×

জাতীয়

সেবাদানকারী সংস্থাগুলোকে সমন্বয়ে আসতেই হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২০, ০৯:৫৬ এএম

সেবাদানকারী সংস্থাগুলোকে সমন্বয়ে আসতেই হবে

শেখ ফজলে নূর তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে কাজ করতে হলে সেবাদানকারী সংস্থাগুলোকে আমাদের সঙ্গে সমন্বয়ে আসতেই হবে। কোনো সংস্থাকে আর গতানুগতিক ধারায় চলতে দেয়া হবে না। ঢাকার উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান করার সুযোগ অন্য কোনো সংস্থার নেই। যা কিছু করার একমাত্র সিটি করপোরেশনেই করবে। অন্যরা বাস্তবায়ন করবে। গত বুধবার ভোরের কাগজকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এসময় তিনি বলেন, ঢাকার উন্নয়নের ব্যাপারে আইনে যথেষ্ট কার্যক্রম নেয়ার সুযোগ আছে। আমাদের মহাপরিকল্পনার আওতায় এসেই সব প্রতিষ্ঠানকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। সাক্ষাৎকারটির বিস্তারিত প্রশ্নোত্তর আকারে তুলে ধরা হলো। ভোরের কাগজ : রাজধানীর উন্নয়নে সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের জন্য বিভিন্ন সময় নগর সরকারের প্রয়োজনীয়তার দাবি উঠেছে। আপনিও কি মনে করেন, নগর সরকারের প্রয়োজন আছে? শেখ তাপস : নগর সরকারের প্রয়োজন নেই। সরকার তো আছেই। আমরা সেবা প্রদানকারী সংস্থা। আমাদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব আছে। আইনে ঢাকার ব্যাপারে যথেষ্ট কার্যক্রম নেয়ার সুযোগ আছে। সেবা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয়হীনতা আছে। দেখা যাচ্ছে দায়িত্ব আমাদের। পালন করে অন্য সংস্থাগুলো। সেখানে এবার বলিষ্ঠ ভ‚মিকা রাখব। আমাদের দায়িত্ব আমরাই পালন করব। ঢাকার উন্নয়নে আমরা মহাপরিকল্পনা নিয়েছি; বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সেই মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। পরিকল্পনার আওতায় তাদের কাজ করতে হবে। কারণ আমরা দেখছি, বিভিন্ন সংস্থা ঢাকাকে ঘিরে মাস্টারপ্ল্যান করছে। তাদের এই সুযোগ নেই। মাস্টারপ্ল্যান করব আমরা। পয়ঃনিষ্কাশনের পাইপ কোথায়, কীভাবে যাবে আমরা নির্ধারণ করব। তারা বাস্তবায়ন করবে। সুপেয় পানি নিশ্চিতের দায়িত্ব আমাদের। বাস্তবায়ন করবে ওয়াসা। ইউটিলিটির লাইন নিতে হলে, আমরা পরিকল্পনা করে দেব। ঢাকায় যত্রতত্র বিদ্যুতের খুঁটি বসানো হয়েছে, আমাদের সঙ্গে কোনো সমন্বয় নেই। এটা তো হতে পারে না। রাজউক ইমারত নির্মাণের অনুমতি দেয়, এটা দিতে পারে না। অনুমতি দেব আমরা। আমাদের আইনেই আছে। একেক সংস্থা একেকভাবে কাজ করছে। এগুলো যদি সুষ্ঠু সমন্বয়ে আনা যায়, তাহলে নগর সরকারের প্রয়োজন হবে না। ভোরের কাগজ : বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার সমন্বয়হীনতা আপনি কীভাবে দূর করবেন? শেখ তাপস : দায়িত্ব নিয়ে সেবা সংস্থাগুলোকে ১ অক্টোবরের আগেই চাহিদাপত্র দিতে বলেছি। সেগুলো নিরূপণ করে কাজের সুযোগ দেব। তারা কাজ করার পর আমরা কাজ করব। এরপর ৩ বছর সেখানে তাদের আর কোনো কাজ করতে দেব না। আমি স্পষ্ট বলতে চাই, ঢাকার ব্যাপারে কিছু করতে হলে সব সংস্থাকে আমাদের নিয়মনীতি মেনেই করতে হবে। কোনো সংস্থাকে আর গতানুগতিক ধারায় চলতে দেব না। ভোরের কাগজ : নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে কি ভ‚মিকা রাখবেন? ঢাকা ওয়াসা সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কি? ওয়াসাকে কি সিটি করপোরেশনের অধীনে চান? শেখ তাপস : জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব আমাদের। এখানেও সমন্বয়হীনতা আছে। কিছু কাজ ওয়াসা করে। তাদের কাজগুলো খুবই নিম্নমানের এবং অপরিকল্পিত। যার সুফল ঢাকাবাসী পায় না। নান্দনিক পার্ক করা হাতিঝিল প্রকল্পের মূল লক্ষ্য নয়। এটির মূল লক্ষ্য ঢাকা থেকে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন। এখানে পানি নিষ্কাশিত হয়ে চলে যাবে শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীতে। সেটা পরিপূর্ণভাবে হচ্ছে না। যার ফলে কাঁঠাল বাগান, গ্রিন রোড ও ধানমন্ডি-২৭ নম্বর সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পান্থপথের বক্স কালভার্ট আবর্জনায় ভরে গেছে। এটা নিষ্কাশন করতে দিচ্ছে না। অঝোরে বৃষ্টি হলেও নিষ্কাশন করছে না। সংসদ সদস্য হিসেবে বারবার বলেছি পানি নিষ্কাশনের সুযোগ দিতে, দেয়নি। ফলে বৃষ্টি হলেই ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা কোমর পানি জমে থাকে। নগরীর নর্দমাগুলো ওয়াসা ঠিকাদারদের মাধ্যমে পরিষ্কার করে। সেই ময়লাগুলো দিনের পর দিন ফেলে রাখা হয়। এতে রাস্তা যেমন দখল হয়ে থাকে, তেমনি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়। এভাবে আর নর্দমা পরিষ্কার করতে দেব না। এখন আধুনিক যন্ত্রপাতি আছে। ওয়াসার সক্ষমতা ও জনবলও আছে। আমাদের কথা বা নিয়ম যদি মানা না হয় তাহলে তাদের জরিমানা করব। কোনোভাবেই বরদাশত করব না। স্পষ্ট বলতে চাই, ঢাকায় কাজ করতে হলে সমন্বয়ে এসেই কাজ করতে হবে। আমি চাই ওয়াসার কাজগুলো আমাদের মহাপরিকল্পনার আওতায় আনতে। ভোরের কাগজ : বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আপনার কি পরিকল্পনা? শেখ তাপস : এটি নগরবাসীর মৌলিক সেবা। নির্বাচনে মৌলিক সেবাগুলো ৯০ দিনের মধ্যে নিশ্চিতের কথা বলেছি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজাচ্ছি। বিভিন্ন দেশের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাস্তা, আঙিনা-পার্ক দেখে আমরা মুগ্ধ হই। দেশে ফিরে যখন দেখি রাস্তার ওপর বর্জ্য পড়ে আছে। সময়মতো সরানো হচ্ছে না। তখন ব্যথিত হই। আমরা পদক্ষেপ শুরু করেছি। প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে বর্জ্য সংগ্রহকারী নিয়োগ দিচ্ছি। প্রত্যেক ওয়ার্ডে একটি করে আধুনিক বর্জ্য সংগ্রহকারী কেন্দ্র থাকবে। সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে। রাত ১০টার পর বর্জ্যগুলো মাতুয়াইলের কেন্দ্রীয় ময়লার ভাগাড়ে নেয়া হবে। বর্জ্য বিষয়ে সারাবিশ্বে ৩টি পন্থা অবলম্বন করা হয়। একটি হলো রিসাইক্লিং বা পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ, দ্বিতীয়ত, আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা এবং তৃতীয়ত, ল্যান্ডফিল বা ভাগাড়ে ফেলা। আমাদের শুধুমাত্র ভাগাড়ে ফেলা হয়। পর্যায়ক্রমে আমরাও তিনটি পন্থাই অবলম্বন করব। এছাড়া রাত ৯টা থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা প্রতিটি সড়ক পরিষ্কার করবে। কোনো ময়লা বা ধুলোবালি থাকবে না। বড় রাস্তাগুলোতে পানি ছিটানো হবে। ভোর ৬টার আগেই বর্জ্য অপসারণ ও রাস্তা পরিষ্কার করার কাজ সম্পন্ন হবে। ঢাকাবাসী ঘুম থেকে উঠেই যেন পরিচ্ছন্ন রাস্তা দেখতে পায়। এটা নিশ্চিত করতে চাই। বর্তমানে আমাদের ২৪টি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র আছে। ৮ জুলাই এগুলো উদ্বোধন করব। ওইদিন থেকেই এসব ওয়ার্ডের কোথাও উন্মুক্ত স্থানে ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকবে না। সেপ্টেম্বরের মধ্যে আরো ৬টি ও ডিসেম্বরে ১০টি এসটিএস কেন্দ্র হবে। ২০২১ সালের পর ৭৫টি ওয়ার্ডের কোথাও উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য থাকবে না। ভোরের কাগজ : আপনি বলেছিলেন মশকমুক্ত ঢাকা নগরী উপহার দেবেন? ডেঙ্গুর প্রকোপ আর বাড়বে না। এখন ডেঙ্গুর মৌসুম। আপনি কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন? শেখ তাপস : ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঠেকাতে নিয়মিত ওষুধ ছিটানোর সময় বাড়িয়েছি। আগে সকাল-বিকাল ১ ঘণ্টা করে ওষুধ ছিটানো হতো। এখন সকালে ৪ ঘণ্টা, বিকালে ৪ ঘণ্টা এ্যাডাল্টিসাইডিং ও লার্ভাসাইডিং প্রয়োগ করা হচ্ছে। প্রতি ওয়ার্ডে আমরা লোকবল নিয়োগ দিয়েছি। পুকুর ও জলাশয়গুলো পরিষ্কার করছি। সেখানে তেলাপিয়া মাছ ও হাঁস ছেড়ে দিচ্ছি। কারণ তেলাপিয়া মাছ ও হাঁস মশা খেয়ে ফেলে। বছরব্যাপী আমাদের এই কার্যক্রম চলবে। আল্লাহর রহমতে এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী শনাক্তের তথ্য পাইনি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি। কোনো এলাকায় বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক আমরা সেখানে কার্যক্রম বাড়াব। আমি আশাবাদী সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গুমুক্ত ও অনেকাংশে মশকমুক্ত ঢাকা উপহার দিতে পারব। ভোরের কাগজ : দুর্নীতিমুক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন গড়ার কথা বলেছেন। কয়েকজন কর্মকর্তাকে অপসারণ কি তারই অংশ? সিটি করপোরেশনের রুট লেভেলের দুর্নীতি কীভাবে দূর করবেন? একই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে একই অঞ্চলে দায়িত্ব পালন করছেন। এই সিন্ডিকেট কীভাবে ভাঙবেন? শেখ তাপস : ঠিকই বলেছেন। একজন ওয়ার্ড সচিব বছরের পর বছর একই ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করে আসছে। একইভাবে মশক ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীরাও ১০ বছরের বেশি সময় একই জায়গায় আছে। সরকারি নিয়মানুযায়ী ২ থেকে ৩ বছর পরপর তাদের বদলি করা হয়। এতে কর্মদক্ষতা যেমন বাড়ে, তেমনি অনিয়ম ও দুর্নীতির সুযোগও কমে। আমাদের এখানে এটা ছিল না। এখন শুরু করেছি। আমরা প্রকৌশল বিভাগকে ঢেলে সাজাচ্ছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। প্রকৌশল বিভাগের এক কর্মকর্তাকেও অপসারণ করা হয়েছে। শক্ত বার্তা দেয়া হয়েছে, যে কোনো দুর্নীতি, গাফিলতি বা অবহেলা বরদাশত করব না। কাজ যেন ১০ বছর স্থায়ী হয়, সেভাবে কাজ করতে হবে। আমরা প্রশাসনিক সংস্কার করেছি। আমি অবাক হই, সরকারি নিয়মে ৫৯ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে পারবে। কিন্তু আমি দেখলাম ৬১ বছর হয়ে গেছে, তারাও চাকরি করছেন। এরকম অনেক অনিয়ম রয়েছে। পুরনোদের বদলি করছি। এতে দুর্নীতির সুযোগ কমবে। কোথাও যদি কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়, সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমার ই-ইমেইল ([email protected]) ফোন নম্বর (০১৪০১১৯১১৭১) অথবা সিটি করপোরেশনের কেন্দ্রীয় কল সেন্টারেও (০২-৯৫৬৭৪৩১ ও ০২-৯৫৫৬০১৪) অভিযোগ জানাতে পারবে। ভোরের কাগজ : ঢাকার একটি বড় সমস্যা হকার। ফুটপাত হকারমুক্ত করতে অনেক উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছিল। কাজে আসেনি। নগরবাসীরও চাওয়া ফুটপাতগুলো হকারমুক্ত করা হোক। এই সমস্যা কীভাবে সমাধান করবেন? শেখ তাপস : হকার আমাদের একটা বড় সমস্যা। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এটা আছে। আমাদের দেশে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই হকার উচ্ছেদ কার্যক্রম নেয়া হতো। যার ফলে সেগুলো ব্যর্থ হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত কিছু হকারকে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিল। আবার তারা সেখানেই এসে বসে। এটা বছরের পর বছর চলে আসছে। আমরা এটা চাই না। আমরা হকারদের তথ্যভাণ্ডারের আওতায় এনে নিবন্ধন করে তাদের চাহিদা নিরূপণ করব। তাদের ডাটাবেজ তৈরি করব। তাদের মহাপরিকল্পনার আওতায় এনে পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসন করব। এর আগে হকার পুনর্বাসনে বড় বড় মার্কেট ও স্থাপনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে হকার পাওয়া যায় না। বিভিন্ন মহলকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এটা সুশাসনের অভাব। সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। যেন আর কোনো দুর্নীতি ও অপকর্ম না হয়। ভোরের কাগজ : ঢাকার যানজট অন্যতম একটি সমস্যা। যানজট নিরসন ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর বিষয়ে আপনি কি পদক্ষেপ নেবেন? শেখ তাপস : সড়কে শৃঙ্খলা ফেরার বিষয়ে একটা কমিটি আছে। খুব শিগগিরই কমিটির বৈঠক হবে। আমি কমিটির চেয়ারম্যান। বৈঠকে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরা নিয়ে আলোচনা হবে। তবে কিছু জটিলতা আছে। ট্রান্সপোর্ট অথরিটি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। আর আমাদের কমিটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে। কাজেই কিছু সমন্বয়হীনতা আছে। এটা দূর করে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে। আমারও কিছু চিন্তা আছে। সেটা হলো মানুষের হেঁটে চলাচলের কিছু সড়ক রাখতে চাই। সব সড়কেই যে গণপরিবহন ঢুকতে হবে সেরকম নয়। প্রত্যেকটা সড়কের কার্যকারিতা রয়েছে। যে সড়কে মেট্রোরেল চলবে, সেই সড়কে গণপরিবহনের খুব একটা প্রয়োজন হবে না। আমরা চাই মেট্রোরেলের কিছু সড়কে রিকশা বা ঘোড়ার গাড়ি বা ধীরগতির যানবাহন চলবে। আর কিছু সড়কে মোটরচালিত যানবাহন চলবে। সেখানে ধীরগতির যানবাহন চলবে না। কেননা দ্রুতগতির যানবাহনের সঙ্গে ধীরগতির যানবহন একসঙ্গে চললেই যানজট সৃষ্টি হবে। কিছু রাস্তায় একমুখো যান চলাচলও চালু করব। ভোরের কাগজ : ঢাকার ঐতিহ্যগুলো কীভাবে সংরক্ষণ করবেন? সেইসঙ্গে বুড়িগঙ্গার সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেবেন? শেখ তাপস : বিশ্বের অন্যান্য শহরে নদীর পাড়ে একটা সুন্দর শহর আমরা দেখি। আমরাও সেটা চাই। অল্প সময়ের মধ্যেই আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলটি পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম নিয়েছি। নদীর পাড়ে নান্দনিক পার্ক ও স্থাপনাসহ সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে চাই। আমাদের স্থাপনাগুলোকে ঐতিহ্যে ফিরিয়ে আনতে চাই। মাত্র দুটি স্থাপনা আমাদের অধীনে। আমি চাই সব স্থাপনা আমাদের আওতায় আসুক। আমরা এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা করব। বিদেশিরাও যেন এই সৌন্দর্যটা উপভোগ করতে পারে। ভোরের কাগজ : আপনাকে ধন্যবাদ। শেখ তাপস : ধন্যবাদ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App