×

অর্থনীতি

আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করতে পিএপি চালু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২০, ০৭:৪০ পিএম

আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করতে পিএপি চালু

প্রতীকী ছবি

বন্দরে আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে প্রি-অ্যারাইভাল প্রসেসিং (পিএপি) চালু করল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কাস্টম অ্যাক্ট ১৯৬৯ এর ৪৩ ধারার ৫ উপধারা এবং ৪৪ ধারার ক্ষমতাবলে এ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সই করা এ সংক্রান্ত গেজেটে আমদানি করা পণ্যের চালানের ইমপোর্ট ম্যানিফেস্টো এবং পণ্যের চালান খালাসের ক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। পিএপি চালুর ফলে বন্দরে পৌঁছার আগেই কার্গো বা পণ্যের বিস্তারিত তথ্য শিপিং এজেন্টের মারফতে সংশ্লিষ্ট বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে চলে যাবে। ফলে পণ্যের ছাড়পত্রের প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন হবে। ছাড়পত্র ব্যয় কমে যাবে এবং দ্রব্যমূল্যের সাশ্রয় হবে।

এতে জাহাজ বা উড়োজাহাজ সর্বশেষ বন্দর ত্যাগের আগেই জাহাজ বা উড়ােজাহাজের ক্যাপ্টেন/ শিপিং এজেন্ট/ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স এজেন্ট এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ বা তার এজেন্ট/ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক অনলাইনে ইমপোর্ট ম্যানিফেস্টো দাখিল করতে হবে। আগমনী জাহাজ বা উড়ােজাহাজের ক্যাপ্টেন/শিপিং এজেন্ট ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স এজেন্ট এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ বা তার এজেন্ট/ ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক ইমপোর্ট ম্যানিফেস্টো, দাখিলের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট কাস্টম হাউসের আইজিএম শাখা কর্তৃক মাস্টার বিল অব লেডিং ও হাউস বিল অব লেডিং/মাস্টার এয়ারওয়ে বিল ও হাউস এয়ারওয়ে বিল সমন্বয় করে উড়োজাহাজ/ জাহাজের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

উড়োজাহাজ/জাহাজের রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাওয়ার পর ইমপোর্ট ম্যানিফেস্টো-এ কোনো অসঙ্গতি পাওয়া গেছে তা রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশােধনের আবেদন করতে হবে। ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক যথাযথ বিবেচিত হলে প্রযােজ্য ফি/জরিমানা আদায় সাপেক্ষে ইমপোর্ট ম্যানিফেস্টো সংশোধন করা যাবে। উড়ােজাহাজ/জাহাজের রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাওয়ার পর আমদানিকারক বা তার মনােনীত এজেন্ট বিল অফ এন্ট্রি দাখিল করতে পারবে।

বিল অফ এন্ট্রি দাখিলের পর যে সমস্ত পণ্য চালান কায়িক পরীক্ষণের জন্য মনােনীত হবে অর্থাৎ কাস্টমস কম্পিউটার সিস্টেমে রেড লেন-এ নির্বাচিত হবে সেইগুলো ব্যতীত অন্যান্য পণ্য চালান আইনানুগ পদ্ধতি পরিপালন এবং প্রয়ােজনীয় দলিলাদি দাখিল সাপেক্ষে উড়ােজাহাজ/জাহাজ আগমনের পূর্বেই শুল্কায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করে রাখা যাবে। প্রযােজ্য ক্ষেত্রে পণ্য চালান খালাসের সময় নমুনা পরীক্ষা করে যথার্থতা নিশ্চিত করা যাবে। তবে এর মধ্যে কোন পণ্য চালানের বিষয়ে গােপন সংবাদ থাকলে তা আগমনের পর প্রযােজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থার উপস্থিতিতে বিদ্যমান আইনানুগ পদ্ধতিতে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা যাবে।

এছাড়া ইমপোর্ট ম্যানিফেস্টো উল্লেখ করা আমদানিকারক এবং সংশােধনীর মাধ্যমে যে আমদানিকারকের নাম অন্তর্ভুক্ত হবে উভয়ের ক্ষেত্রে পণ্য চালান ছাড় করণের স্থগিতাদেশ বা কাস্টম অ্যাক্ট ১৯৬৯ এর ২০২ ধারা অনুসারে কোনো কার্যক্রম চলমান নেই মর্মে নিশ্চিত হতে হবে। ইমপোর্ট ম্যানিফেস্টে উল্লিখিত আমদানিকারকের অনাপত্তি পত্র ও সংশােধনীর মাধ্যমে যে আমদানিকারকের নাম অন্তর্ভুক্ত হবে তার সম্মতিপত্ৰ থাকতে হবে। শিপিং এজেন্ট এবং সংশ্লিষ্ট লিয়েন ব্যাংকের অনাপত্তিপত্র কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করতে হবে।

পণ্য চালান ১০০ শতাংশ কায়িক পরীক্ষা করে মূল্য, কান্ট্রি অব অরিজিন এবং শ্রেণি বিন্যাস সম্পর্কে যথাযথ অনুসন্ধান পূর্বক শুল্কায়ণ করতে হবে। পণ্যের কায়িক পরীক্ষাকালে কিংবা দাখিল করা দলিলাদিতে কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে পণ্য চালানের শুল্কায়ন বন্ধ থাকবে এবং দলিলাদির সঠিকতা পাওয়া সাপেক্ষে পণ্যের শুল্কায়ন ও খালাস দেয়া হবে। ইমপোর্ট ম্যানিফেস্টো সংশোধনের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ফি আদায় করা হবে। পণ্যের মূল্যের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কমিশনার বিধি মোতাবেক নিষ্পত্তি করবেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App