×

রাজধানী

করোনা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২০, ০৮:০৩ পিএম

করোনা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবি

সংবাদ সম্মেলনে দাবি তুলে ধরা হয়। ছবি: ভোরের কাগজ।

করোনা বর্জ্যর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন দাবি জানিয়েছে পরিবেশ ইস্যুতে কর্মরত সংগঠন নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ (এনসিসিবি), এনভায়রনমেন্ট ডিফেন্স নেটওয়ার্ক (ইডিএন) এবং উন্নয়ন ধারা ট্রাষ্ট (ইউডিটি)। রবিবার (৫ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি তুলে ধরা হয়।

‘কোভিড -১৯ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সমীক্ষার প্রাপ্ত ফলাফল প্রকাশ ও নাগরিক সমাজের প্রাসঙ্গিক বক্তব্য’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন এনসিসি’বি’র রিসার্চ এন্ড অ্যাডভকেসি অফিসার মাহবুবুর রহমান অপু। উন্নয়ন ধারা ট্রাষ্টের সদস্য সচিব আমিনুর রসূল বাবুলের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন ডিআরাইউ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, নদী ও বদ্বীপ গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, ইডিএন’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ফোরকান আহম্মেদ প্রমূখ।

সংবাদ সম্মেলনে ৫ দফা দাবি তুলে ধরে বলা হয়, করোনাসহ অন্যান্য ‘সংক্রামক বর্জ্য’ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে জনসচেতনতার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে যৌথ উদ্যোগে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। নদীনালা, জলাশয় ও ড্রেনসহ যত্রতত্র বর্জ্য নিক্ষেপ বিরোধী কঠোর আইন প্রণয়ন ও তাঁর সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের নেতৃত্বে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সিটি কর্পোরেশনের সমন্বয়ে নাগরিক সমাজ, গবেষক এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিদেরকে যুক্ত করে একটি ‘সংক্রামক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মনিটরিং সেল’ গঠন করতে হবে।

এছাড়া অবিলম্বে ‘চিকিৎসা-বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিধিমালা-২০০৮’ এবং ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮’ সংশোধন, পরিমার্জন ও পুনঃর্মূল্যায়ন এবং বিদ্যমান নীতিমালার যথার্থ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

রাজু আহমেদ বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে আইনের কথা বলা হলেও সাধারণ মানুষের কাছে সে খবর যায় না বললেই চলে। করোনার মহামারিতে দেশের জনগণ কিছু আছেন একেবারেই সচেতন না, আবার অনেকে বেশি সচেতন। কিন্তু পূর্ণ সচেতন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বর্তমান সময়ে এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চিত্র খুবই খারাপ। তাই এই সময়ে এটা যুগোযেুগি গবেষণা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় দৈনিক গড়ে ২০৬ দশমিক ২১৭ মেট্রিক টন করোনা বর্জ্য উৎপাদিত হয়। দেশের গৃহস্থালি করোনা বর্জ্যর পাশাপাশি সরকারি- বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং অফিস-আদালতের করোনা বর্জ্য মিলিয়ে বিশাল এই অপচঁনশীল ও সংক্রামক বর্জ্য গণস্বাস্থ্যর জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাবে এই বর্জ্য কৃষি জমি, নদী, জলাশয়, পানি ও মাটি তথা পরিবেশর জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে।

বক্তারা বলেন, সিটি করপোরেশনের বর্জ্য অপসারণে অব্যবস্থাপনার সাথে স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম মিলে দেশে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এলাকা ভিত্তিক বর্জ্য সংগ্রাহক সমিতিগুলো বড় বড় অঞ্চল নিজেদের কতৃত্বে নিলেও বাস্তবে বেশির ভাগ সমিতিই সেই পরিমাণ সামর্থ্যবান নয়। ফলে নিয়মিত বর্জ্য অপসারণ হচ্ছে না। তাই দ্রুত এ অব্যবস্থাপনার সমাধান করতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App