×

সারাদেশ

ভিটেমাটি হারানোর হুমকিতে ৪০ হাজার মানুষ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২০, ০৯:১৪ পিএম

ভিটেমাটি হারানোর হুমকিতে ৪০ হাজার মানুষ

উলিপুরে তিস্তা-নদীর পানির তীব্র স্রোতে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নাগড়াকুড়া টি-বাঁধটির ৫০ মিটার নদী গর্ভে চলে গেছে। ছবি: প্রতিনিধি

ভিটেমাটি হারানোর হুমকিতে ৪০ হাজার মানুষ

উলিপুরে তিস্তা-নদীর পানির তীব্র স্রোতে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নাগড়াকুড়া টি-বাঁধটির ৫০ মিটার নদী গর্ভে চলে গেছে। ছবি: প্রতিনিধি

জেলার উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছের নাগড়াকড়ায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত একটি টি-বাঁধের মূল অংশ ভেঙে গেছে তিস্তা নদীর প্রবল স্রোতে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সিসি বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করলেও, ক্রমশ বিলীন হয়ে যাচ্ছে এটি। এ অবস্থায় হুমকির মুখে পড়েছে গুনাইগাছের ও বজরা ইউনিয়নের ২৫ ওয়ার্ডের প্রায় ৪০ হাজার মানুষের ভিটা-মাটি ও বাড়ি-ঘর।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, গুনাইগাছের নাগড়াকুড়া টি-হেড বাঁধের ব্লক পিচিংসহ স্থায়ী কাজের মূল ৫০ মিটার অংশ অর্থাৎ দেড়শ ফিট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও উজানে প্রায় ৮শ মিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে মূল টি-বাঁধের ২৩০ মিটার অংশের বিভিন্ন জায়গায় ধস দেখা দিয়েছে। যদি আরো বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও ব্লক ফেলা না হয়, তাহলে এটি বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আরো জানান, উজানের বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়, পানির স্রোত সরাসরি এসে টি-বাঁধে ধাক্কা দেয়ায় বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গুনাইগাছ ই্উনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ খোকা জানান, রাত থেকে বাঁধটিতে ভাঙন শুরু হয়। এতে সামনের মূল অংশের প্রায় ১৫০ ফিট পানিতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন ওই বাঁধের বিভিন্ন অংশে ধস দেখা দিয়েছে। এটি নদীতে বিলীন হলে তার ইউনিয়নের ১,২,৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১০ হাজার মানুষের ভিটা-মাটি ও ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এলাকাগুলো হচ্ছে- কাজির চক, রাজবল্লভ, টিটমা, নন্দু নেফরা, শুকদেব কুন্ড ও সন্তোষ অভিরাম।

[caption id="attachment_228611" align="aligncenter" width="700"] উলিপুরে তিস্তা-নদীর পানির তীব্র স্রোতে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নাগড়াকুড়া টি-বাঁধটির ৫০ মিটার নদী গর্ভে চলে গেছে। ছবি: প্রতিনিধি[/caption]

বজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম আমিন বাবুল জানান, এই টি বাঁধটি ভেঙে গেলে তার পুরো ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। বিশেষ করে, বজরা সাদুয়া দামার হাট, খামার দামার হাটবগলা কুড়া, সাতালস্কর, পশ্চিম বজরা ও চর বজরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র স্রোত ও ঘুর্ণিপাকের। এতে গুনাইগাছের নাগড়া কুয়ায় একটি টি বাঁধের সামনের অংশ ধসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ভাঙন রোধ করার জন্য সেখানে জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App