×

সারাদেশ

শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে দুই উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২০, ০২:১৩ পিএম

শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে দুই উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

নালিতাবাড়ি উপজেলার ভোগাই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নঞ্চল

শেরপুরের নালিতাবাড়ি ও ঝিনাইগাতীতে গত কয়েক দিনের অতিবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভোগাই, চেল্লাখালি সোমেশ্বরী, মহারশি ও কালঘোষা নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি রবিবার বিপদসীমার কাছাকাছি স্থান দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভোগাই নদীর ফকিরপাড়া এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার ভেঙ্গে গেছে। ওই ভাঙ্গা অংশ দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্রায় ১০টি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এ পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অপরদিকে চেল্লাখালি ও ভোগাই নদীতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সোমেশ্বরী নদীর পানির তোড়ে ধানশাইল-কুচনীপাড়া সড়কের বাগেরভিটা ব্রীজ হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার কান্দুলী, দাড়িয়ারপাড়, কুচনীপাড়া, সারিকালিনগর, দড়িকালিনগর, সুরিহারা, বালিয়াগাঁও, পাইকুড়া, ঘাগড়া, বেলতৈল, পুরুষ উত্তমখিলা, হাসলিগাঁও, হাসলিপাতিয়া, রাঙ্গামাটি হাতিবান্দাসহ প্রায় ২০টি গ্রামের শতশত মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার বেশ কিছু পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট পানির তলিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। হাতিবান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দোলা জানান, অবিরাম বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে তার ইউনিয়নের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি শতশত মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে বাগেরভিটা সেতু হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, তার ইউনিয়নের ৪-৫টি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। কৃষকদের বীজতলার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম তোতা বলেন, তার ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যোগাযোগ ব্যাবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মন্টু জানান, গত কয়েকদিনের অতিবর্ষন ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে তার কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন জানান, ঢলের পানিতে কৃষকদের বীজতলা ও শাক সবজির ক্ষেত ক্ষতি সাধিত হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, পানি বন্দি এলাকাগুলোতে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। তবে ২০ হেক্টর জমির বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, দ্রুত পানি কমে গেলে তেমন কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App