×

রাজধানী

ডিএনসিসির ডিজিটাল কোরবানীর হাট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২০, ০৯:১৮ পিএম

ডিএনসিসির ডিজিটাল কোরবানীর হাট

মেয়র আতিকুল ইসলাম।

নগরবাসীর স্বাস্হ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে আগামী কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ডিজিটাল হাটের উদ্বোধন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ডিএনসিসি।

শনিবার (১১ জুলাই) দুপুরে অনুষ্ঠিত এক অনলাইন সভায় প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম এ হাটের উদ্বোধন করেন। এই ডিজিটাল হাট থেকে ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও লাখ লাখ টাকা দিয়ে অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা নেয়া ব্যবসায়ীরা লোকসানের আশঙ্কা করছে।

অনলাইনে পশু বেচাকেনা ছাড়াও ঈদের দিন কোরবানি দিয়ে পশুর মাংস প্যাকেটজাত করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর বিনিময়ে অর্থ পরিশোধ করতে হবে সেবাগ্রহীতাকে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি থেকে কোনো ধরনের রাজস্ব পাবে না ডিএনসিসি।

জানা গেছে, অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সহযোগিতায় ডিএনসিসির এই হাটটি চলবে। ই-ক্যাবের ৫০-৭০টির মতো প্রতিষ্ঠান অনলাইনে পশু বেচাকেনা, সরবরাহ এবং জবাই করবে। এর বাইরে অনলাইনে পশু কেনার পর ক্রেতা চাইলে উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে কোরবানি প্রক্রিয়া শেষে প্যাকেটজাত মাংস বাসায় নিতে পারবেন। এ জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। তবে অর্থের পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। রাজধানীর পাঁচটি স্থানে পশু কোরবানি শেষে মাংস বাসায় সরবরাহের চিন্তা-ভাবনা রয়েছে সিটি করপোরেশন ও ই-ক্যাবের। মোহাম্মদপুরের বসিলা ও উত্তরা এলাকায় বড় দুটি স্থানে ইতিমধ্যে জবাইখানা করার বিষয়টি বিবেচনা করছে ডিএনসিসি। এ ছাড়া আরো তিনটি স্থানে জবাইখানার বিষয়ে ভাবছে ডিএনসিসি ও ই-ক্যাব।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসি ডিজিটাল গরুর হাট থেকে কেবল গরু কেনাই নয়, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে জবাই করে বাসায় পৌছে দেয়া হবে। এটি বিশাল একটি ‘কালেক্টিভ এফার্টের’ ব্যাপার। আমরা এটি পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করলাম। এতে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। অনেক ভুলত্রুটি হতে পারে। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করতে চাই।

তিনি বলেন, আমাদের আল্টিমেট গোল হচ্ছে, যত্রতত্র গরু বেচাকেনা এবং কোরবানি না দিয়ে একটা সিস্টেমের মধ্যে আনা। এর ফলে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশু কেনাবেচা করা যাবে। এছাড়া আধুনিক উপায়ে পশু কোরবানিও দেয়া যাবে। কোরবানিকৃত পশুর রক্ত, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আরো সুষ্ঠুভাবে করা যাবে। অনলাইনের মাধ্যমে পশু কেনাবেচা ও কোরবানি দেওয়া হলে পশুর বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, যেগুলো আমরা ফেলে দিই, সেগুলো রপ্তানি করার জন্য সংরক্ষণ করা যাবে। চামড়া সংরক্ষণ করা আগের চেয়ে সহজ হবে। মেয়র বলেন, এটি একটি কম্পোজিট প্রক্রিয়া।

মেয়র বলেন, যারা অনলাইন থেকে গরু কিনবেন তাদের হাসিল দিতে হবে না। তিনি বলেন, অনলাইন কোরবানির হাট থেকে কোরবানি দিন ৪০০ গরু, পরের দিন ১ হাজার গরু এবং তার পরের দিন ৬০০ গরু বিক্রয় করা হবে।

আতিকুল ইসলাম বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থদের কোরবানি হাটে যাওয়া থেকে বিরত থাকার আহবান জানান। যারা কোরবানি হাটে যাবেন তাদেরকে তিনি নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকার পরামর্শ দেন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল গরুর হাটের মাধ্যমে কোরবানি পশু ক্রয়ে এক নতুন মাত্রা যোগ হলো। ভবিষ্যতে করোনার প্রাদূর্ভাব কমে গেলেও আমরা কোরবানি পশু ক্রয়ে এ ধরণের অনলাইন প্লাটফর্মের উপর নির্ভর করতে পারবো।

ইক্যাবের সভাপতি শমী কায়সারের সঞ্চালনায় অনলাইন সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান এবং এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বক্তব্য রাখেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App