ভোরের কাগজ লাইভে খবর
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মানসিক ভারসাম্যহীন ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর নারী নিরপতি কোচের পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসন। নিরপতি কোচ উপজেলা কাংশা ইউনিয়নের নওকুচি গ্রামের সতেন্দ্র কোচের স্ত্রী।
তার সার্বিক অবস্থা নিয়ে এর আগে ভোরের কাগজ লাইভ ‘একযুগ ধরে শিকলবন্দি, অসহায় দিনযাপন’ এই শিরোনামে খবর প্রকাশ করে। খবরে বলা হয়, ২০ বছর আগে নিরপতির বিয়ে হয়। এক বছর আগে তার স্বামী সত্যেন্দ্র কোচের মৃত্যু হয়। বিয়ের পর এক সন্তানের জননী হন নিরপতি কোচ। এরপর থেকেই তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। তখন থেকেই তাকে শেকলে বন্দি করে রাখে তার পরিবারের সদস্যরা। মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েন ওই নারী। ফলে অভাব-অনটন আর দুঃখ-দুর্দশা সতেন্দ্র কোচের পরিবারের নিত্য সঙ্গী।
এক বেলা খাবার জোটলেও আরেক বেলা জোটে না। অর্ধাহারে-অনাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে নিরপতি কোচ ও তার পরিবারের সদস্যরা। পাতিশ্বরী কোচ বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। জমিজমা সহায় সম্বল নেই বললেই চলে। তবে কন্যার মুখে একবেলা হলেও অন্ন তুলে দিতে অন্যের দ্বারে দ্বারে হাত পাততে হয় তাকে। আর্থিক অনটনের কারণে মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারেননি তিনি। ফলে এক যুগ ধরে শিকল বন্দি করে রাখা হয় তাকে।
পাতিশ্বরী কোচ বলেন, তার মেয়ের নামে একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড চেয়ে বহু আবেদন নিবেদন করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে। কিন্তু আজও নিরপতি কোচের ভাগ্যে জুটেনি একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড। এ নিয়ে ভোরের কাগজ লাইভে সংবাদ প্রকাশিত হলে শেরপুর জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি গোচর হয়। পরে ডিসি (জেলা প্রশাসক) আনারকলি মাহবুবের নির্দেশে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহি অফিসার রুবেল মাহমুদ নিরপতি কোচের বাড়িতে যান।
তিনি সরকারি ভাবে চিকিৎসার সহায়তাসহ ভাতার কার্ড প্রদানের আশ্বাস দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদ বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটুকু সহায়তা সম্ভব তা দেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।