×

জাতীয়

পরিস্থিতি বুঝেই সাজানো হবে মুজিববর্ষের কর্মসূচি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২০, ১০:৫৮ এএম

পরিস্থিতি বুঝেই সাজানো হবে মুজিববর্ষের কর্মসূচি
ইতোমধ্যে পেরিয়ে গেছে ৪ মাস। বাকি আছে আর ৮ মাস। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে বছরজুড়ে চলমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষের বিশাল কর্মযজ্ঞের অনুষ্ঠানে কিছু সংযোজন-বিয়োজন আসবে। পরিস্থিতিমাফিক সাজানো হবে অনুষ্ঠান। করোনা ভাইরাসের কারণে অনুষ্ঠানমালা সাজানোর ক্ষেত্রে টিভি, বেতারসহ ডিজিটাল মাধ্যমকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু স্থানে আলোকচিত্র প্রদর্শনী, লেজার শোর মতো বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান পালন করা হবে। এদিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির শোকের মাস আগস্ট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। ইতোমধ্যে সপরিবারে জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের শোকাবহ ১৫ আগস্টের কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে। শোকের দিনে শিল্পকলা একাডেমিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) মাধ্যমে আলোচনা সভাসহ প্যাকেজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অন্যান্য চ্যানেল, অনলাইনও বিটিভির অনুষ্ঠানগুলো প্রচার করবে। পত্রিকা, অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে। এছাড়া ৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল ও ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জন্মদিন বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। টেলিভিশন প্রোগ্রামের মাধ্যমেই অনুষ্ঠান পালন করা হবে। জানতে চাইলে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ভোরের কাগজকে বলেন, সবকিছুই নির্ভর করবে করোনা পরিস্থিতির ওপর। বিশ^জুড়ে ভয়ঙ্কর এই করোনা পরিস্থিতি কতদিন থাকবে আমরা কেউই তা জানি না। আন্দাজ করাও সম্ভব নয়। মুজিববর্ষের কর্মসূচি একদিনের নয়। বছরব্যাপী। সময় এবং প্রয়োজনমাফিক কর্মসূচিগুলো পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে। কিছু সংযোজন-বিয়োজনের করে পরিস্থিতিমাফিক অনুষ্ঠান সাজানো হচ্ছে। এদিকে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারিতে বাংলাদেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সীমিত আকারে মুজিববর্ষের কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাতিল করা হয় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের ঝমকালো অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাস করে গত ১৭ মার্চ সীমিত পরিসরে টেলিভিশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতি নরেন্দ্র মোদিসহ সব বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত হতে পারেননি। তবে তাদের বক্তৃতা তুলে ধরা হয় প্যাকেজ প্রোগ্রামের মাধ্যমে। মুজিববর্ষে বছরব্যাপী কর্মসূচিতে বিশে^র বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপধান, সরকারপ্রধানসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের যোগ দেয়ার কথা ছিল। বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোও নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল। করোনার কারণে এখন গোটা বিশ্বই প্রায় অচল। অন্যান্য কর্মকাণ্ডের মতোই সীমিত করতে হয়েছে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন ভোরের কাগজকে বলেন, মুজিববর্ষের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সেক্টরে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। পৃথিবী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার পর মুজিবর্ষের অন্যান্য অনেক অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী পুনর্বিন্যস্ত কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দুতাবাসগুলো অনুরূপ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App