×

সারাদেশ

চাল দিতে আগ্রহ নেই মিল মালিকদের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২০, ০৬:৫১ পিএম

চলতি বোরো মৌসুমে সরকারি খাদ্যগুদামে চাল দিতে আগ্রহ নেই বগুড়ার শেরপুর উপজেলার চালকল মালিকদের। বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় আশানুরূপ লাভ না থাকায় এ বছর মিল মালিকেরা আগ্রহ হারাচ্ছেন।

শেরপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ মে শেরপুর উপজেলায় ৩৬ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল ও ৩৫ টাকা কেজি দরে আতপ চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। উপজেলার দুটি খাদ্যগুদামে সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪৪৯ মেট্রিক টন। যা বগুড়া জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ। আর আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৬৭ মেট্রিক টন।

কিন্তু বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) পর্যন্ত শেরপুর উপজেলার দুটি সরকারি খাদ্যগুদামে ২ হাজার ৬৩৭ মেট্রিক টন সিদ্ধচাল এবং ১৬ টন আতপ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। উপজেলায় ৪৫৩ মিলের অধীনে চাল সরবরাহের বরাদ্দ আসলেও এখনো প্রায় ১৫০টি চাল কল খাদ্যবিভাগের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়নি। ফলে অভ্যন্তরীণ বোরো খাদ্যসংগ্রহ অভিযান ভেস্তে যাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

উপজেলার মির্জাপুর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম রব্বানী জানান, এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬শ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ৯ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহ করেছি। এবার চাল দিতে মিলারদের আগ্রহ খুবই কম।

শেরপুর সরকারি খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাদ্য পরিদর্শক মো. আতিকুল ইসলাম জানান, এই গুদামে ১ হাজার ৩৭ টন সিদ্ধ ও ৭ টন আতপ চাল দিয়েছে মিলারা। লাভ না হওয়ায় মিলারেরা চাল নিয়ে আসছে না।

শেরপুর উপজেলা সেমি অটো রাইস মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, বর্তমানে বাজারে ধানের দাম বেশি। এই দামে ধান কিনে চাল দিলে মিলারদের লাভ তো দূরের কথা লোকসান গুনতে হবে। তাই অনেক মিল মালিক পে-অর্ডার করলেও চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে না লোকসানের ভয়ে। সরকার যদি ধানের দাম পুর্নবিবেচনা করে তাহলে মিলাররা চাল দিতে পারে।

শেরপুর উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল হামিদ জানান, আমরা সরকারের খাদ্যশস্য সংগ্রহ অভিযান সফল করার জন্য প্রতি বছরই চেষ্টা করি। কিন্তু এ বছর ধানের দাম বেশি থাকায় চাল দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই দামে চাল দিলে আমাদের কেজি প্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা লোকসান গুণতে হবে। সরকার যদি চালের দাম বাড়ায় সেক্ষেত্রে মিল মালিকেরা চাল দিতে আগ্রহী হবে।

শেরপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেকেন্দার রবিউল ইসলাম জানান, বোরো সংগ্রহ অভিযান আগামী ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত চলবে। লোকসানের অজুহাতে অনেক মিল মালিকই চাল দিতে চাচ্ছে না। তাছাড়া অনেক মিল মালিক চুক্তিবদ্ধ হয়নি। মিল মালিকেরা চাইলেই সরকারি খাদ্যশস্য অভিযান সফল হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App