×

সারাদেশ

দুই কলেজছাত্রকে নির্যাতনের পর ইয়াবা দিয়ে মামলা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২০, ০৮:২৪ পিএম

দুই কলেজছাত্রকে নির্যাতনের পর ইয়াবা দিয়ে মামলা

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আলহাজ্ব সৈয়দ জামান

রৌমারী উপজেলায় বিজিবি জওয়ানদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার জের ধরে দুই কলেজছাত্রকে ক্যাম্পে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। এরপর পর ইয়াবা ট্যাবলেট ধরিয়ে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। রোববার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সৈয়দ শামসুল হক মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছে ছাত্র দুটির পরিবার।

ঘটনার শিকার ছাত্ররা হলেন- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মশফিকুর রহমান মামুন ও হেমায়েত উল্যাহ হিমু। অভিযুক্তরা হলেন- বিজিবি’র এফএস সদস্য জসিম ও মামুন।

লিখিত বক্তব্যে দুই ছাত্রের অভিভাবক আলহাজ্ব সৈয়দ জামান বলেন, মাস দেড়েক আগে রৌমারী উপজেলার বালিয়ামারী খেয়াঘাটে মামুন ও হিমুর সঙ্গে বিজিবি সদস্য জসিম ও মামুনের বাকবিতণ্ডা হয়। এরর জের ধরে গত ২২ জুন মামুন ও হিমুকে রৌমারীর সায়দাবাদ এলাকা থেকে আটক করা হয়।

পরে তাদের জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাঘারচর ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে। এরপর ১৯৭ পিস ইয়াবা দিয়ে দুই ছাত্রের নামে দেওয়ানগঞ্জ থানায় করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে নির্দোষ ছেলে ও ভাতিজার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন আলহাজ্ব সৈয়দ জামান।

জানতে চাইলে বিজিবির এফএফ জসিম উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গত পাঁচদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছি। অভিযুক্তদের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এমন ঘটনার অবতারণা করছে। আমি নির্দোষ। সর্বোচ্চ আদালতের বিচার আমি মেনে নেবো।

রৌমারী উপজেলার দায়িত্বে থাকা জামালপুর ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এসএম আজাদ এসইউপি জানান, মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। নিরাপরাধ ব্যক্তির যাতে ক্ষতি না হয়, সে ব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি। আমরা গত দশ মাসে ৮০ থেকে ৯০ জন আসামি ধরেছি। তাদের ৯০ ভাগ আলগার চরের লোক। তারা প্রভাবশালীদের নাম ব্যবহার করে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অপরাধীদের ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স ভুমিকা পালন করছি। অবশ্যই নির্দোষ ব্যক্তি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটা সবার কাম্য।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App