×

রাজধানী

সব খালের দায়িত্ব নিতে চায় ডিএনসিসি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২০, ০৮:০২ পিএম

সব খালের দায়িত্ব নিতে চায় ডিএনসিসি

মেয়র আতিকুল ইসলাম।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন সব খাল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দায়িত্ব নিতে চান ময়র মো. আতিকুল ইসলাম। ওয়াসার তত্ত্বাবধানে থাকা খালগুলো হস্তান্তর করতে প্রস্তাব দিয়েছেন মেয়র।

শনিবার (২৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর কাওলায় সিভিল এভিয়েশন কবনের পাশে আশকোনা হজক্যাম্প থেকে সিভিল এভিয়েশন অফিসার্স কোয়ার্টার হয়ে বনরূপা হাউজিং পর্যন্ত খননকৃত খালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের কাছে এ প্রস্তাব দেন ডিএনসিসি মেয়র। ডিএনসিসির মেয়র উদ্বোধনকৃত এ খালটির পাশাপাশি কুড়িল বিশ্বরোড থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত সাইকেল লেন তৈরি করার প্রস্তাবও দেন।

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, খালগুলো জেলা প্রশাসনের অধীনে, পানি নির্গমণসহ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ওয়াসার। কিন্তু জনগণের দুর্ভোগের কথা শুনতে হয় সিটি করপোরেশনকে। জনপ্রতিনিধি হিসাবে মেয়র ও কাউন্সিলরদেরকে জবাবদিহি করতে হয়। কিন্তু ওয়াসাকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। এমন অবস্থায় নগরবাসীর ভোগান্তি লাঘবে, ঢাকা ওয়াসার ড্রেনেজ সার্কেলের বিদ্যমান জনবল, যান-যন্ত্রপাতি, আনুষঙ্গিক সব উপকরণসহ খাল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করার প্রস্তাব দিচ্ছে।

মেয়র আরো বলেন, গত ২১ এপ্রিল স্থানীয় সরকার, পল্লরী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষকে নিয়ে আমরা আশকোনা হজক্যাম্প সংলগ্ন জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করি। উত্তরা ৪ নং সেক্টরের একাংশ, কসাইবাড়ি, আশকোনা, কাওলা এলাকার তীব্র জলাবদ্ধতা দূরীকরণে আশকোনা হজক্যাম্প হতে বনরূপা আবাসিক এলাকা পর্যন্ত খালটির বিভিন্ন জায়গায় খননের জন্য ঢাকা ওয়াসা ও সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় উভয় সংস্থা অপরাগতা প্রকাশ করে।

পরবর্তীতে এই এলাকার দীর্ঘদিনের জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুততম সময়ে কাজটি সম্পাদনের জন্য প্রায় ১.৯০ কিমি দীর্ঘ খালটি খননের জন্য যৌথভাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ডিএনসিসি ও সেনাবাহিনী ৩০ মে থেকে খাল খনন শুরু করে এবং ২৭ জুনে খনন সম্পন্ন করে।

তিনি বলেন, ডিএনসিসি তার সীমিত জনবল এবং যান-যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ০.১৭ কিমি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১.৭৩ কিমি সর্বমোট ১.৯০ কিমি খাল খনন করে। খালটি খননের ফলে উত্তরা ৪নং সেক্টরের একাংশ, কসাইবাড়ী, আশকোনা, কাওলাসহ আশেপাশের এলাকার জলাবদ্ধতা অনেকাংশে দূর হবে। খাল খননের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ডিএনসিসির নিজস্ব তহবিল থেকে সর্বমোট ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে। এরইমধ্যে ৫০% টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, চলতি বছরে ডিএনসিসি কর্তৃক ৪.৭৫ কিমি সুপরিসর আরসিসি পাইপ-নর্দমা নির্মাণের মাধ্যমে উত্তরা ৪ এবং ৬নং সেক্টরের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতাও অনেকাংশে দূর করা হচ্ছে। এছাড়া বনানী মেইন রোডে মাছরাঙ্গা টিভির সামনে জলাবদ্ধতা নিরসনে বিমানবন্দর সড়কে বনানী ওভারপাস হতে কাকলী পর্যন্ত রিটেনশন পন্ড পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া চলমান পাইপলাইন নির্মাণের মাধ্যমে এক মাসের মধ্যে এ এলাকার জলাবদ্ধতাও অনেকাংশে দূর করা সম্ভব হবে।

মেয়র বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্পের উন্নয়ন কাজের ফলে ফার্মগেট থেকে পরিকল্পনা কমিশন পর্যন্ত ডিএনসিসির বিদ্যমান প্রায় ২.২ কিমি ড্রেনেজ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত ও অকার্যকর হওয়ায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ হতে অনেক দেরিতে সম্প্রতি ড্রেনেজ-লাইন পূনর্বাসন ব্যয় পাওয়া গেছে। কাজটি আগামী দুই মাসের মধ্যে ডিএনসিসি বান্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এছাড়া মগবাজার প্রধান সড়কের রেলগেট হতে মধুবাগ পর্যন্ত ঢাকা ওয়াসার অনেক পুরানো, প্রায় অকার্যকর এবং প্রয়োজনের তুলনায় অপরিসর পাইপ-নর্দমাটি পূনঃনির্মাণে ঢাকা ওয়াসা অপারগতা প্রকাশ করে। এ প্রেক্ষিতে ডিএনসিসি ১৯ কোটি প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২.৬৭ কিমি সুপরিসর আরসিসি পাইপ-নর্দমা নির্মাণ কার্যক্রম গ্রহণ করে। যার বাস্তবায়ন কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App