×

সারাদেশ

কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল খুললেও পর্যটকের দেখা নেই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২০, ১২:৪৪ পিএম

কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল খুললেও পর্যটকের দেখা নেই

পর্যটক শূন্য কুয়াকাটা সৈকত

কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল খুললেও পর্যটকের দেখা নেই
কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল খুললেও পর্যটকের দেখা নেই
কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল খুললেও পর্যটকের দেখা নেই

পর্যটক শূন্য কুয়াকাটা সৈকত

কুয়াকাটায় গতকাল বুধবার থেকে আবাসিক হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও পর্যটনমুখী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও পর্যটকদের দেখা মেলেনি। করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রায় ৪ মাস বন্ধ থাকার পর জেলা প্রশাসনের অনুমতিতে পর্যটনের দ্বার খুলে দেয়া হলেও হতাশ ব্যবসায়ীরা। তবে শুক্রবার থেকে বাড়তে পারে পর্যটক, এমনটাই ধারণা হোটেল-মোটেল সংগঠনের নেতাদের। জানা গেছে, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পর্যটনমুখী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ায় ফিরে এসেছে কর্মচাঞ্চল্য। ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রতিষ্ঠানগুলো নতুনভাবে সাজাতে। সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খুলে বসে থাকলেও বেচাকেনা নেই। স্থানীয় কয়েকজন পর্যটক সৈকতে ভ্রমণে এলেও দূরের কোনো পর্যটকদের দেখা যায়নি। এদিকে পর্যটক আকৃষ্ট করার জন্য হোটেল-মোটেলগুলোতে ৪০-৫০ ভাগ রুম বুকিংয়ের ওপর ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। তারপরও পর্যটকদের সাড়া মেলেনি। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির আবাসিক হোটেলগুলোতে কোনটায় ১ রুম আবার কোনো হোটেলে সর্বোচ্চ ৩ রুম বুকিং হয়েছে। শতকরা দুই ভাগ রুম বুকিং হয়েছে বলে জানায় হোটেল কর্তৃপক্ষ। সৈকতের ঝিনুক দোকানদার ইব্রাহিম ওয়াহিদ জানান, বেচাকেনা নেই। সারাদিনে মাত্র ৫০ টাকা বিক্রি করেছি। আবাসিক হোটেল সৈকতের মালিক মো. জিয়াউর রহমান জানান, তার হোটেলে অর্ধশতাধিক রুম রয়েছে। প্রথম দিনে মাত্র ৩টি রুম বুকিং হয়েছে। করোনা ভীতির কারণে মানুষ ঘর থেকে বাহির হয়নি। তিনি আরো বলেন, কুরবানির ঈদের পর পর্যটক সমাগম বাড়বে। অনেকেই কুরবানির ঈদের পর রুমের জন্য অগ্রিম বুকিং নিচ্ছেন। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, তার গেস্ট হাউসে মাত্র ১টি রুম বুকিং হয়েছে। একদিকে করোনা আতঙ্ক, অন্যদিকে বর্ষা মৌসুম থাকায় পর্যটকদের আগমন তেমন একটা হবে না। আস্তে আস্তে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে। তিনি আরো বলেন, কমসংখ্যক পর্যটক এলেও কর্মচারীদের বেতন ও খরচ দিতে সক্ষম হবেন হোটেল মালিকরা। এতে কর্মহীনতার অভাব মোচন হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App