দ্বিতীয়বারের মতো পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘মিডিয়া ফেলোশিপ’ পেয়েছেন ভোরের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার মরিয়ম সেঁজুতি।

শনিবার (১১ জুলাই) অধিদফতরের আইইএম ইউনিটের এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপন ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মিডিয়া ফেলোশিপ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় নির্বাচিত ৪৬ জন গণমাধ্যমকর্মীকে প্রতীকী ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুর হার অনেক কম। করোনার সময়গুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাটাবেন। মাস্ক পরে বাসা থেকে বের হবেন। সামাজিক দূরত্ব তিন ফুট নয়, ছয় ফুট বজায় রাখবেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের দেশে করোনার প্রভাবের কারণে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবাও কিছুটা কমেছে। করোনার মায়েদের ঘরের কাজ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দেশে দারিদ্র্যসীমা বেড়ে যেতে পারে। করোনা বৃদ্ধি পেলে বাল্যবিয়েও বাড়তে পারে।

এ বছর পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (আইইএম) ড. আশরাফুন্নেছা নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ করেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের আইইএম ইউনিটের আইইসি অপারেশনাল প্ল্যানের ২০২০ সালের পরিবার পরিকল্পনা, মা, শিশু ও নবজাতক স্বাস্থ্য এবং জনসংখ্যা ইস্যু বিষয়ক লেখালেখি নিয়ে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, অনলাইন, সোশ্যাল মিডিয়ার সাংবাদিকদের মধ্যে মিডিয়া ফেলোশিপ (৩ মাসের) প্রদানের লক্ষ্যে এ ফেলোশিপ প্রদান করা হলো। নির্বাচিত প্রত্যেকে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা করে পাবেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান।

অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ পরিবার পরিকল্পনা কর্মী ও শ্রেষ্ঠ সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়া হয়। একই সঙ্গে ৬ জন গণমাধ্যমকর্মীকে মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ও ৪০ জন মিডিয়া কর্মীকে মিডিয়া ফেলোশিপ- ২০২০ দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, মরিয়ম সেঁজুতি ২০১৯ সালেও পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মিডিয়া ফেলোশিপ লাভ করেন।