×

রাজধানী

লঞ্চেই মারা যান মর্নিংবার্ডের মাস্টার ও গ্রিজার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২০, ০৮:৪৭ পিএম

দুর্ঘটনায় মানির্ংবার্ড লঞ্চের মাস্টার ও গ্রিজার (ইঞ্জিন চালক) দুজনই মারা যান। অন্যদিকে দুর্ঘটনার পরপরই লঞ্চটি ফেলে পালিয়ে যায় ময়ূরী-২ এর সবাই। পাওয়া গেছে তাদের নাম ও ঠিকানাও। লঞ্চ মালিক ও শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে এবং উদ্ধার হওয়া মরদেহের তালিকা মিলিয়ে এসব বিষয় নিশ্চিত হয়েছে তদন্ত কমিটি।

সোমবার (২৯ জুন) সকালে বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধারের তালিকার ২৬ নম্বরে রয়েছে ৭০ বছর বয়সী আমির আলীর নাম। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ওই সময় মর্নিংবার্ড লঞ্চটি তিনিই চালাচ্ছিলেন। লঞ্চের নির্ধারিত সুকানি হিসেবে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের তালিকায় নামও রয়েছে তার। এছাড়া মৃতদের তালিকার ৩৩ নম্বরে থাকা আসিক ছিলেন ওই লঞ্জের গ্রিজার বা ইঞ্জিন চালক। ১৮ বয়সী আসিকের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের পঞ্চসর গ্রামে।

অন্যদিকে, ময়ূরী-২ লঞ্চটিতে বৈধ মাস্টার হিসেবে থাকার কথা ছিল আবুল বাশার মোল্লার। তিনি দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার। বাড়ি মাগুড়ার মোহাম্মদপুর থানা এলাকায়। একই লঞ্চে জাকির হোসেন নামে তৃতীয় শ্রেণির একজন মাস্টার থাকার কথা। তার বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জে। তবে দুর্ঘটনার সময় লঞ্চটি কে চালাচ্ছিলেন তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) সকালে সচিবালয়ে লঞ্চ মালিক সংগঠনের কয়েক নেতা, বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা ও নৌপুলিশের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন নৌমন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা। পরে বিকালে সদরঘাট টার্মিনালে যান তারা।

এর আগে গত বুধবার রাতে লঞ্চ মালিকদের পক্ষ থেকে একটি তালিকা দেয়া হয় যাতে দুই লঞ্চের চালক ও সহকারীদের নাম দেয়া হয়। সেখানেই উল্লেখ করা হয় মর্নিংবার্ডের সুকানি ও ইঞ্জিন চালকের এর নাম যারা দুজনই মারা যান বলে দাবি করা হয়। পরে মৃতদেহ উদ্ধারের তালিকার সঙ্গে তাদের নামের মিল খুঁজে পায় তদন্ত কমিটি।

এ প্রসঙ্গে লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, আমরা তদন্ত কমিটির কাছে লঞ্চ দুটির চালকদের নাম দিয়েছি। তার মধ্যে মর্নিংবার্ডের সুকানি ও সারেং দুজনই মারা গেছেন। তাদের মরদেহ উদ্ধারও হয়েছে।

তিনি বলেন, মামলায় ময়ূরী-২ লঞ্চের সব মাস্টার ও ইঞ্জিন চালকদের আসামী করা হয়েছে। কিন্তু সবাই তো আর সে সময় লঞ্চ চালাচ্ছিলেন না। তাই আমরা ওই সময়ে যারা লঞ্চ চালিয়েছে বলে জানতে পেরেছি, তাদের নাম দিয়েও তদন্ত দলকে সহায়তা করেছি। লঞ্চ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি এমন ৩ জন পুলিশের হাতে আটক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা হয়তো কিচেন বা ধোয়ামোছার কাজ করতো।

এদিকে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম খান (যুগ্ম সচিব) গত বুধবার প্রায় ৩০ মিনিট সাক্ষাৎকার নেন ১৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া যাত্রী সুমনের। তবে সুমন আদৌ ওই লঞ্চের যাত্রী ছিলেন কি না এ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে সংশয় প্রকাশ করতে দেখা গেছে তাকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির এক সদস্য জানান, সুমনের কথাবার্তাকে অসংলগ্ন বলে মনে করছেন আহ্বায়ক। বিষয়টি তারা আরো গভীরভাবে পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দিবেন বলে জানা গেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App