×

অপরাধ

করোনায় স্থিমিত পাপিয়ার বিষয়টি: সিআইডি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২০, ০৬:৪৬ পিএম

করোনায় স্থিমিত  পাপিয়ার বিষয়টি: সিআইডি

কথা বলছেন সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান। ছবি: ভোরের কাগজ।

* অসুস্থ থাকায় আনা যায়নি রিমান্ডে * পাচারকারী অনেক মূলহোতার নাম পাওয়া গেছে * কুয়েতে গ্রেপ্তার পাপুলকে নিয়েও কাজ চলছে

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসার আড়ালে জাল মুদ্রা সরবরাহ, বিদেশে অর্থপাচার ও অবৈধ অস্ত্র রাখাসহ নানা অভিযোগে গ্রেপ্তার বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার বিষয়টি করোনার কারনে একটু স্থিমিত অবস্থায় রয়েছে।

সোমবার (৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নর উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।

মাহবুবুর রহমান বলেন, পাপিয়ার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। তার বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে ২৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছিল। অনেক তথ্য ইতোমধ্যে পাওয়া গেলেও কিছু বাকি রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের ৩ দিনের রিমান্ড পাওয়া গেলেও অসুস্থ থাকায় তাকে আনা সম্ভব হয়নি। করোনার মধ্যে আসলে চাইলেও সব কিছু করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তাই একটু ধীরেই এগুতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, লিবিয়াসহ মানবপাচারের অন্যান্য ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্ত করতে গিয়ে উঠে এসছে তথ্য-উপাত্তসহ অনেক মূলহোতাদের নাম। তবে তদন্তের স্বার্থেই এখন অনেকের নামসহ সব কিছু বলা সম্ভ হচ্ছে না। কারন মানব পাচারে যাদের নাম এসেছে তারা অনেকেই বাইরে আছেন। এখনই তাদের পরিচয় বলে দিলে অন্যরকম হতে পারে। এছাড়াও আরো যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে। তা শেষেই সব জানানো সম্ভব হবে। তবে কুয়েতে গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম পাপুলের বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবেই বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের হওয়ায় এ বিষয়ে কিছু কর্মপদ্ধতি অনুস্মরণ করা হচ্ছে। যাতে আদালতে গিয়ে সহজেই তথ্য-প্রমাণের অভাবে পার না পেয়ে যায। তাই একটু দেরী হচ্ছে। তবে যাথাযথ প্রমাণ নিয়েই আপনাদের সামনে আবার দ্রুতই হাজির হবো আশা করছি।

সিআইডি প্রধান বলেন, মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে তদন্ত শেষে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই মানিলন্ডারিং মামলা করতে হয়। এ বিষয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। তিনজনের বিষয়ে ফাইল খোলা হয়েছে। অনুসন্ধান চলছে। তা শেষে মামলা হলেই তাদের নাম প্রকাশ করা হবে। এছাড়া ভিকটিম, পাচারকারীসহ দুটি মন্ত্রনালয়ের কাছ থেকেও তালিকা পেয়েছি। আমাদের নিজস্ব তালিকা তৈরীর কাজটিও চলছে। অতীতেও মানবপাচারের মামলার বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে তালিকা সংযোজন-বিয়োজন চলছে। তাই আসলে যাচাই-বাছাই শেষ না হলে বলা সম্ভব নয় আসলে কি পরিমান মানবপাচারকারী রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ক্যাসিনো বা পাচারের বিষয়ে সিআইডি ১২টি মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত করছে। ইতোমধ্যে খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা হকরা হয়েছে। নতুন তথ্য পাওয়ায় সিআইডিও বাদী হয়ে আবার দুটি মামলা করেছে। তদন্ত করতে গিয়ে আরো কয়েকটি মামলায় নতুন-নতুন তথ্য পাওয়ায় সিআইডি মামলা করবে। তবে তদন্তাধীন মামলার অনেকগুলোই এ মাসেই জমা দেয়া সম্ভব হব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App