×

জাতীয়

সেবা সংস্থার গাফিলতি বরদাশত করব না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২০, ০৯:৪১ এএম

সেবা সংস্থার গাফিলতি বরদাশত করব না

আতিকুল ইসলাম

ঢাকার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজের বিন্দুমাত্র গাফিলতি আর বরদাশত করব না। কারো সঙ্গে কোনো আপস নয়। সবাইকে নিয়ে পরিকল্পিত ঢাকা গড়তে চাই। এটা আমার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনে ৩৮ দফা ইশতেহার দিয়েছি। প্রতিটি দফাই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো নিয়ে কাজ করছি। গতকাল বুধবার ভোরের কাগজকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেয়া মেয়র আতিকুল ইসলাম। এসময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজের শক্ত অবস্থানের কথা জানানোর পাশাপাশি সমন্বয়হীন কাজের জন্য ঢাকা ওয়াসাকে দায়ী করে সংস্থাটিকে সিটি করপোরেশনের অধীনে নেয়ারও ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। তার সাক্ষাৎকারটি প্রশ্নোত্তর আকারে তুলে ধরা হলো।
ভোরের কাগজ : মেয়র হিসেবে দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নিয়েছেন। ইশতেহার অনুযায়ী পরিকল্পিত ঢাকা গড়া আপনার জন্য কতটুকু চ্যালেঞ্জ? আতিকুল ইসলাম : যেকোনো দায়িত্ব সিরিয়াসলি নেয়াই চ্যালেঞ্জ। বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট হিসেবে গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিকদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। ওই সময় রানা প্লাজার ঘটনা ঘটে। চেষ্টা করেছি পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের। গার্মেন্ট শিল্পকে রক্ষার। বিজিএমইএ থেকে বিদায়কালে বলেছি সবাই মিলে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ব। আজকে আমি ঢাকা উত্তরের মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। পরিকল্পিত ঢাকা গড়াই এখন আমার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনে ৩৮ দফা ইশতেহার দিয়েছি। প্রত্যেকটা দফা নিয়ে কাজ করছি। সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়তে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। সবাইকে নিয়েই ঢাকাকে গড়ব। নয় মাসের দায়িত্ব পালনে দেখেছি কোনটা সম্ভব আর কোনটা সম্ভব নয়। কাজেই এগুলো বাস্তবায়ন করব। ইনশাআল্লাহ এই চ্যালেঞ্জেও আমরা জিতব। ভোরের কাগজ : ইশতেহার বাস্তবায়নে সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা আপনার কাজকে বাধাগ্রস্ত করবে কিনা? আতিকুল ইসলাম : সেবা সংস্থার সমন্বয় বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে কয়েকবার বৈঠক করেছি। আমি বলেছি যেসব সংস্থার কাজের গাফিলতি থাকবে, সেই সংস্থাকে আমি জরিমানা করব। কারো সঙ্গে কোনো আপস চলবে না। ওয়াসার কাজের গাফিলতি থাকলে জরিমানা করা হবে। মেট্টোরেলের কাজে মানুষের ভোগান্তি হলে, সেখানেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। আশকোনা ও কালসির খালের কথা আমি বলি। দুটি খালই ভরাট হয়ে গিয়েছিল। আমি দুটি জায়গায়ই গিয়েছি। আশকোনা খাল ভরাট হওয়ায় দক্ষিণখান থেকে, হাজী ক্যাম্প, কাওলা এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো। মানুষের চলাচলে সমস্যা হতো। মিরপুরের কালসি খালেরও একই অবস্থা। মানুষের দুর্ভোগ চরমে ছিল। সামান্য বৃষ্টিতে কোমর পর্যন্ত পানি থাকত। খালগুলো পরিষ্কারের দায়িত্ব ওয়াসার হলেও তারা সেটা করেনি। আমরা নিজের অর্থে সেগুলো পরিষ্কার করিয়েছি। কারণ জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয় আমাদের, ওয়াসাকে নয়। তাই আমি বলব ঢাকা ওয়াসাকে সিটি করপোরেশনের অধীনে দেয়া হোক। কেননা, খাল জেলা প্রশাসনের, পানি ওয়াসার আর গালি শুনতে হয় আমাদের। দায়িত্ব পালনে কালক্ষেপণ করলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। আর স্পষ্ট বলতে চাই, আমাদের অনুমতি ছাড়া ঢাকা উত্তরে কোনো সেবা সংস্থা কোনো কাজ করতে পারবে না। যদি করা হয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই সমন্বয়গুলোর জন্য আমরা একটা সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টার করছি। ডিজিটাল ম্যাপিং করছি। ঢাকা উত্তরের কোথাও যদি কোনো রাস্তা খোঁড়া হয় বা ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকে। কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে তা জানা যাবে। সব তথ্য এই সেন্টারে যুক্ত থাকবে। কমান্ড সেন্টারের কাজ গত মেয়াদে শুরু করেছি। ইনশাআল্লাহ আগামী ছয় থেকে সাত মাসের মধ্যে এটি আমরা চালু করতে পারব। ভোরের কাগজ : ডেঙ্গু মুক্ত নগরী গড়ার কথা বলেছিলেন। এই বিষয়ে কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন? আতিকুল ইসলাম : আমরা যখন ইশতেহার দিয়েছি। করোনা ভাইরাস ছিল না। এখন নতুন এই বাস্তবতা মেনেই আমাদের চলতে হবে। করোনাতেও থেমে থাকিনি। মশা নিয়ন্ত্রণে বছরব্যাপী কার্যক্রম চলছে। ডেঙ্গু মুক্ত নগরী গড়তে চিরুনি অভিযানে নেমেছি। নিজেও বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছি। যেখানেই এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে, জরিমানা করা হচ্ছে। বুধবার পর্যন্ত প্রায় ২৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে। জুনে শুরু হওয়া এই অভিযান চলবে আগস্ট পর্যন্ত। এছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কাজ করছি। ওয়ার্ড কাউন্সিলরা কাজ করছে। ঢাকা উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য ৪০টি বুথ স্থাপন করেছি। ভোরের কাগজ : বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কি? পরিচ্ছন্ন নগরী গড়া কি সম্ভব? আতিকুল ইসলাম : টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা আমাদের আরেকটি চ্যালেঞ্জ। আমাদের নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও বর্জ্য অপসারণ তো আছেই। সেগুলো ছাড়াও আমিন বাজারে রিসোর্সের মাধ্যমে পরিকল্পিত বর্জ্য অপসারণ ও জ্বালানি শক্তিতে রূপান্তরের কাজ আমরা নিয়েছি। খুশির সংবাদ হলো প্রধানমন্ত্রী ১০ দিন আগে এটির অনুমোদন দিয়েছেন। জাতীয় অর্থনীতি পরিষদের বৈঠক একনেকেও পাস হয়েছে। এখন থেকে রান্নাঘরের আবর্জনার সঙ্গে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও পিপিই কেউ ঝুঁড়িতে ফেললে, আমরা সেই বাড়ির ময়লা নেব না। এগুলো আলাদা ব্যাগে রাখতে হবে। এজন্য হলুদ ব্যাগ চালু করেছি। যাদের প্রয়োজন সেটা নেবেন। অর্থাৎ বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন আমরা করতে যাচ্ছি। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় আধুনিক পশু জবাইখানা স্থাপনের কাজও চলছে। ভোরের কাগজ : দুর্নীতি প্রতিরোধে আপনার অবস্থান কি হবে? ডিএনসিসিকে দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান করতে পারবেন? আতিকুল ইসলাম : এ ব্যাপারে আমার অবস্থান জিরো টলারেন্স। আমার সংস্থায় দুর্নীতি করবে, সে যেই হোক ছাড় দেব না। সেটা পরিচ্ছন্নতা কর্মী হোক আর শীর্ষ কর্মকর্তা হোক। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা। দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ডিএনসিসির শ্রমিক লীগের সভাপতি আবদুর রশীদসহ আপেল, আনিস এবং আরো কয়েকজন স্টাফকে চাকরিচ্যুত করেছি। রশীদ ডিএনসিসিতে পাওয়ারফুল ছিল। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে আমাকে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু আমি তাকে ছাড় দেইনি। স্পষ্ট কথা, যার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ আসবে, তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা। দুর্নীতি বরদাশত করব না। মশার ওষুধ সরবরাহে শক্তিশালী সিন্ডিকেট ছিল। ওষুধের মান নিয়ে অভিযোগ ওঠায় সেই সিন্ডিকেটকে কালো তালিকাভুক্ত করেছি। এছাড়া জন্ম নিবন্ধন, লাইসেন্স, হোল্ডিং ট্যাক্স, দোকানের ট্যাক্স আদায়ের বিষয়ে দুর্নীতর বিষয়ে অভিযোগ পুরনো। এটা বন্ধ করতে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ঘরে বসেই অনলাইনে ট্যাক্স পরিশোধের ব্যবস্থা করছি। সিটি করপোরেশনে এসে আর ট্যাক্স দিতে হবে না। সেইসঙ্গে একই এলাকায় তিন বছরের বেশি সময় ধরে যারা চাকরি করছে, তাদের তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছি। তালিকা পেলেই প্রত্যেককেই বদলি করা হবে। তিন বছরের বেশি একদিনও কেউ এক জায়গায় থাকতে পারবে না। এটা প্রশাসনিক সংস্কার। এই বিষয়ে কারো তদবির বা সুপারিশ শুনব না। ভোরের কাগজ : করোনার কারণে চার মাস ধরে রাজস্ব আয় হচ্ছে না। সামনের দিনগুলোতে ডিএনসিসি কি অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে? আতিকুল ইসলাম : গত চার মাসে যে পরিমাণ রাজস্ব আসার কথা, তা আসেনি। ঠিকাদারের বিল আছে, অফিস স্টাফ ও কর্মচারীদের বেতন আছে। সবকিছু নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছি। দফায় দফায় মিটিং করছি। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আর্থিক সংকটে পরব। এরইমধ্যে নির্দেশ দিয়েছি সার্চ চার্জ ছাড়া রাজস্ব আদায়ের সময়সীমা একমাস বাড়িয়ে দিতে। গত মেয়াদে উন্নয়ন কাজে নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে ৩৬ কোটি বরাদ্দ দিয়েছি। কিছু কিছু রাস্তা খুবই খারাপ ছিল। সেখানেও টাকা দিয়েছি। এ পর্যন্ত ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকা ওখানে খরচ হয়েছে। অথচ এই ওয়ার্ডগুলো থেকে আমরা কোনো রাজস্ব আদায় করতে পারছি না। সুতরাং নিঃসন্দেহে এটি বড় চ্যালেঞ্জ। ৪৮টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে আমাদের ৬৮ কোটি টাকা পাওনা আছে। পাওনা পরিশোধের জন্য অলরেডি ডিও লেটার দিয়েছি। আমাকে চলতে হলে এই টাকাগুলো আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে নিজেই তাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলব। এই টাকাগুলো পেলে অন্তত তিন মাস আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। ভোরের কাগজ : নারী কাউন্সিলরদের অভিযোগ থাকে, তাদের কোনো উন্নয়ন কাজে সম্পৃক্ত করা হয় না। তাদের সম্পৃক্ত করার বিষয়ে আপনি কি পদেক্ষপ নেবেন? আতিকুল ইসলাম : গত মেয়াদে আমার কাছেও নারী কাউন্সিলররা এরকম অভিযোগ করেছেন। তাদের বঞ্চিত করা হয়। তারাও ভালো কাজ করছেন। সাধারণ কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলর সবাইকে আমি সমানভাবে দায়িত্ব বণ্টন করে দেব। উভয় কাউন্সিলর ও ডিএনসিসির বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদের সমন্বয়ে শক্তিশালী কমিটি করা হচ্ছে। প্রত্যেকেই দায়িত্ব পাবেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে কমিটি করেছি। চলতি মাসেই বাকি কমিটিগুলো করব। কমিটি প্রত্যেক মাসে মিটিং করবে। ওয়ার্ড কাউন্সিলররা তিন মাস অন্তর অন্তর নিজ এলাকায় লাইভ মিটিং করবেন। আমিও জনগণের সঙ্গে লাইভ মিটিং করব। উদ্দেশ্য, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। ভোরের কাগজ : করোনার প্রতিরোধে নগরবাসীর নিরাপত্তায় কি কি পদেক্ষপ নিয়েছেন? ডিএনসিসি কি সঠিক ভ‚মিকা পালন করছে? আতিকুল ইসলাম : ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত করোনা ম্যানেজ করেই আমাদের চলতে হবে। তাই নিজের সুরক্ষা নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে। নিজের ভালো নিজেকেই দেখতে হবে। আমরা সচেতনতাবোধ সৃষ্টির কাজ করছি। মহাখালী মার্কেটে করোনার চিকিৎসায় এক হাজার বেডের হাসপাতাল করেছি। চিকিৎসক ও নার্স জয়েন করেছেন। খুব শিগগিরই এটি চালু হবে। বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার ও স্কুলে করোনার নমুনা সংগ্রহের জন্য সাতটি বুথ স্থাপন করেছি। বিভিন্ন জায়গায় সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা করেছি। অনেক অসহায় ও কর্মহীন মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছি। গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকায় জো-বাইক চালু করেছি। বাসে না চড়ে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সহজে জো-বাইকে চলাচল করা যাবে। প্রতি মিনিট এক টাকা ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। এতে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। অর্থও সাশ্রয় হবে। অন্যান্য এলাকায় এটা চালু করা যেতে পারে। ভোরের কাগজ : আমিনবাজার, মহাখালী ও যাত্রাবাড়ী তিনটি অভিজাত মার্কেট নির্মাণ শেষ হলেও চালু করা যাচ্ছে না কেন? গুলশান মার্কেটসহ ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কি? আতিকুল ইসলাম : তিন মার্কেটের সমস্যা দীর্ঘদিনের। তৈরি হলেও চালু হচ্ছে না। কে কোন মার্কেটে যাবে, কে যাবে না এসব নিয়েই সমস্যা হচ্ছে। আমাদের সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সমাধান করতে হবে। এটি অবশ্যই চ্যালেঞ্জের। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এখন সময় এসেছে তিনটি মার্কেট নিয়ে কাজ শুরুর। আমাদের যে পুরাতন মার্কেট গুলশান, রায়ের বাজার ও মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট। গুলশান মার্কেটকে বুয়েট ঝুঁঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে। অন্যান্য মার্কেটগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। এসব মার্কেটকে কিভাবে সুন্দর, আধুনিকায়ন ও দৃষ্টিনন্দন করা যায় সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছি। ভোরের কাগজ : আপনাকে ধন্যবাদ আতিকুল ইসলাম : ধন্যবাদ

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App