×

সারাদেশ

কুড়িগ্রামে ফের পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২০, ০৮:৩২ পিএম

কুড়িগ্রামে ফের পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ

কুড়িগ্রামে ফের বন্যার কবলে মানুষ/ ছবি- ভোরের কাগজ

কুড়িগ্রামের বন্যা কবলিত মানুষ ঘরে ফিরতে না ফিরতেই আবারও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ধরলা নদের পানি প্রবাহিত হওয়ায় ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।গত এক সপ্তাহ আগে হয়ে যাওয়া, বন্যায় খাদ্যের মজুদ ও সঞ্চিত টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় এসব মানুষ এখন চরম খাদ্য সংকটে পড়েছেন বন্যাকবলিত এলাকার মানুষজন। কাউনের চাল, চিনা ও চরে উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়াই এখন বানভাসী অভুক্ত মানুষের বাঁচার অবলম্বন হয়ে উঠেছে। সাথে আছে সুপেয় পানির তীব্র সংকট।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুম জানায়, রবিবার বিকাল তিনটায় ধরলা নদী কুড়িগ্রাম সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, তিস্তা নদী কাউনিয়া পয়েন্টে ২ সেন্টি মিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদের নুনখাওয়া পয়েন্টে২৫ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দ্রুত বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। ব্রহ্মপুত্র নদ বিচ্ছিন উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন জানান, তার এলাকায় বন্যাকবলিত মানুষজন খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকটে রয়েছেন। গত দুই দিনে তার এলাকার বালাডোবা, সরকার পাড়া, খুদিরকুঠি, শেখ পালানু মৌজা, মশালের চর ও আমিনবাজার এলকার ৫৭টি বাড়ি নদীতে বিলিন হয়েছে। সর্বস্ব হারিয়ে এসব পরিবার এখন রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। গত বন্যায় ৩শ’ প্যাকেট শুকনা খাবার পেয়েছিলেন। এবার এখন পর্যন্ত বানভাসি মানুষের জন্য কোনো ত্রাণ পাননাই বলে জানান তিনি।

একই উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের অজুর্ন গ্রামের দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল জলিল, রবুল হোসেন, আবুল প্রামাণিক, ও কছর উদ্দিনের বাড়ি কত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তিস্তা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়াও তিস্তা অববাহিকায় ভাঙ্গনে হুমকির মুখে রয়েছে, দলদরিয়া ইউনিয়নের উত্তর পাড়া, অর্জুন, শেখের খামার, রাজ নগর,নালারচর হাসানীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও থেতরাই উনিয়নের থেতরাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,পাকার মাথাসহ শতাধিক ঘর-বাড়ি।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দীলিপ কুমার সাহা জানান, ঈদকে সামনে রেখে ৪ লাখ সাড়ে ২৮ হাজার পরিবারের জন্য ১০ কেজি করে ভিজিএফ’র চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা দ্রুত বিতরণ করা হবে। এছাড়া ৩৯০ মেট্রিটন চাল, ১২ লাখ টাকা মজুদ আছে। এরমধ্যে ২ লাখ শিশু খাদ্য ও ২ লাখ টাকা পশুখাদ্যের জন্য বরাদ্দ আছে। এগুলো বন্যা কবলিতদের মাঝে বিতরণ করা হবে। জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম বলেন,৪০০ মেট্রিক টন চাল ৮ লাখ টাকা হাতে রয়েছে। এছাড়াও শিশু খাদ্যের জন্য ৩ লাখ ও গো - খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা আছে যা দ্রুত বিতরণ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App