×

সারাদেশ

চট্টগ্রামেও করোনায় টিউশন ফি আদায়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২০, ১১:০৪ এএম

চট্টগ্রামেও করোনায় টিউশন ফি আদায়

প্রতীকী ছবি

করোনা দুর্যোগের সময়ে টিউশন ফি আদায়ে অভিভাবকদের চাপ না দিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হলেও অনেক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তা মানছে না। এরই মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান মুঠোফোনভিত্তিক আর্থিক সেবার (রকেট, বিকাশ, নগদ) মাধ্যমে ফি আদায়ও শুরু করে দিয়েছে। আবার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একসঙ্গে মার্চ, এপ্রিল, মে, জুন চার মাসের বেতন একসঙ্গে পরিশোধেরও চাপ দিচ্ছে। ফি পরিশোধ না করলে অনলাইন ক্লাস থেকে বহিষ্কার, পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত না করাসহ নানা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই দুর্যোগে টিউশন ফি পরিশোধের চাপ সামলাতে গিয়ে আর্থিক সংকটে থাকা অভিভাবকদের এখন ত্রাহি অবস্থা। অন্যদিকে, অভিজাত কয়েকটি স্কুল-কলেজ ছাড়া বাকি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বড় একটি অংশ সম্পূর্ণ টিউশন ফি-নির্ভর। এমন উভয় সংকট সমাধানে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অভিভাবক শ্রেণি। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এ জেড এম শরীফ হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো টিউশন ফি নিতে পারবে না এমন নির্দেশনা নেই। তবে শিক্ষক বা অভিভাবক সবাই কষ্টে আছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষক, কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করতে হচ্ছে। আবার বেতন দিতে গেলে তো টিউশন ফি নিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আলোচনা চলছে। সরকারের পক্ষ থেকে করণীয় নির্ধারণে সিদ্ধান্ত আসতে হবে। তবে নন-এমপিও শিক্ষকদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা তহবিলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম ‘নাগরিক উদ্যোগ’র আহ্বায়ক নগর আওয়ামী লীগ সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, টিউশন ফি আদায়ের জন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অভিভাবকদের চাপ দিচ্ছে। অনেকেই আবার একসঙ্গে চার মাসের ফি আদায়ের চাপও দিচ্ছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করছেন। অভিভাবকরা ফি দেবেন না এমনটা নয়। তারা বলছেন এই দুর্যোগে কিস্তিতে টিউশন ফি পরিশোধ করবে। নগরের কিছু অভিজাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোটি টাকার মালিক। তাদের তো সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এক সপ্তাহের সময় চাওয়া হয়েছে। নইলে আগামীতে অভিভাবকদের সমন্বয়ে বৃহত্তর কর্মসূচিতে যাব। তবে এই ব্যাপারে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ ব্যবস্থা গ্রহণ সময়োপযোগী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বোর্ডের আওতাভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে প্রায় ১২০০টি। নগর এবং ১৫ উপজেলা মিলিয়ে প্রায় ৫৫০টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। এ ছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে কয়েক’শ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। টিউশন ফি প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, নানা কৌশলে ফি আদায়ে চাপ দেয়া হচ্ছে। মোবাইলে যোগাযোগ করা হচ্ছে। বিকাশ, রকেট, নগদ একাউন্টের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে বলা হচ্ছে। ফি পরিশোধ না করলে অনলাইনে ক্লাস বা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে না, প্রমোশন হবে না বলে চাপ দেয়া হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা প্রদান বা ভর্তুকি দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে হবে। টাইগারপাস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা মার্চ পর্যন্ত টিউশন ফি আদায় করেছি। এপ্রিলের ফি মওকুফ করেছি। টিউশন ফি মওকুফ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব উদ্যোগ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App