×

সারাদেশ

সংস্কার হয়নি বাঁধ, বন্যার শঙ্কায় লাখো মানুষ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২০, ০৬:০৩ পিএম

সংস্কার হয়নি বাঁধ, বন্যার শঙ্কায় লাখো মানুষ

ছবি: প্রতিনিধি

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও যমুনা নদীর মতো গাইবান্ধা জেলার আরো গুরত্বপূর্ণ দুটি নদী বাঙ্গালী ও কাটাখালিতেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এ জেলার উঁচু অঞ্চলের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত কাটাখালি ও বাঙ্গালী নদীর পানি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। এই বাঁধের কারণেই এ জেলার উঁচু এলাকার ফসল বন্যা থেকে রক্ষা পায়।

তবে ২০১৯ সালের বন্যায় জেলার পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা কাটাখালি ও বাঙ্গালী নদীর পূর্বতীরের সাঘাটা উপজেলার কচুয়া, রামনগর, দলদয়িয়া আদর্শ গ্রাম এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কয়েকটি স্থানে প্রায় ২০০ মিটার ভেঙে যায়। এক বছরেও সেই বাঁধ মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বন্যা আতঙ্কে রয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ ।পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত বেশির ভাগ বাঁধ মেরামত শেষ। বাঁধের যেসব স্থানে এখনো কাজ শুরু করা হয়নি দ্রুত কাজ শুরুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দলদলিয়া গ্রামের বাসিন্দা নিতাই চন্দ্র বলেন, গত বছর বন্যায় এই গ্রামের সংযোগ সেতু এলাচের ঘাট সড়কের ৩০ মিটার ভেঙে গেছে। পানি আসার আগেই দেখা দেবে বন্যা। নদীর বাঁধ মেরামত না করার ফলে নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করবে। ফলে নষ্ট হবে ফসল। এই বাঁধ মেরামত না করায় এ বছর কৃষিজমি পতিত থাকার সম্ভবনা আছে বলে জানান সরকারি গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জব্বার।

সাঘাটার কচুয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান বলেন, রামনগর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সংসদ সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১০০ মিটার ভেঙে যাওয়ায় চলতি বছর পানি প্রবেশ করে উঁচু এলাকার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হতে পারে।

বোনারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম নান্নু জানান, এই বাঁধ মেরামত না করার ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সাঘাটা উপজেলার প্রশাসনিক দপ্তর বোনারপাড়া সদরে পানি প্রবেশ করবে। এই পানি পর্যায়ক্রমে বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার উপর দিয়ে বিভিন্ন উপজেলায় ঢুকে পড়বে। ফলে কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা আছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোকলেছুর রহমান বলেন, গত বছর বন্যায় জেলার গুরত্বপূর্ণ এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়া অংশের মেরামত কাজ শেষ। অনেক স্থানে কাজ চলমান আছে। গোবিন্দগঞ্জ ও সাঘাটা উপজেলার বাঙ্গালী নদী ও কাটাখালি নদীর পানি নিয়ন্ত্রণে নির্মিত বাঁধের যেসব স্থানে এখনো কাজ শুরু করা হয়নি সেখানে দ্রুত কাজ শুরুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় গাইবান্ধার ২৪০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মধ্যে ৫০ কিলোমিটার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেঙে যায় ৩৭টি পয়েন্ট। বন্যার পানি থেকে জেলাকে বাঁচাতে শহর রক্ষা বাঁধসহ ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের ২৪ কিলোমিটার মেরামতের কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App