×

সারাদেশ

গরুর হাটে বেপরোয়া বিচরণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২০, ০৭:০৭ পিএম

গরুর হাটে বেপরোয়া বিচরণ

হাটের চিত্র।

যশোরের চৌগাছায় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। উপজেলায় মোট আক্রান্ত ৩৯ জনের মধ্যে ২২ জন ইতিমধ্যে সুস্থ। আর আক্রান্তের বেশির ভাগই পৌরসভাবাসি। অন্যদিকে এই মহামারি করোনার বিস্তার রোধে উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে নানা রকম পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। কিন্তু এসব পদক্ষেপের কোন বালাই নেই পৌর সদরের একমাত্র পশুর হাটে। কোরবানীর ঈদ দোরগোড়ায় হওয়ায় বিভিন্ন গ্রামগঞ্জ থেকে গরু ছাগল ক্রেতা-বিক্রেতা গায়ে গা লাগিয়ে ঠেলাঠেলি করে এ হাটে ঘোরাফেরা করছেন। গরুর হাটের এ অবস্থা দেখে হতাশ সচেতন বাসিন্দারা দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহCbর দাবি জানিয়েছেন।

সরেজমিনে বাজার পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় যে, শহরের প্রাণকেন্দ্রে টেংগুরপুর অবস্থিত উপজেলার একমাত্র পশুহাটটি। সপ্তাহের রবি ও বুধবার এখানে হাট বসে। পার্শ্ববর্তী ঝিকরগাছা, কালিগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর উপজেলা থেকে এখানে গরু-ছাগল কেনা-বেচা করতে আসে। সেই হাটে শত শত লোকের বিচরণ থাকলেও অধিকাংশেরই মুখে কোন মাস্ক নেই। অনেককে আবার গরমে গায়ে কোন জামা না দিয়ে খালি গায়ে বাজারের মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়।

কালিগঞ্জ উপজেলা থেকেআসা গরু ব্যাপারি আলাউদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা এক নসিমনে আটজন ব্যাপারি এসেছি। মুখে মাস্ক না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাস্ক আমাদের পকেটে আছে। সব সময় ব্যবহার করলে কান ব্যথা হয়ে যাচ্ছে। এভাবে গরমে আর পারা যায় না। সামাজিক দূরত্বের ব্যাপারে তিনি বলেন, ’গরুর হাটে সামাজিক দূরত্ব চলে না’।

সব থেকে বেশি ভিড় দেখা যায় খাজনা নেয়া ছোট ঘরের সামনে। এখানে মানুষজন গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের বেশির ভাগই গরমে গা ঘেমে দুর্গন্ধ পরিবেশে অতিষ্ট। তারা বলেন, এ পরিস্থিতিতে দু’তিন জায়গায় খাজনা নিলে ভালো হতো।

বাজারের পাশেই বাড়ি আতিয়ার রহমানের। তিনি বলেন, গরুর হাটের এ পরিবেশের কারণে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে আমরা সার্বক্ষণিক আতঙ্কে থাকি। আমাদের বড় সমস্যা হলো আগতরা কেউ করোনা সম্পর্কে সচেতন নয়।

এদিকে পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, গত প্রায় তিন মাস আগে এ হাটের ইজারার মেয়াদ শেষ হয়েছে। হাট এখন পৌরসভার তত্ত্বাবধানে খাসভাবে পরিচালিত হচ্ছে। পৌরসভার উদ্যেগে বাজারে প্রতিদিন করোনা সচেতনতার ব্যাপারে মাইকিং করা হলেও এখানে তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। পৌরসভার সচিব আবুল কাশেম বলেন, জীবনটা আমার। আর এ ব্যাপারে আমাকেই সচেতন হতে হবে। আমরা পৌরসভা থেকে বিভিন্ন কার্যক্রম পালন করছি। হাটেও মাইকিং করা হয়। তবে জনগণ আসলে কোন নিয়মই মানছে না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ওপরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুতফুন্নাহার লাকি বলেন, সামাজিক দূরত্ব না মানলে সকলকেইবিপদে পড়তে হবে। হোক সেটা গরুর হাট বা অন্য কোন যায়গা। তবে এখানে একটু বেশি কেয়ার দেয়া দরকার।

বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, কোর্টের একটা আদেশের কারণে এ হাট এখন খাসভাবে পৌরসভা পরিচালনা করছে। তারাই এ ব্যাপারে ভালো ব্যবস্থা নিতে পারবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App