×

রাজধানী

শিক্ষার্থীদের উৎখাতকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের হুঁশিয়ারি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২০, ০৮:০৪ পিএম

শিক্ষার্থীদের উৎখাতকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের হুঁশিয়ারি

সার্টিফিকেট খুঁজছে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের উৎখাতকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের হুঁশিয়ারি

প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও ল্যাপটপ খোঁজ করছে শিক্ষার্থীরা।

বাড়ি যাওয়ার সুযোগে বিনা নোটিশে শিক্ষার্থীদের উৎখাত করাসহ তাদের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ ও সব জিনিস ভাগাড়ে ফেলে দেয়া ও এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩০ শিক্ষার্থীকে হোস্টেল থেকে তাড়িয়ে দেয়াসহ তাদের মালামাল গ্যারেজে স্তূপ করে রাখার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

করোনা মহামারীতে বাসায় বাসায় ভাড়াটিয়া সংকট যখন অধিকাংশ এলাকার অবস্থা। ঠিক তখনই রাজধানীর কলাবাগান ও রাজাবাজার এলাকায় গত বুধবার রাতে এমন উল্টো চিত্রটি দেখা যায়। পুলিশ হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলছে এমন অমানবিক ঘটনায় এক বিন্দুও কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে তাদের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী জানান, তার জেএসসির, এসএসসির ও একটা ডিপ্লোমার সার্টিফিকেট তিরি রেখে গিয়েছিলেন। এ ঘটনার পর তা খুঁজে পাচ্ছেন না। অপর আরেক শিক্ষার্থী জানান, ডেক্সটপ, ল্যাপটপ অনেকের ট্রাঙ্কের ভেতর গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ছিল। কিছুই পাচ্ছেন না।

ঢাকা কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী সজীব কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ঢাকা শহরের বাড়িওয়ালারা এমন অমানুষ হতে পারে আমার জানা ছিল না। শিক্ষাজীবনের অর্জনকৃত সনদগুলো সব ছুঁড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিউমার্কেট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার আবাল হাসান ভোরের কাগজকে বলেন, কলাবাগান থানাধীন ৪/এ ওয়েস্ট এন্ড স্ট্রীট এলাকার একটি বাসার মালিক মজিবুল হক ওরফে কাঞ্চন। তার বাসাতেই ৮ জন ঢাকা কলেজ ও একজন জগন্নাথ বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র থাকতেন। গত বুধবার না জানিয়েই সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ ও সব জিনিস ভাগাড়ে ফেলে দেন বাড়িওয়ালা। ওই ঘটনায় গত বুধবার রাতেই মামলা হয়। এমন আরেকটি ঘটনা ঘটে রাজধানীর রাজাবাজার এলাকায়। সেখানেও আলিফ নামে একটি ছাত্রাবাসে ১৩০ শিক্ষার্থীকে হোস্টেল থেকে তাড়িয়ে দেয়াসহ তাদের মালামাল গ্যারেজে স্তূপ করে রাখার ঘটনা ঘটে।

[caption id="attachment_229450" align="aligncenter" width="700"] প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও ল্যাপটপ খোঁজ করছে শিক্ষার্থীরা।[/caption]

তিনি বলেন, রাজাবাজার নিউমার্কেট জোনের আওতাধীন না হলেও হোস্টেল থেকে তাড়িয়ে দেয়া শিক্ষার্থীদের মালামাল গ্যারেজে স্তূপ করে রাখা হয় আমার নিয়ন্ত্রনাধীন এলাকাতেই। এমন অভিযোগ পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। অভিযোগের সত্যতা মেলায় ভুক্তভোগী ছাত্ররাই গতকাল বৃহস্পতিবার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। গতকাল অভিযান চালিয়ে কলাবাগানের ওই ঘটনার বাড়ির মালিক মজিবুল হক ওরফে কাঞ্চনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আর রাজাবাজারের অলিফ হোস্টেলের সৈকতকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও খোরশেদকে আটক করা বুধবার রাতেই।

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি আরো বলেন, এমন অমানবিক ঘটনায় এক বিন্দুও কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। পলাকতদের ধরতে আমাদের অভিযান চলছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App