করোনা ভাইরাস ও প্রথম দফায় বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই আবারো তাহিরপুরে ভয়াবহ বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফের পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে জেলা সদরের সঙ্গে উপজেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া হুমকির মুখে রয়েছে নদী তীরবর্তী ১০টি গ্রামের বেড়িবাঁধ। দ্রুত এসব বাঁধ মেরামতের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জানা গেছে, বন্যার পানিতে উপজেলার বালিজুরী, বাদাঘাট উত্তর, বড়দল উত্তর, বড়দল দক্ষিণ, শ্রীপুর উত্তর, শ্রীপুর দক্ষিণ তাহিরপুর সদরসহ ৭ ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গৃহপালিত পশু, গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনো উপজেলার অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। উপজেলার সীমান্ত নদী যাদুকাটার পানি বিপদসীমার ১২৫ সে.মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তাহিরপুরে ২৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ জানিয়েছেন, জরুরি ভিত্তিতে বন্যাকবলিতদের মধ্যে শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ১ টন করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান জানিয়েছেন, রবিবার (আজ) তাহিরপুরে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। যদি এ রকম ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে তাহলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে। স্থানীয় সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় আশ্রয়কেন্দ্র অপ্রতুল হওয়ায় আপাতত স্কুলে বানভাসিদের আশ্রয় নিতে বলেছি। তবে গৃহপালিত পশু নিয়ে হাওরবাসী বিপাকে পড়েছেন। এ বিষয়ে তাদের সহায়তার উপায় খুঁজছি। তাছাড়া জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে বানভাসিদের সাধ্যমতো সাহায্য-সহযোগিতা করছি।