×

পুরনো খবর

নাজুক স্বাস্থ্যব্যবস্থা করোনায় উন্মোচন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২০, ০৯:০৪ পিএম

পুঁজিবাদী দুটি দেশেরও সাফল্য আছে করোনা নিয়ন্ত্রণে এবং সার্বিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নে। যেমন অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু এই দুটি দেশই অত্যধিক উন্নত। তাই তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো তুলনা হতে পারে না। আমরা কেরালা, নেপাল, কিউবা ও ভিয়েতনামের মতো ছোট দেশ ও রাজ্যগুলো থেকে শিক্ষা নিতে পারলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে- আমাদের ভঙ্গুর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা সর্বজনীন রূপও পেতে পারে।

চার মাস যাবৎ করোনা সংক্রমণ দেশের সব স্তরের মানুষকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে এভাবে- মৃত্যুর মিছিল, নিকট ও বিশিষ্টজনদের অনাকাক্সিক্ষত বিদায়, ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, হাসপাতাল, বেড, বিশেষ ধরনের নিরাপত্তামূলক পোশাক, আইসিইউ, অক্সিজেন, করোনা পরীক্ষার কিট ও ল্যাব প্রভৃতির নিদারুণ স্বল্পতা, পথে-ঘাটে বহু রোগীর মৃত্যু, ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, বিচারক, সাংবাদিক, শিল্পী, সাধারণ স্বল্পবিত্ত, নিম্নবিত্তসহ সব স্তরের নারী-পুরুষের হাজারে হাজারে সংক্রমণ, দেশব্যাপী ভাইরাসটির বিস্তৃতি, হাজার হাজার মৃত্যু কোনোদিন অতীতে দেখিনি।

রোগী আছে কিন্তু চিকিৎসা নেই, প্রতিষেধক নেই, প্রতিরোধক নেই, এমন রোগের কথাও কোনোদিন শুনিনি। কিন্তু এই ভয়াবহতা বাঙালি জাতির চোখ খুলে দিতে সহায়ক হলো আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থার বহুমুখী দুর্বলতা, স্বাস্থ্যব্যবস্থার ক্রমোন্নতি সাধনে আমাদের রাষ্ট্রীয় অবহেলা- এসবই আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যেন। জানি না, মানুষ বাঁচানোর জন্য অপরিহার্য উন্নত, যুগোপযোগী, বিজ্ঞানসম্মতভাবে স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন বাস্তবে রাষ্ট্রের কাছে সর্বাধিক প্রাধান্য পাবে কিনা। অন্তত ২০২০-২১ এর সাম্প্রতিক অনুমোদিত বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের জন্য যে বরাদ্দ ধরা হয়েছে তাতেই বুঝা যায়- আমরা এখনো স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নকে গতানুগতিক চিন্তার মধ্যেই আটকে রেখেছি।

সম্ভবত আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রতিশ্রুতির মৌলিক বিষয়গুলোও ভুলে গিয়েছি। ওই মৌলিক প্রতিশ্রুতিগুলো যথার্থভাবে বিধৃত হয়েছিল বাহাত্তরের সংবিধানে। সেখানে স্পষ্টাক্ষরে লেখা হয়েছিল- খাদ্য, আশ্রয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রভৃতি প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকারভুক্ত। এই সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা যদি বিগত দিনগুলোতে আমরা মেনে চলতাম- তাহলে আজ আর করোনার চিকিৎসার ব্যাপারে আমাদের এমন হিমশিম খেতে হতো না।

আমাদের জনসংখ্যা ১৭ কোটি বা তার কাছাকাছি। প্রতি ২০০ নাগরিকের জন্য একটি করে বেড কেন থাকবে না? বাস্তবে আছে কত? ২ হাজার নাগরিকের জন্যও একটি বেড নেই। রোগীরা ভর্তি হতে গেলেই জবাব আসে বেড খালি নেই। ভেতরে ঢুকলে দেখা যায় বেড তো খালি নেই-ই, রোগীরা (নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে) অনেকেই মেঝেতে চাদর পেতে শুয়ে আছেন। আবার বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে দৃশ্য সম্পূর্ণই ভিন্ন। অনেক বেশি ছিমছাম। সর্বত্র এসির নিয়ন্ত্রণ। নির্দিষ্টসংখ্যক বেড অনুযায়ী ভর্তি। রোগীর স্বজনরা যদি বিপুল ব্যয় বহন করতে পারেন সে ক্ষেত্রেই কেবল তারা সুচিকিৎসা পেতে পারেন।

আর সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হওয়াই দুরূহ। দিনের পর দিন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য ঘুরেও ব্যর্থ হওয়ার ফলে বাড়িতেই মৃত্যুবরণ করতে বাধ্য হন এমন উদাহরণের অভাব নেই। আবার কায়ক্লেশে ভর্তি হতে পারলেও দেখা যায় ডাক্তার হয়তো ঠিকমতো দেখতে আসেন না, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সাক্ষাৎ পাওয়া যায় কেবলই অর্থের বিনিময়ে, ওষুধ কিনে দিতে হয় হাসপাতাল সংলগ্ন দোকানগুলো থেকে। অথচ ওষুধ বাবদ প্রতি বছর সরকারের ব্যয় হয় হাজার হাজার কোটি টাকা। হাসপাতালে সরকারি টাকায় কেনা ওষুধই চলে যায় পার্শ্ববর্তী দোকানগুলোতে এবং সেখান থেকে কিনে খেতে হয় রোগীকে বিনা পয়সায় তার প্রাপ্য ওই ওষুধগুলো।

সংবিধানে লেখা থাকা মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দুটি হলো শিক্ষা ও স্বাস্থ্য। কিন্তু প্রতি বছর সরকার এই দুটি খাতে যে অর্থ বরাদ্দ করে থাকে তাতে সব মানুষের ওই দুটি মৌলিক অধিকার কার্যত অস্বীকৃত হয়। শিক্ষাক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের সংখ্যা অতীতের তুলনায় বহুগুণ বেড়েছে- বেড়েছে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যাও। কিন্তু শিক্ষার মান ক্রমক্ষীয়মান। এই দুষ্ট ক্ষতের হাত থেকে রেহাই কতদিনে এবং কীভাবে পাওয়া যাবে কেউই তা বলতে পারেন না কারণ মানোন্নয়নের বিষয়টি এজেন্ডাতেই নেই। শিক্ষা খাতে যে বরাদ্দ হয় তা শিক্ষকের বেতন এবং দালানকোঠা নির্মাণেই ব্যয় হয়। মান সংক্রান্ত বিষয়টি চরমভাবে উপেক্ষিত।

আবার বাংলায় শিক্ষা, ইংরেজিতে শিক্ষা, আরবিতে শিক্ষার নামে শিক্ষাক্ষেত্রে নেমে এসেছে মারাত্মক বৈষম্য। আরবি শিক্ষায় সরকারি ব্যয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতি বছর অথচ ওই শিক্ষার সঙ্গে বিজ্ঞান শিক্ষার সমন্বয় আজো ঘটানো হয়নি। ফলে ওই শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে লাখ লাখ ছেলেমেয়ে শুধু ধর্মীয় আবেগে কিন্তু তাদের ভবিষ্যৎ থেকে যাচ্ছে অন্ধকারের কূপে নিক্ষিপ্ত। ধর্মীয় বৈষম্য সাম্প্রদায়িকতা প্রভৃতিও বেড়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সূক্ষ্মভাবে বিবেচনা করলে এই তিন ধরনের শিক্ষা চালু করে সংবিধানের মৌলিক দিকগুলোর প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়েছে। জাতীয় অঙ্গীকার ছিল এককেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা। পৃথিবীর সব উন্নত দেশের শিক্ষাব্যবস্থার খবর নিলে আমাদের মতো বহুকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার সন্ধান কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।

স্বাস্থ্যব্যবস্থার মূল বিষয় হলো তার সর্বজনীনতা। কিন্তু স্বাস্থ্য শিক্ষার সুযোগ সারাদেশে আজো অত্যন্ত কম। যতটুকুও বা আছে তাতে আসন সংখ্যা মারাত্মকভাবে কম হওয়ায় আগ্রহী এবং যোগ্যতাসম্পন্ন ছেলেমেয়েদের একটি বড় অংশই মেডিকেল শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত হয়ে থাকে। মেডিকেল শিক্ষাসহ সব শিক্ষাক্ষেত্রেই গবেষণার বিষয়টি আমাদের দেশে আজো সর্বাধিক উপেক্ষিত। চলমান করোনা সংকটের মুহূর্তে বিষয়টি সবারই নজর কাড়ছে। গবেষণা এবং নতুন নতুন আবিষ্কারের জন্য আমাদের বিদেশমুখীনতা সর্বগ্রাসী। নিজস্ব উদ্যোগে কেউ সে কাজে এগিয়ে এলে সেক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সহযোগিতার নিদারুণ অভাব। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র আবিষ্কৃত কিটসের অনুমোদন নিয়ে সরকারি টালবাহানার অন্তরালে দুর্নীতিবাজ শক্তিশালী মহলের হাত সক্রিয় বলেই সকলের অনুমান।

চিকিৎসার আওতায় দেশের সব নাগরিককে যদি আমরা আনতে চাই তাহলে আমরা এ ক্ষেত্রে কিউবা ও ভিয়েতনামকে মডেল হিসেবে ধরে নিতে পারি এবং ওই দেশ দুটি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সমস্যাটির সমাধান করতে পারি। লাতিন আমেরিকার দেশ কিউবা বিপ্লবের মাধ্যমে ফিদেল ক্যাস্ট্রোর নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসীন হলে বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদের মোড়ল মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ সমর্থিত এক একনায়ককে উৎখাত করে শাসন ক্ষমতা দখলের পর পরই। দেশটির ওপর মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিধিনিষেধ আরোপ করে কিউবার বিপ্লবকে অঙ্কুরেই বিনাশের চেষ্টায় মেতে ওঠে। এমনকি বিপ্লবী জননেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রোকে হত্যা বা তার ক্ষমতাচ্যুতির লক্ষ্যে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেও তাদের হীনউদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ব্যর্থ হয়। অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা কিউবার বিরুদ্ধে আমেরিকা আজো জারি রেখেছে।

বিপ্লবের পর পরই ফিদেল ক্যাস্ট্রোর নজরে পড়ল দেশটির সামগ্রিক দুরবস্থা বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে। সহায়তা চাইলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত লাতিন আমেরিকার ক্ষুদ্র এই দেশটির উন্নয়নের জন্য আমেরিকান সরকারের কাছে হলো প্রত্যাখ্যাত। এ অবস্থায় ক্যাস্ট্রো সিদ্ধান্ত নিলেন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নয়নকে বাজেটে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেশটিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গড়ে তুলবেন। সাধারণ ও স্বাস্থ্যশিক্ষা গবেষণার ওপরও গুরুত্ব প্রদান করলেন। গড়ে উঠল সাধারণ স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল স্কুল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, অসংখ্য আধুনিক হাসপাতাল প্রভৃতি। সুফলও পেলেন কিউবানরা। প্রতিটি নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষা এবং প্রতিটি নাগরিকের জন্য সর্বাধুনিক চিকিৎসা বিনামূল্যে।

এবার করোনা দুর্যোগের সময় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ইতালি (একটি উন্নত পুঁজিবাদী ইউরোপিয়ান রাষ্ট্র) করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য শরণাপন্ন হলো কমিউনিস্ট রাষ্ট্র কিউবার। মানবিক চিন্তায় উদ্বুদ্ধ কিউবা অনেক মেডিকেল টিম, ডাক্তার, নার্স, চিকিৎসা সামগ্রী ও ওষুধপত্র নিয়ে ইতালিতে এবং আরো কতিপয় দেশে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় আত্মনিয়োগ করে। তারা প্রায় ৫ বছরব্যাপী সশস্ত্র লড়াইয়ের মাধ্যমে স্বৈরাচারী, গণবিরোধী বাতিস্তা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ১৯৫৯ সালে বিপ্লবের সব সমাপ্তি সাধন করে ক্ষমতাসীন হন ফিদেল ক্যাস্ট্রোর নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট পার্টি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ১২ বছর আগে। কিন্তু এর মধ্যেই কিউবার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। করোনা চিকিৎসায় সাফল্য ব্যাপকভাবে বিশে^র সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছে এবং আরো বিস্ময়কর হলো অতি উন্নত বলে খ্যাত আমেরিকায় পৃথিবীর সর্বাধিকসংখ্যক মানুষ প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছেন- সেখানে তারই অদূরে ছোট্ট দেশ কিউবার প্রায় ১১ কোটি মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় শূন্য। কোনো জাদুবলে নয়, বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ ব্যবহারেই সমাজতান্ত্রিক কিউবা এই অসাধারণ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

এবারে আসি এশিয়ার দেশ ভিয়েতনামে। এই দেশটি ২০ বছরব্যাপী হো চি মিনের নেতৃত্বে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ করে স্বধীনতা অর্জন করে ১৯৭৩ সালে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ভিয়েতনামকেও তখন থেকে আজ পর্যন্ত কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালনা করছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই দেশটিও ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন করেছে। এশিয়ার একটি বসবৎমরহম বপড়হড়সু-এর এই দেশও নিজেকে প্রায় করোনামুক্ত রাখতে পেরেছে। দেশটির বিশাল সীমানা চীনের সঙ্গে। সেই চীনেই সর্বাগ্রে করোনা সংক্রমণ ঘটে- ঘটে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যুও। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট সরকার তৎক্ষণাৎ সীমানা বন্ধ, বিমানের আন্তর্জাতিক ফ্রাইটসমূহ বন্ধ এবং কঠোরভাবে দেশব্যাপী স্বাস্থ্যবিধি অত্যন্ত শৃঙ্খলার সঙ্গে আরোপ করার ফলে সেখানেও অতি নগণ্য সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হন এবং তার থেকেও অনেক কম সংখ্যক মানুষ মৃত্যুবরণ করেন।

কমিউনিস্ট শাসিত নেপাল এবং ভারতের কেরালা রাজ্যও অনুরূপ সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে এবং করোনা সংক্রমণ রোধে তাদের সাফল্যও উচ্চ প্রশংসিত। চীনও সাফল্যের সঙ্গে করোনা সংকটটির মোকাবিলা করতে পেরেছে তাদের উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও কঠোর শৃঙ্খলাবোধের কারণে। এই দেশগুলোর সার্বিক অনুকরণ নয় তবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার ক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতা থেকে অবশ্যই শিক্ষা নেয়া প্রয়োজন।

পুঁজিবাদী দুটি দেশেরও সাফল্য আছে করোনা নিয়ন্ত্রণে এবং সার্বিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নে। যেমন অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু এই দুটি দেশই অত্যধিক উন্নত। তাই তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো তুলনা হতে পারে না। আমরা কেরালা, নেপাল, কিউবা ও ভিয়েতনামের মতো ছোট দেশ ও রাজ্যগুলো থেকে শিক্ষা নিতে পারলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে- আমাদের ভঙ্গুর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা সর্বজনীন রূপও পেতে পারে।

রণেশ মৈত্র : রাজনীতিক ও কলাম লেখক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App