করোনার টিকা বাজারে না আসলে আগামী আট মাসে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি আরো উদ্বেগজনক রূপ নেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। তবে ওইসময় দেশে দৈনিক আক্রান্তের হার কেমন হবে এবং মোট আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে ঠেকতে পারে সে বিষয়ে কিছু বলেনি তারা। বিশ্বের ৮৪টি দেশে এবং মোট বৈশ্বিক জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে বাংলাদেশের বিষয়ে এমন উদ্বেগজনক পূর্বাভাস দেয় এমআইটির স্লোয়ান স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট। দেশে গতকাল বৃহস্পতিবারও নতুন করে আরো ৪১ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা ভাইরাস। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৩৮ জনে। মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৭৫ হাজার ৪৯৪ জনে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮৪ হাজার ৫৪৪ জন। তবে শুধু বাংলাদেশ নয়, আগামী বছর করোনার সবচেয়ে বাজে শিকারে পরিণত হবে ভারত। এমআইটির গবেষকরা বলছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতে প্রতিদিন তিন লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। তারা জানান, বর্তমান পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও রাশিয়াকে পেছনে ফেলে বিশ্বে করোনা আক্রান্ত দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষে পৌঁছে যাবে ভারত। পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ জায়গায় পৌঁছাবে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে। গবেষকদের দাবি, কোনো কার্যকরী টিকা বাজারে না এলে আগামী বছরের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছাবে ২০ থেকে ৬০ কোটির মধ্যে। উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন এক কোটি ২২ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি।