×

জাতীয়

বিএনপির আবেদন নাকচ করলেন ইসি সচিব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২০, ০২:৩০ পিএম

বিএনপির আবেদন নাকচ করলেন ইসি সচিব

ইসি সচিব সচিব মো. আলমগী। ফাইল ছবি।

করোনা মহামারির মধ্য আগামী ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচন পেছানোর জন্য বিএনপি যে আবেদন রেখেছে তা মেনে নিয়ে নির্বাচন পেছানোর কোন সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মোহম্মদ আলমগীর। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) দুপুরে নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে মো. আলমগীর সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিএনপি তার আবেদনে নির্বাচন পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে। কিন্তু তারা একথা খুব ভালো করেই জানেন, যে নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। কেননা, এখন নির্বাচন পেছালে সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আসন খালি হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে ইসির বাধ্যবাধকতা রয়েচে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দৈব দুর্বিপাক জনিত প্রদত্ত্ব ক্ষমতায় আরো ৯০ দিন অর্থাৎ ১৮০ দিনে মধ্যে আমরা নির্বাচন করতে বাধ্য হচ্ছি। এর পরে নির্বাচন করতে হলে আমাদের সংবিধান লঙ্ঘণ হতো। সেই সময়ও পার হয়ে গেলে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ব্যাখ্যা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

আসন দু’টিতে যথাক্রমে মেয়াদ শেষ হবে ১৫ জুলাই ও ১৮ জুলাই। কোনো পক্ষ যাতে আঙুল তুলতে না পারে, সেজন্য কমিশন সুপ্রিম কোর্টের কাছে যেতে চেয়েছিল। এজন্য আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতও নেওয়া হয়েছে। তারা সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে জানিয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আর সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই। আর সুপ্রিম কোর্টে গেলে শুনানি হবে, এছাড়াও অন্যান্য প্রক্রিয়ার জন্য সে সময়ের প্রয়োজন সেটাও হাতে নেই। তাই আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী কমিশন ১৪ জুলাই ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইসি সচিব আরও বলেন, এই সময়ের মধ্যে ভোট না করলে রাষ্ট্রের যে কোনো ব্যক্তি সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে মামলা করতে পারেন। আর সংবিধান লঙ্ঘনের শাস্তি খুব মারাত্মক। মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। কাজেই এ দায়িত্ব আইন মন্ত্রণালয়ও নেবে না, কমিশনও নেবে, কেউ নেবে না।

এর আগে বিএনপির নির্বাচন পেছানোর দাবিটি ইসি সচিবের কাছে তুলে ধরেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, করোনার এই সময়ে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই কমিশনের কাছে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। কমিশন যদি নির্বাচন না পেছায় তবে আমরাও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো না।

এক প্রশ্নের জবাবে আলাল বলেন, নির্বাচন না পেছালে ব্যালট পেপারে আমাদের প্রার্থীর প্রতীক না রাখারও জন্যও ইসি সচিবকে বলেছি। কিন্তু সেটা সম্ভব হবে কিনা জানি না।

ব্যালট পেপারে বিএনপির প্রার্থীর প্রতীক না রাখার দাবির প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেন, আইন অনুযায়ী নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে। এই সময়ের পর আইনগতভাবে প্রার্থিতা প্রত্যাহার বা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবার কোনো সুযোগ নেই। কোনো বৈধ প্রার্থী যদি প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে নির্বাচন বর্জন করেন, তবুও তার নামে প্রতীক ব্যালট পেপারে ছাপা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App