×

অর্থনীতি

সার ও ওষুধের দাম কমাতে হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২০, ১১:৪৭ এএম

সার ও ওষুধের দাম কমাতে হবে
মোতাচ্ছিরুল ইসলাম সভাপতি হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ
বৈশ্বিক মহামারি নোবেল করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছেন হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মো. মোতাচ্ছিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, জনবান্ধব সরকার জনগণকে করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করতে স্বাস্থ্য রক্ষার বিভিন্ন নিয়ম পালনসহ নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে জনগণের অসচেতনতা এবং অর্থনৈতিক কারণে প্রতিনিয়ত শনাক্তকরণ ও মৃত্যুর হার বাড়ছে। প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে বিশেষ সাক্ষাৎকারে ভোরের কাগজকে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, করোনার কারণে দেশে মন্দাভাব বিরাজ করছে। প্রস্তাবিত বাজেটে করোনা ভাইরাসের মহামারির সংকটময় পরিস্থিতি উত্তরণ ও বাংলাদেশকে বিশে^র উন্নয়নের নতুন মডেল হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিফলন রয়েছে। এখন করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রুগ্ন ছোট-বড়, মাঝারি শিল্পগুলোকে ঘুরে দাঁড়াতে সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণের প্রয়োজন। আসন্ন মন্দা ও দুর্ভিক্ষ অবস্থা মোকাবিলায় সামাজিক সুরক্ষা খাত এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো একটি সময়োপযোগী প্রস্তাব। তিন আরো বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাজেটে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম কমালেও সারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ওষুধ ও সার দুটিরই দাম কমানো প্রয়োজন। বিশাল জনগোষ্ঠীর বাঁচার ও পুষ্টি নিরাপত্তা অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ। এ পরিস্থিতিতে সারের দাম কমালে কৃষি উৎপাদন বাড়বে। তাছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষিতে প্রণোদনা দেয়ার সুস্পষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা নেই। বাজেটে কৃষি প্রণোদনার বিষয়ে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা জরুরি। তিনি বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবিগঞ্জের ব্যবসায়ীরা যাতে সহজে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের সুবিধা পান সেদিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। এছাড়া বর্তমানে করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত জরিমানা ছাড়া ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানো দরকার। এ পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী ও শিল্পঋণের সুদ মওকুফ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি আবাসিক গ্রাহকদের ন্যায় বাণিজ্যিক গ্রাহকদেরও বিদুৎ বিল পরিশোধের সময় বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ইন্টারনেটের ভূমিকা অপরিসীম। ব্যবসায়ী, কৃষক, চাকরিজীবী, ছাত্রছাত্রীসহ সর্বস্তরের মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে রুটি-রুজির ব্যবস্থাসহ সব ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনাকালে প্রায় ৫০ ভাগ ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে। ব্যাংক, বিমা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি তথা ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে। এ মুহূর্তে ইন্টারনেট সেবা এবং মোবাইল ফোন কলরেটের ওপর বাড়তি করারোপ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। বিষয়টি জরুরিভিত্তিতে বিবেচনা করা দরকার। তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে যখন তেলের দাম নিম্নমুখী তখন বাজেটে তেলের দাম কমানোর কোনো ইঙ্গিত নেই। তেলের দাম কমালে দেশের অনেক জিনিসের উৎপাদন ব্যয় কমবে। কমবে দ্রব্যমূল্যও। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংকের স্থিতির ওপর আবগারি শুল্কহার বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে মানুষের কাছে থাকা অর্থ ব্যাংকে আমানত রাখা থেকে নিরুৎসাহিত হবে। তাদের অর্থ সঠিক পথে না খাটানোর ফলে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। কমতে থাকবে ব্যাংকের মূলধন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App