×

সারাদেশ

বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, দুর্ভোগে বানভাসি মানুষ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২০, ০৮:৪২ পিএম

বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, দুর্ভোগে বানভাসি মানুষ

ছবি: প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে প্রধান প্রধান নদ নদীর পানি কমতে শুরু করায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বন্যা প্লাবিত লোকালয়, চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, শিশু খাদ্য ও গবাদিপশুর খাদ্য সংকটের মুখে পড়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, চিলমারী ও নুন খাওয়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কমেছে তিস্তা, দুধকুমারসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানিও।

বানের পানি নেমে গেলেও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসীদের। ত্রাণ স্বল্পতার পাশাপাশি বিতরণে বিলম্বের কারণে এসব এলাকায় খাদ্য সংকট ক্রমেই বাড়ছে। ঘর-বাড়ি তলিয়ে থাকা পরিবারগুলো পাকা সড়ক, বাঁধ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এসব পরিবারের ঘর-বাড়ি থেকে বন্যার পানি সরে না যাওয়ায় তারাও ঘরে ফিরতে পারছে না। বন্যা দুর্গত এলাকায় চলছে গো খাদ্যের সংকট। কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে থাকায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থাও।

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ঝুনকার চরের বাসিন্দা আমির হামজা জানান, বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও কাজ জুটছে না। আবার নদীতে তেমন মাছও পাওয়া যাচ্ছে না। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে।

উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিদ্দিক মন্ডল বলেন, ব্রহ্মপুত্রের পানি কমতে শুরু করায় চরাঞ্চলের ঘর-বাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। কিছু ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও এখনো ৭০ ভাগ ঘরবাড়িতে পানি রয়েছে। তবে পানি হ্রাস অব্যাহত থাকলে আগামী দু’একদিনের মধ্যে পানি নেমে যাবে। পানি নেমে গেলেও বন্যা দুর্গত মানুষদের পর্যাপ্ত ত্রাণের প্রয়োজন রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম বলেণ, কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি হ্রাস পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বন্যা কবলিতদের জন্য সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ অব্যাহত রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App