×

সারাদেশ

মেঘনায় ইলিশের আকাল, হতাশ জেলেরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২০, ০৩:৩৬ পিএম

মেঘনায় ইলিশের আকাল, হতাশ জেলেরা

ছবি: প্রতিনিধি

ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনায় ভরা মৌসুমেও চলছে ইলিশের আকাল। রাত-দিন মেঘনায় জাল ফেলেও ইলিশ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে এ অঞ্চলের হাজার হাজার জেলে। এদের অধিকাংশ জেলের আয়ের অন্যতম উৎস্য হচ্ছে নদীতে মাছ ধরে বিক্রি করা।

স্লুইজ ঘাট, চৌমহনী ঘাট, কাটাখালীসহ উপজেলার কয়েকটি মাছ ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, তেমন ক্রেতা-বিক্রেতা নেই। অনেকটাই নিরবতা বিরাজ করছে ঘাটগুলোতে। এ উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে ১৭ হাজার ১শ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে।

মফিজ মাঝি, ইয়াছিন মাঝি, শাহজাহান মাঝিসহ একাদিক জেলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা ঘরে বসেই বেকারত্ব সময় কাটিয়েছেন। টানা দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে বুক ভরা আশা নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে নামলেও যে পরিমাণ মাছ ধরা পড়ছে তাতে লাভের পরিবর্তে গুনতে হচ্ছে লোকসান। মাছ না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন যাপন করছেন এ অঞ্চলের মৎস্যজীবীরা। ইতোমধ্যে কোনো কোনো জেলে এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশা যাওয়ার কথাও জানায়।

স্লুইজ ঘাটে পারভেজ মাঝি বলেন, প্রতি নৌকায় ৭ থেকে ৮ জন লোক থাকে। রাতে-দিনে দুই বার নদীতে জাল ফেলে। প্রতিবারে খরচ হয় ২৫শ থেকে ৩ হাজার টাকা। এতে ৪ থেকে ৫টি বেশি মাছ পাওয়া যায় না। মাছ বিক্রি করে যা পাই তাতে লাভের পরিবর্তে লোকসান হয়।

উপজেলা মৎস্য অফিসার মু. মাহফুজুর রহমান বলেন, বর্তমানে নদীতে ইলিশ ধরা না পড়লেও এ বছর অফসিজনে ব্যাপক পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ছে। জলবায়ুর পরিবর্তন, নদীর পানিতে প্রচুর লবণ, নদীতে ঘন ঘন চর পড়ার কারণে মাছ চলাচলে বাধা এবং মাছ বংশ বিস্তারের জন্য অনূকূল পরিবেশ না পাওয়ায় ইলিশের ভরা মৌসুম হওয়া সত্ত্বেও জেলেদের জালে তেমন মাছ ধরা পড়ছে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App