×

সারাদেশ

নিজের স্ত্রীকে মেরেছি, কার কী বলার আছে!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২০, ০৯:৩৫ পিএম

নিজের স্ত্রীকে মেরেছি, কার কী বলার আছে!

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় নেশার টাকা না পেয়ে শারিরীক নির্যাতন করে স্ত্রীর  চুল কেটে দিয়েছে পাষণ্ড স্বামী। বুধবার উপজেলার দয়ারামপুর এলাকার শেখপাড়ায় বর্বোরচিত ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী নির্যাতিত নারীর নাম সাবিনা বেগম। তিনি ওই গ্রামের হায়দার আলীর স্ত্রী এবং সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার  নাগর সৈয়দপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন ঝিনু’র মেয়ে।

নির্যাতনের শিকার সাবিনা বেগম জানান, পাঁচ বছর পূর্বে তিনি ঢাকায় গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করতেন এবং হায়দার আলী একই এলাকায় রিকশা চালাতেন। সেসময় দু’জনের মধ্যে পরিচয় হয়। এরপর তারা দু’জনে বিয়ে করেন। সাবিনা বেগম হায়দার আলীর তৃতীয় স্ত্রী বলে জানা গেছে। বিয়ের পর তারা দুজনে ঢাকা থেকে স্বামীর বাড়ি বাগাতিপাড়ার শেখপাড়ায় আসেন। এরপর থেকেই স্বামী হায়দার আলী কাজ কর্ম তেমন একটা করেন না। সারাদিন নেশা করে ঘুরে বেড়ান। বিয়ের পর থেকেই নেশার টাকা না পেলে স্বামী হায়দার আলী সাবিনার ওপর নির্যাতন করতেন। নির্যাতন সইতে না পেরে মাঝে মধ্যেই বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে স্বামীর হাতে তুলে দিতেন। বুধবার সকালে আবারও বাবার বাড়ি থেকে নেশার করার জন্য ৬ হাজার টাকা এনে দিতে বলেন। কিন্তু সাবিনা বেগম তাতে অস্বীকৃতি জানান। এনিয়ে  স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সাবিনাকে তার স্বামী বেধড়ক পেটায় এবং স্ত্রীর চুল কেটে দেয়। সেসময় প্রাণ রক্ষায় তিনি ছুটে গিয়ে প্রতিবেশির বাড়িতে পালিয়ে থাকেন। পরে প্রতিবেশিদের মাধ্যমে মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বৃহস্পতিবার মা সুফিয়া বেগম বাগাতিপাড়ায় এসে মেয়েকে উদ্ধার করে  টোরের তেবাড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের সহায়তায় তাদের বাড়ি তাড়াশে নিয়ে যান। ইউপি সদস্য আনোয়ারের স্ত্রী জানান, সাবিনা বেগমকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে  পিটিয়েছে। মাথার চুল কেটে দিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে কালশিরা, জখম হয়েছে। তিনি সাবিনাকে তার বাড়িতে গোসল করানোর সময় সাবিনার শরীরের বিভিন্ন স্থান দেখেছেন।

খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা বাড়িতে গিয়ে এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত হায়দার আলী বলেন, নিজের স্ত্রীকে তিনি মেরেছেন। এতে কার কী বলার আছে।  তবে বাপের বাড়ি চলে যেতে না পারে সেইজন্য তিনি তার স্ত্রীর চুল কেটে দিয়েছেন। কথাগুলো বলার পরপরই তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।  এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি নাজমুল হক বলেন, এ সংক্রান্ত তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। তবে বিষয়টি নিয়ে তিনি খোঁজ খবর নিবেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App