×

সাহিত্য

এ অবসরে আমি স্মৃতিকথা লিখছি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২০, ১০:২৯ এএম

এ অবসরে আমি স্মৃতিকথা লিখছি

সৈয়দ আব্দুল হাদী

এ অবসরে আমি স্মৃতিকথা লিখছি

সৈয়দ আব্দুল হাদী

এ অবসরে আমি স্মৃতিকথা লিখছি

সৈয়দ আব্দুল হাদী

বিশেষ সাক্ষাৎকার সৈয়দ আব্দুল হাদী বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী
সৈয়দ আব্দুল হাদী। বরেণ্যে কণ্ঠশিল্পী। বাবার শখের গ্রামোফোন রেকর্ডের গান শুনে কৈশোরেই সংগীত অনুরাগী হয়ে ওঠেন। ছোটবেলা থেকে গান শিখেছেন, মানুষকে সে গানে বিনোদিত করেছেন। এখনো অব্যাহত সেই নেশা। সংগীতের অন্যতম প্রবাদ পুরুষ, জীবন্ত কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদীর শিল্পের সঙ্গে বসবাস পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে। তার গাওয়া কালজয়ী অনেক দেশের গানই শ্রোতাদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে। কণ্ঠশিল্পীর বাইরে শিক্ষক, প্রযোজক, উপস্থাপক ও অনুষ্ঠান পরিকল্পক হিসেবেও তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন। বিশিষ্ট এই শিল্পীর করোনাকাল কেমন কাটছে ভোরের কাগজের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবার মতোই আমারও বন্দি জীবন। তবে আমার সময় কেটে যাচ্ছে। এই অবসরে আমি স্মৃতিকথা লিখছি। আর পড়াশোনা করছি। যেটা আমি সব সময়ই করি। আগে খুব গল্প উপন্যাস পড়তাম। এখন আর ওসব ভালো লাগে না। তবে এখন আমার আগ্রহের বিষয় দর্শন, ইতিহাস আর বিজ্ঞানের বই। নতুন কোনো গানে সুর দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বিশিষ্ট এই শিল্পী বলেন, নতুন কোনো গান এ সময়ে গাইছি না। তবে কিছু কিছু রবীন্দ্র-নজরুল সংগীত সেই ছোট বেলায় গাইতাম সেসব গান আবার ঝালাই করে নিচ্ছি। ভালোই লাগছে। সত্যি বলতে কী এখন আর অন্য গান বেশি ভালো লাগে না। রবীন্দ্রসংগীত আর নজরুলসংগীতগুলোই নিজের জন্য গাইছি।
করোনার এ সময়টায় চেনা পৃথিবীর কতটা বদল ঘটেছে জানতে চাইলে খ্যাতিমান এই শিল্পী বলেন, এই বদলটার কথা কোনোদিন কল্পনায়ও ভাবিনি পৃথিবী এরকম একটা পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে পারে। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ গিয়েছে, এর পর মহামারিও হয়েছে, প্ল্যাগও এসেছে স্পানিশ ফ্লুও এসেছিল, কিন্তু এরকমভাবে সমগ্র পৃথিবীকে একসঙ্গে আক্রমণ এবং অসহায় করে ফেলার মতো এমন পরিস্থিতিতে পৃথিবী কোনোদিন আর পড়েছে বলে ইতিহাসে আমার জানা নেই। অভিনব এক অভিজ্ঞতা। আমরা এই প্রজন্ম করোনা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকলাম।
[caption id="attachment_230301" align="aligncenter" width="1200"] সৈয়দ আব্দুল হাদী[/caption] আরেকটা কথা আমার মনে হচ্ছে প্রকৃতিরই প্রতিশোধ। আমরা প্রকৃতিকে যেভাবে ধ্বংস করেছি, প্রকৃতির প্রতি বিরূপ আচরণ করেছি তারই প্রতিশোধ নিল প্রকৃতি। এটা একদম সত্য হয়ে গেল। প্রকৃতি প্রতিশোধ নিয়েছে এবং এখন প্রকৃতি আনন্দে হাসছে। বেশ কিছুদিন আগে দেখলাম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে হরিণ দৌঁড়াদৌঁড়ি করে বেড়াচ্ছে। এক সময় আমরা প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করতাম। এখন প্রকৃতিই আমাদের নিয়ন্ত্রণ করছে। করোনার এই অভিঘাত থেকে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা জানতে চাইলে এই শিল্পী আরো বলেন, শুধু বাংলাদেশই নয়, সারা পৃথিবী নিশ্চয়ই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। এটা পৃথিবীর ইতিহাসই বলে। সব দুর্যোগেই মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মানুষ আবার নিজের অবস্থানে ফিরে এসেছে। এবারও তাই হবে। পৃথিবী নিশ্চয়ই ঘুরে দাঁড়াবে, আমরাও ঘুরে দাঁড়াব। অনেক আর্থিক বিপর্যয় আসবে, সবই সত্য। কিন্তু তারপরও পৃথিবী ঘুরে দাঁড়াবে একদিন। মানব সভ্যতা এখনই ধ্বংস হবে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App