প্রবল বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বগুড়া জেলায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যমুনা নদীতে পানি গত ২৪ ঘন্টায় ৩০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। রোববার (১২ জুলাই) দুপুরে যমুনা নদীর সারিয়াকান্দির মথুরাপাড়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাছাড়া বাড়ছে বাঙ্গালী নদীর পানিও। ফলে জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। গেল এক সপ্তাহে এ নদীর পানি ৬৭ সেন্টিমিটার থেকে পর্যায়ক্রমে মোট ৮৭ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর আবারো পানি বাড়তে শুরু করেছে। অন্যদিকে বাঙ্গালীর বেড়েছে ৪০ সেন্টিমিটার। রোববার (১২ জুলাই) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারী প্রকৗশলী মো. হুমায়ুন কবির। জানা যায়, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সারিয়াকান্দি উপজেলার চরাঞ্চলের চালুয়াবাড়ী, কর্নিবাড়ী, কুতুবপুর, চন্দনবাইশা, কাজলা, কামালপুর ও সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো এবং পাট, ধানসহ ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যায়। এমন অবস্থায় কৃষক তাদের অপিরক্ক পাট কাটতে শুরু করে। এদিকে পানি কমতে শুরু করে আবার বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে এবং অসংখ্য মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধে। বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারী প্রকৗশলী মো. হুমায়ুন কবির জানান, যমুনা নদীতে বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৬ দশমিক ৭০ মিটার। রোববার (১২ জুলাই) দুপুর ৩টার হিসেব অনুযায়ী নদীর পানি ১৬.৮৫ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে এবং পানি বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। তিনি জানান, বাঙ্গালী নদীতে বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫ দশমিক ৮৫ মিটার। বর্তমানে এই নদীতে ১৫ দশমিক ৫৪ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ নদীর পানিও কমতে শুরু করে আবারো ৪০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। তিনি আরও জানান, গেল এক সপ্তাহে যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর পানি পর্যায়ক্রমে কমতে শুরু করে আবারো দুই দিন হলো বৃদ্ধি পাচ্ছে।