×

জাতীয়

জুনে ৩৯৫ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৪২৮

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২০, ০২:৫২ পিএম

জুনে ৩৯৫ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৪২৮

ফাইল ছবি

চলতি বছরের জুন মাসে দেশে সড়ক, রেল ও নৌ দুর্ঘটনায় ৪২৮ জন মৃত, ৫৮২ জন আহত হয়েছে গেছে এবং ১০ জন নিখোজ রয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল। রবিবার (১২ জুলাই) বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পাঠানো পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক, অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী- জুন মাসে দেশে ৩৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৬৮ জন নিহত ও ৫১৮ জন আহত হয়েছেন। একই সময় রেলপথে ২০টি দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। নৌপথে ১৭টি দুর্ঘটনায় ৪৫ জন নিহত, ৬০ জন আহত ও ১০ জনের নিখোঁজ সংবাদ পাওয়া গেছে।

পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ১১৬ জন চালক, ৯৮ জন পথচারী, ৪৯ জন নারী, ৪৬ জন পরিবহন শ্রমিক, ২১ জন শিশু, ১৯ জন ছাত্র-ছাত্রী, আটজন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সাতজন শিক্ষক, একজন চিকিৎসক, একজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন প্রকৗশলী, পাঁচজন পুলিশ ও দু’জন বিজিবি সদস্য ছিলেন।

এসময় সংগঠিত দুর্ঘটনায় ৩৪ দশমিক নয় শতাংশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ২৪ দশমিক ১৫ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১২ দশমিক এক শতাংশ বাস, নয় দশমিক ২৪ শতাংশ নছিমন-করিমন, আট দশমিক ১১ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, সাত দশমিক ১৫ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, চার দশমিক ৩৪ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

এ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ৮ জুন। এদিন মোট ২২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ১০ জুন। এদিন আটটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত ও ১৪ জন আহত হন। গত মে মাসের তুলনায় বিগত জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬ দশমিক ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি, নিহত ৫৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ ও আহতের হার ৪৩ দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়েছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেছেন, সড়ক নিরাপত্তায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি ও জবাবদিহীতার অভাবে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বাড়ছে। সরকারের আন্তরিকতা ও বিগত নির্বাচনে রাজনৈতিক অঙ্গিকার থাকলেও বর্তমান সরকারের দু’টি বাজেটে তার কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস পদ্ধতি ঢেলে সাজানো ছাড়া সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App