×

জাতীয়

সুমন ডুবেছিলেন ১৩ ঘণ্টা, সোহাগ ২৮!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২০, ১২:৩৬ এএম

সুমন ডুবেছিলেন ১৩ ঘণ্টা, সোহাগ ২৮!

বুড়িগঙ্গা নদী।

সুমন ডুবেছিলেন ১৩ ঘণ্টা, সোহাগ ২৮!

শীতলক্ষ্যা নদী।

বুড়িগঙ্গায় মর্মান্তিক লঞ্চ দুর্ঘটনায় বিস্ময়করভাবে বেঁচে গেছেন এক ব্যক্তি। দীর্ঘ ১৩ ঘণ্টা পর ডুবে যাওয়া লঞ্চের ভেতর থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছেন মধ্যবয়সী সুমন ব্যাপারী নামের ব্যক্তি। এ ঘটনায় হতবাক হয়ে গেছেন উদ্ধারকারীসহ গোটা দেশের মানুষ।

সবার প্রশ্ন- ডুবে যাওয়া লঞ্চে কীভাবে ১৩ ঘণ্টা বেচে থাকলেন সুমন ব্যাপারী? ১৩ ঘণ্টা ধরে যখন একে একে ৩২ জন প্রাণহীন মানুষকে উদ্ধার করা হলো, তখন কোথায় ছিলেন তিনি? কীভাবেই বা বেঁচেছিলেন পানির নিচে? কেউ বলছেন, হয়তো বায়ুনিরোধক কোনো কক্ষে আটকে ছিলেন। কেউ আবার বলছেন, এমন জায়গায় ছিলেন যেখানে পানি ঢুকতে পারেনি।

যদি তা-ই হয়, তাহলে অন্যরা কেন সেই বায়ুনিরোধক কক্ষের দেখা পাননি? অন্যদের ছেড়ে কীভাবেই বা সেখানে আটকা পড়লেন? অবশ্য এসব প্রশ্নের উত্তর বেঁচে ফেরা লোকটির কাছেই রয়েছে।

তবে এসব প্রশ্ন আর উত্তর নিয়ে যখন তুমুল আলোচনা চলছে তখন অনেকেরই মনে পড়ছে সেই ২০১৭ সালে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবে যাওয়া বালুবাহী বাল্কহেডের কথা। ডুবে যাওয়া যে বাল্কহেডটির ভেতর ২৮ ঘণ্টা ধরে বেঁচেছিলেন সোহাগ হাওলাদার (৩৫) নামের এক গিজারম্যান (ইঞ্জিন সহকারী)। ২৮ ঘণ্টার পর তাকে জীবিত উদ্ধার করেছিলেন ডুবুরিরা।

[caption id="attachment_228883" align="aligncenter" width="700"] শীতলক্ষ্যা নদী।[/caption]

উদ্ধার হওয়ার পর অবশ্য সোহাগ জানিয়েছিলেন সেই রহস্যের কথা। অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেছিলেন, বাল্কহেড ডুবে যাওয়ার পর ইঞ্জিন রুমে আটকা পড়ি। আমি সেখানে শুধুই আল্লাহর নাম জপছিলাম। কয়েক ঘণ্টা পরই হচ্ছিল অচেতন হয়ে পড়ছি। এরপর এক সময় আমাকে উদ্ধার করে ডুবুরিরা।

তবে সুমন ব্যাপারী ইশারা ইঙ্গিত ছাড়া এখনও তেমন কিছু বলেননি। অবশ্য কোস্টগার্ড ও নেভির কর্মকর্তাদের ধারণা, সুমন ব্যাপারী যেখানে আটকা পড়েছিলেন সেখানে হয়তো সেভাবে পানি প্রবেশ করেনি। আজ যখন টিউবের মাধ্যমে বিশেষ প্রক্রিয়ায় লঞ্চটি তোলার চেষ্টা করা হচ্ছিল তখন লঞ্চটি সামান্য ভেসে ওঠার পর ওই ব্যক্তি নিজের প্রচেষ্টায় বেরিয়ে আসেন এবং উদ্ধার কর্মীরা তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে নৌকায় তোলেন।

কোস্টগার্ড ও নেভির কর্মকর্তারা জানান, তারা যখন উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিটিকে বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছিলেন তিনি চোখের ইশারায় কথার জবাব দেয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে দীর্ঘ সময় পানির নিচে আটকে থাকায় তার শরীরের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App