×

রাজধানী

বাবার হাত থেকে মা কে বাঁচাতে গিয়ে ছেলে নিহত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২০, ১০:৫৭ পিএম

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বাবার হাত থেকে মাকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে ছেলে সোহাগ (১৫) নিহতের পর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন মা মনোয়ারা বেগমেরও (৪০) মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। এরআগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ফতুল্লার গেদ্দার বাজার এলাকায় এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এতে রাতেই ছেলে সোহাগের মৃত্যু হয়।

ফতুল্লাহ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) এস এম শামীম জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে রাতে সোহাগের মা-বাবা ঝগড়া করেছিল। একপর্যায়ে বাবা ছুরি দিয়ে মাকে আঘাত করতে যান। তখন মাকে বাঁচাতে গেলে সোহাগ ছুরিকাঘাতে আহত হয়। তখন স্ত্রী মনোয়ারাকেও ছুতিকাঘাত করে সে। এরপর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে দেখতে পেয়ে প্রতিবেশিরা তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে সোগাহকে রাতেই চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণ করেন।

তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে ভোরে স্বামী-স্ত্রীকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করানো হয়। ঘটনার সময় তাদের ১৩ বছরের মেয়ে বিথী দৌড়ে বাসার বাইরে চলে যাওয়ায় সে আহত হয়নি। কী কারণে হারেস ঘটনাটি ঘটিয়েছেন জানা যায়নি। ঘটনার কারণ ও সে মাদকাসক্ত কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

হারেসের ভাতিজা রায়হান জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ ত্রিশাল উপজেলার দূর্গাপুরে। হারেস রিকশাচালক, তার স্ত্রী মনোয়ারা ও ছেলে সোহাগ গার্মেন্টস কর্মী। কয়েকদিন আগেও তাদের স্বামী-স্ত্রী মধ্যে ঝগড়া হয়। সবাই বসে মিমাংশা করে দিয়েছিলাম। গতরাতে হঠাৎ আবার কি নিয়ে এই ঘটনা ঘটলো তা বলতে পারছিনা। তবে হারেসই স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করেছে। আর মাকে বাচাতে গিয়ে সোহাগও ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App