিক মূল্য পাব কিনা। গত বছর কুরবানির ঈদে এই গরুটি ৭ লাখ টাকা দাম উঠেছিল বিক্রি করিনি। এ বছর ১০ লাখ টাকা পেলে বিক্রি করব। তিনি বলেন. গরুতে কোনো মোটা তাজাকরণ ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা হয়নি।