মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে দুই বছরের পথ চলা শেষে তৃতীয় বর্ষে পা রাখছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ। ২০১৮ সালের ৭ জুলাই জাতীয় জাদুঘরের শওকত ওসমান মিলনায়নে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে সামাজিক এই সংগঠনটি। গত দুই বছর ক্লান্তিহীন অবিরাম পথচলায় নানা কর্মসূচি আয়োজন করেছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।

বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সারাদেশে ঘুরে ঘুরে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে ‘পথ হারাবে না বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মসূচি নিয়ে দেশের জেলা-উপজেলায় গেছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে হয়েছে সভা-সমাবেশ, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম। আঞ্চলিক ও লোক সংগীতের আয়োজনের মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ-এর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।

২০১৯ সালের শুরু থেকেই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সামনে রেখে ‘শতবর্ষের পথে বঙ্গবন্ধু ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মসূচি নিয়ে আবারো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেমিনার-সিম্পোজিয়াম ও মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’। করোনাকালে প্রকাশ্য অনুষ্ঠান বন্ধ থাকলেও থেমে নেই সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর আয়োজন।

সপ্তাহের প্রতি শনিবার রাত ৯টায় ফেসবুক লাইভে সম্প্রচার হচ্ছে সম্প্রীতি সংলাপ। এ পর্যন্ত সম্প্রীতি সংলাপের ১৪টি পর্ব অনলাইনে লাইভ সম্প্রচার হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) তৃতীয় বর্ষে পদাপর্ণের দিনে রাত ৯টায় সম্প্রীতি সংলাপের বিষয় ‘তৃতীয় বর্ষে পা: পথচলার গল্প’।

এক বিবৃতিতে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, দুই বছরের পথ চলায় সম্প্রীতি বাংলাদেশ অজস্র শুভানুধ্যায়ীর ভালোবাসা পেয়েছে। তৃতীয় বর্ষে পদার্পণের এই শুভক্ষণে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ সবাইকে অন্তহীন ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ এই শুভদিনে বিশেষ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে মিডিয়ার প্রতি। দেশের গণমাধ্যম ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’- এর সব কার্যক্রম ও কর্মসূচির খবর গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ ও প্রচার করে দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। মিডিয়ার সহযোগিতা ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’কে মানুষের কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।