এটি কোনো লকডাউনের ছবি নয়...
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২০, ০৬:২৮ পিএম
ডুমুরিয়ায় সরকারি রাস্তায় বেড়া, বিপাকে গ্রামবাসী
উপরের ছবিটি দেখে মনে হতে পারে এটি করোনাভাইরাসের কারণে কোনো একটি এলাকার রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু আসলে তা নয়। সরকারি রাস্তা হওয়া সত্ত্বেও রাস্তাটিতে ঘেরা-বেড়া দেয়া হয়েছে। ডুমুরিয়া উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকায় এভাবেই ঘেরা-বেড়া দেয়া হয়।
এতে চলাচলে বিপাকে পড়েছে গ্রামের অনেক পরিবার। নিরুপায় হয়ে অসহায় মানুষগুলি ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শাহনাজ বেগমের নিকট লিখিত আবেদন করেছেন।
সরেজমিনে এবং আবেদন সূত্রে জানা গেছে, মির্জাপুর গ্রামের সুশান্ত মন্ডল, বুদ্ধিশ্বর হালদার, পরিতোষ মন্ডল ও কৃষ্ণ মন্ডলসহ গ্রামের অনেক পরিবারের লোকজন প্রায় এক যুগ ধরে সরকারিভাবে নির্মিত একটি ইটের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে আসছেন। সম্প্রতি ওই রাস্তাটি প্রতিবেশী অসিত মন্ডল, সুমন্ত মন্ডল ও দিনবন্ধু মন্ডলসহ কতিপয় লোকজন ইট তুলে ঘেরা-বেড়া দিয়েছেন। ফলে আবেদনকারীরা পড়েছেন মহাবিপাকে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিতভাবে এ আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সুশান্ত মন্ডল ও বুদ্ধিশ্বর হালদার বলেন, ‘আমরা প্রায় এক যুগ ধরে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছি। হঠাৎ করে প্রতিপক্ষরা রাস্তায় ঘেরা-বেড়া দিয়েছেন। আবার এই নিয়ে কোন বিরোধিতা করলে দেখে নেবেন বলে হুমকি ধামকিও দিচ্ছেন। বর্তমানে আমরাসহ গ্রামের মানুষরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিপক্ষ সুমন্ত মন্ডল জানান, এক যুগ আগে রাস্তাটি আমাদের শরীকের জায়গার ওপর করা হয়েছে। রাস্তাটি তৈরি করার সময় আমাদের জমির দাম বা সমপরিমাণ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা আজও পর্যন্ত জমি বা কোন টাকাও দেয়নি। তাই আমরা ঘেরা-বেড়া দিয়েছি।’
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শাহনাজ বেগম জানান, আবেদনপত্র পেয়ে বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা এসিল্যান্ড কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।