×

সারাদেশ

বর্ষায় বেড়েছে টাঙ্গা জালে মাছ শিকার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২০, ০১:০৮ পিএম

বর্ষায় বেড়েছে টাঙ্গা জালে মাছ শিকার

টাঙ্গা জালে মাছ শিকার

বর্ষায় বেড়েছে টাঙ্গা জালে মাছ শিকার

টাঙ্গা জাল

চলমান বর্ষা মৌসুমে খাল বিল ও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে টাঙ্গা জাল বা ভেসাল জালে মাছ শিকার। খাল বিল নদী নালাসহ বিভিন্ন জলাশয়ের দেশিয় প্রজাতির মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করছে স্থানিয়রা। মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমজীবিরা অলস সময় পাড় করছিল দির্ঘদিন। আর তাই এ বর্ষা মৌসুমটা কাটাচ্ছে জলাশয় ও নদী খালে মাছ শিকারে। আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের প্রতিক টাঙ্গা বা ভেসাল জালে চরফ্যাশন উপজেলার চরাঞ্চলগুলোয় নানানরকমের পাঁচ মিশালি মাছ শিকার করা চোখে পড়ার মতো। দিন রাত ধরে এ মাছ শিকার করে স্থানিয় হাটবাজারে চড়া দামে বিক্রি করছে জেলেরা। আর এ মৌসুমে মাছ শিকার করেই দিনাতিপাত করছে শত শত জেলে পরিবার।

আসলামপুর, বেতুয়া, চর-মাদ্রাজ, হাজারিগঞ্জ, ওসমানগঞ্জ, আমিনাবাদ, আহাম্মদপুর, চর-মঙ্গল, কুকরি, ঢালচর, পতিলাসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলের খাল বিল ও পুকুর চলমান বর্ষার পানিতে ডুবে যাওয়ায় কোচ, টেটা, বড়শি ও টাঙ্গা জাল বা ভেসাল জাল এবং ঠেলা জালে মাছ শিকার করছে এসব জেলে ও কর্মহীন পরিবার।

চর-মাদ্রাজ ইউনিয়নের সামরাজ স্লুইজঘাট এলাকার বাসিন্দা আবু কালাম মাঝি (৫৫) বলেন, বাড়ি সংলগ্ন নদীর শাখা খালে প্রতিদিন জোয়ার ভাটায় দুই চার ক্ষেপ মাছ ধরলেই পোয়া, ছুররা, টেংরা, পুটি, ঘুইংগা, বাইলা, চিংড়ি, পাংগাশ, বোয়লসহ বিভিন্ন রকমের পাঁচ মিশালি মাছ পাই। যা বিক্রি করে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ হাজার টাকা কামাই করি।

[caption id="attachment_230802" align="alignnone" width="1280"] টাঙ্গা জাল[/caption]

আমিনাবাদ ইউনিয়নের জুবায়ের আহমেদ নামে এক ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জানায়, আমার বাবা রিকশা চালক, আর আমি সারাদিন ভাড়া টেনে রাতের বেলা টাঙ্গা জালে মাছ শিকার করি। করোনা পরিস্থিতে আমার স্কুল বন্ধ থাকায় আমি জাল ফেলে ও বড়শি দিয়ে শৌল, টাকি, কৈ, পুটিসহ বিভিন্ন জলাশয়ের তেলাপিয়া মাছ শিকার করে বাবাকে সহযোগিতা করছি।

পৌর ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা চামিলি রানি বলেন, দাসকান্দি এলাকার সিএমপির খালে দির্ঘ ১৫ বছর যাবত বরশি দিয়ে মাছ শিকার করছি। সময়ের পরিক্রমায় খালটি ময়লা আবর্জনায় ভরে যাওয়ায় কয়েক বছর যাবত মাছ ধরি না। তবে বর্ষায় নতুন পানিতে খাল ভরে যাওয়ায় খালে ও বিলে মাছ ধরছি। তবে কৃষিতে কিটনাষক ব্যবহারের ফলে দেশিয় প্রজাতির যেমন-কাইক্কা,বুৎকুলি, বাইং, শিং, ঘুইংগা, পুটি, খৈলাপুটি, স্বরপুটি ও কৈ মাছ আগের মতো এখন আর পাওয়া যায় না।

উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন পরিবার এ মাছ শিকার করে জীবিকার্জন করছে এটা ভালো দিক তবে খালবিল ও জলাশয়ে মাছের চলালে প্রতিবন্ধকতায় খাল বিলে বাধঁ সৃষ্টি করা যাবে না এবং ভোসাল জাল ও যে কোন ফাঁদ ব্যবহার করে মাছ শিকার করা মৎস আইন অনুযায়ি দণ্ডনীয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App