×

পুরনো খবর

বানবন্দী জীবনের টুকরো গল্প

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২০, ০৮:৪৪ পিএম

বানবন্দী জীবনের টুকরো গল্প

করোনায় তিনমাস কাজ বন্ধ রৌমারীর চর ইটালুকান্দার দিনমজুর মোগল হোসেনের। এর মধ্যেই হানা দিয়েছে বন্যা। রাতে মাথার ওপর পলিথিন, দিনে খোলা আকাশ। রান্না দিনে একবার, তাও বিশুদ্ধ পানির অভাব।

বানবন্দী জীবনের টুকরো গল্প

রৌমারী সদরের সঙ্গে ৮ গ্রামের ২৫ হাজার মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো উজানের ঢলে লণ্ডভণ্ড। বিকল্প ভরসা নৌকা। তাও কি সবার ভাগ্যে মেলে। স্রোতে ঝুঁকিও প্রবল।

বানবন্দী জীবনের টুকরো গল্প

চর ইটালুকান্দার বাহর আলীর ১১ সদস্যের বিশাল পরিবার। নৌকা চালিয়েই চলে বড় এ সংসার। বানে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর। গোটা পরিবারই এখন বাহরের নৌকাবাড়িতে। নৌকায় ভেসে ভেসে মাছ ধরছেন বাহর আলী।

বানবন্দী জীবনের টুকরো গল্প

রৌমারীর কুটিরচর গ্রামের রিয়াজুলের ছয় সদস্যের পরিবারে রয়েছে বাচ্চা কাচ্চাও। বাড়িঘরে হাঁটুপানি তাই ঝুঁকিতে বাচ্চা কাচ্চারা। কখন পানিতে নামে সেই ভাবনায় দিশেহারা গোটা পরিবার।

বানবন্দী জীবনের টুকরো গল্প

চর ইটালুকান্দা গ্রামের বানভাসিরা ‘নূহের নৌকায়’ আসবাবপত্র, গরু, ছাগল, পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটছেন জেগে থাকা উঁচু জায়গায়। তবে কোথাও মিলছে না স্বস্তির জায়গাটি। তাই তো নৌকাঘর নিয়ে এ চর ও চর করে বেড়াচ্ছেন অনেকে।

বানবন্দী জীবনের টুকরো গল্প

অনিশ্চিত অপেক্ষা... করোনার কারণে তিনমাস ধরে কাজ হারিয়েছেন কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চর ইটালুকান্দার দিনমজুর মোগল হোসেন। খেয়ে না খেয়ে চলছিল সংকটের জীবন। এর মধ্যেই হানা দিয়েছে বন্যা। ঘরবাড়ি সব তলিয়ে গেলে চরের ছোট্ট একটা দ্বীপ মতোন উঁচু জায়গায় পরিবার নিয়ে ভয়াবহ দিন কাটছে। রাতে মাথার ওপর পলিথিন, দিনভর খোলা আকাশ। রান্না দিনে একবার, তাও আবার বিশুদ্ধ পানি নেই। কখনও শুধু লবণ মেখেই চলছে সেদ্ধ চাল খাওয়া। কবে নামবে অভিশপ্ত বানের পানি, কবে দূর হবে করোনাকাল তার জন্যই যেন অনিশ্চিত অপেক্ষা।

উজানের ঢল আর অতিবর্ষণের পানি সবার আগে হামলে পড়ে ব্রহ্মপুত্র নদে। ফুলে ফেঁপে ওঠে নদের বুক। ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে রৌমারীর জনজীবনে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। পানি কখনও বাড়ে আর কখন কমে তার ঠিক নেই। এই অনিশ্চয়তায় রৌমারীর নিম্ন আয়ের মানুষ দিশেহারা। ঘুরে ঘুরে সেই দৃশ্য দেখে ক্যামেরাবন্দী করেছেন ভোরের কাগজের রৌমারী প্রতিনিধি মাসুদ পারভেজ রুবেল।

[caption id="attachment_231099" align="aligncenter" width="1280"] অনিশ্চিত অপেক্ষা...[/caption]

করোনার কারণে তিনমাস ধরে কাজ হারিয়েছেন কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চর ইটালুকান্দার দিনমজুর মোগল হোসেন। খেয়ে না খেয়ে চলছিল সংকটের জীবন। এর মধ্যেই হানা দিয়েছে বন্যা। ঘরবাড়ি সব তলিয়ে গেলে চরের ছোট্ট একটা দ্বীপ মতোন উঁচু জায়গায় পরিবার নিয়ে ভয়াবহ দিন কাটছে। রাতে মাথার ওপর পলিথিন, দিনভর খোলা আকাশ। রান্না দিনে একবার, তাও আবার বিশুদ্ধ পানি নেই। কখনও শুধু লবণ মেখেই চলছে সেদ্ধ চাল খাওয়া। কবে নামবে অভিশপ্ত বানের পানি, কবে দূর হবে করোনাকাল তার জন্যই যেন অনিশ্চিত অপেক্ষা।

[caption id="attachment_231100" align="aligncenter" width="1280"] ভরসা ভেঙে লণ্ডভণ্ড...[/caption]

রৌমারী উপজেলা সদরের সঙ্গে ৮ গ্রামের ২৫ হাজার মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। উজানের ঢলের তোড়ে সেই ভরসাই হয়ে গেছে লণ্ডভণ্ড। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সাঁকো পারাপার। তাই বিকল্প ভরসা নৌকা। তাও কি সবার ভাগ্যে মেলে। স্রোতে ঝুঁকিও প্রবল। -মাসুদ পারভেজ রুবেল।

[caption id="attachment_231102" align="aligncenter" width="1280"] নৌকাবাড়ি...[/caption]

রৌমারীর চর ইটালুকান্দার বাহর আলীর ১১ সদস্যের বিশাল পরিবার। নৌকা চালিয়েই চলে বড় এ সংসার। বানের পানি নৌকায় আয়ের আশা জাগালেও ঘটেছে উল্টো ঘটনা। বানের পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর। গোটা পরিবারই এখন আশ্রয় নিয়েছে বাহরের নৌকাবাড়িতে। কষ্ট বুকে চাপা দিয়ে বাঁচার তাগিদে নৌকায় ভেসে ভেসে মাছ ধরছেন বাহর আলী।

[caption id="attachment_231103" align="aligncenter" width="1280"] ভয় বাড়াচ্ছে কাচ্চাবাচ্চারা...[/caption]

রৌমারীর কুটিরচর গ্রামের রিয়াজুলের ছয় সদস্যের পরিবারে রয়েছে বাচ্চা কাচ্চাও। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে যাওয়ায় বাড়িঘরে হাঁটুপানি। বড় ঝুঁকিতে বাচ্চা কাচ্চারা। কখন পানিতে নামে সেই ভাবনায় দিশেহারা গোটা পরিবার।

[caption id="attachment_231104" align="aligncenter" width="1280"] নৌকাবাস...[/caption]

চর ইটালুকান্দা গ্রামের বানভাসিরা এখন যেন ছিন্নমূল। কোথাও নেই ঠাঁই। ‘নূহের নৌকা’ যেন ঘরে ঘরে। নৌকায় আসবাবপত্র, গরু, ছাগল, পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটছেন জেগে থাকা উঁচু জায়গায়। তবে কোথাও মিলছে না স্বস্তির জায়গাটি। তাই তো নৌকাঘর নিয়ে এ চর ও চর করে বেড়াচ্ছেন অনেকে। নৌকা ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে এটা প্রমোদতরী মনে হলেও ইটালুকান্দাবাসীর কাছে জীবনের সবচেয়ে বড় অভিশাপ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App