×

সারাদেশ

মেঘনায় টেঁটাযুদ্ধ ,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২০, ০৫:৪৮ পিএম

মেঘনায় টেঁটাযুদ্ধ ,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন

ফাইল ছবি

কুমিল্লার মেঘনায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মামলাকে কেন্দ্র করে টেঁটাযুদ্ধে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে। শনিবার পুরান বাটেরা গ্রামে সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে পুরুষ শূন্য বাটেরা গ্রাম। উত্তেজনা বিরাজ করায় রবিবার (২৮ জুন) সকাল থেকে বাটেরা গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, উপজেলার পুরান বাটেরা গ্রামের শাজাহান মিয়া ও সেকান্দর আলী গংদের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন দিন যাবৎ দ্বন্দ্ব চলে আসছে। গত ১৯ মে সেকান্দরের লোকজন শাজাহান মিয়ার বাড়ীতে হামলা করে। ওই ঘটনায় শাজাহান মিয়া ১৫ জনের নামে মেঘনা থানায় মামলা করে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হয় বলে এলাকার লোকজন জানান।

দুই পক্ষের মধ্যে টেঁটাযুদ্ধ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ হামলায় উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে। এরমধ্যে গুরুত্বর আহত টেঁটাবিদ্ধ সাংবাদিক দিদার (৪০) জানে আলম (৫০), হারুন উর রশিদ (৬০), সফিক মিয়া (৪৫) ও রতন মিয়া (৬০) এবং অপর পক্ষের জজ মিয়া (৩৬), দিলু মিয়া, সালাম মিয়া ও ইকবাল হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।

আহত সাংবাদিক দিদার জানান, আগের ঘটনায় শাজাহান মিয়া মামলা করার পর থেকে বিপক্ষের লোকজন মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাদের বাড়িতে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। ওই সময় ফের হামলার আশঙ্কা নিয়ে জাতীয় পত্রিকায় রিপোর্টও প্রকাশ হয়েছিলো। প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে হয়তো আজকে আমরা হামলার স্বীকার হতাম না।

মামলার বাদী শাহজাহান মিয়া জানান, ঈদের আগে আমার ঘর বাড়ি ভাঙচুর করে। মামলার আসামিরা শনিবার (২৭জুন) সন্ধ্যায় আবার হামলা চালায়। আহত পাঁচজন আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল চিকিৎসাধীন ।

সেকান্দর বেপারী বলেন, আগের ঘটনায় মিলমিশ হওয়ার জন্য এলাকার গন্যমান্য লোকদের নিয়ে আমারা কয়েকবার তাদের বাড়িতে গিয়েছি। আমাদের উল্টো হুমকি ধামকি দিয়েছে। খবর পেয়ে আমাদের লোকজন প্রতিহত করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। আমাদের চারজন লোক আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাড়ি ভাঙচুর বা লুটপাটের কথা সঠিক না।

মেঘনা ওসি আব্দুল মজিদ বলেন, এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ আসামি ধরছে না- এটা ঠিক নয়। বাটেরা গ্রামটি একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো হওয়ায় পুলিশ যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আসামিরা দাউদকান্দি অঞ্চলে পালিয়ে যায়। হামলার ঘটনায় এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App